এখন অন্তর্জালে বাংলা লেখা । দুর্দান্ত!
চ্যানেল আইএর খবর দেখলাম মাত্র। যথারীতি ছাত্রলীগ লাইম লাইটে। নিষিদ্ধ হবার পরো জা বি তে নিজেরাই পিটা পিটি করেছে। দশ জন ইঞ্জুর্ড! পাচ জন গ্রেফতার।
ঢাকা মেডিক্যালে রক্তাক্ত আহত লীগ কর্মিরা। এরাই এক্সময় আরেকগ্রপকে এভাবেই হয়তো রক্তাক্ত করেছিল। একজন জানালো কিভাবে তাকে পিস্তলের বাট দিয়ে মারা হয়েছে। আরেকজনের মাথার ব্যান্ডেজ। সাদা গেঞ্জি রক্তে ভরে গিয়েছে।
হাতে ব্যান্ডেজ বাধা। সাদা গেঞ্জি তে লিখা লাল অক্ষরে "যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই"।
কালকে দেখলাম এক সপ্তাহের মধ্যে ঢামেক খুলে দেবেন। স্বস্তির খবর ,আবার অস্বস্তিরো। কারণ ওখানে নিষিদ্ধ করেছে তো কি হয়েছে , মন থেকে কি মুছে গেছে মার খাবার অভিজ্ঞতা।
নিষিদ্ধ করলেই ওরা ঘরে ফিরে যাবে ? এরা কি প্রোগ্রাম করা রোবট? নতুন প্রোগ্রাম লিখা হলেই সেই মত রান করবে? আউটপুট আসবে নির্ভুল?
আমরা এতো নির্লজ্জ কেন? এম বি বি এস চতুর্থ বর্ষে পড়ে আমার কাযিন বোন। তার কোন বিকার দেখলাম না। একজন মরে গেল, যেন সে তার ক্যাম্পাসের কেউ না। আমার নিজের ক্যাম্পাসের দিনের কথা মনে পড়লো, তাইতো... কোথায় কোন হলে কোন দল লীগের ছেলে মারা গেল, তাতে আমার কিছুই যায় আসতোনা। শুধু একটাই ভাবনা, ক্যম্পাসের অনির্দিষ্ট কালের ছুটি ... হটাত এমন কিছু পেয়ে আনন্দিত হয়ে যেতাম অথচ সেই একটা মৃত্যুতে যে একজন মা ও অনেক টা মরে গিয়েছে , একটা পরিবার ও মরে গিয়েছে... আমি সাধারণ জনগন, ভাবার অবকাশ নেই!
ঢাকা কলেজের ছেলেরা মারামারি করেছে, কিসের জন্য ? দুর্নীতি করেছে কোন শিক্ষক বা কর্মচারী তাই ? ফি বাড়িয়েছে তাই ? তাদের কোন সহপাঠি নির্যাতিত হয়েছে তাই ??
না।
মদের বিল প্রদানে অপারগতা।
ঢা বি তে জগন্নাথ হল কে বলা হয় সবচে নিরাপদ যায়গা। এখানে গিয়ে যা খুশী করা যায়। কারো সাধ্য নেই সেখানে ইঙ্কোয়ারী করে! রাতের জগন্নাথ হল কি জিনিশ সেটা আমার দেখা হয়নি। শোনা হয়েছে।
আতকে ওঠার জন্য যথেষ্টর চে বেশী। শেষ কবে এই হলে পুলিশ অভিযান চালিয়েছে ?
নারী ঘটিত অনেক ঝামেলা প্রতিনিয়ত ঘটে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে। এগুলো পত্রিকায় আসেনা। আসুক তা চাইও না। কারণ অনেক মেয়ের জীবনে যথেষ্ট বিপত্তির কারণ হবে সেগুলো।
কিন্তু ঘটছে প্রতিনিয়ত। রাফ এন্ড টাফ অনেক নেতা গোত্রীয় ছাত্রদের অশুভ দৃষ্টিতে পরে যায় অনেক ছাত্রী। অনেকে নিজের দোষেই পরে। এক সময় নাজেহাল হয়। অনেক ধরনের গসীপ ছড়ানো হয় সেই মেয়ের নামে, যদি তার কাছ থেকে "না" শুনে।
চুপচাপ দিনগুনে পাস করে বেরিয়ে যাবার। এটা কি একটা সমস্যা না ? হয়তো কোন অভিযোগ নেই তাদের পক্ষ থেকে ...
সেদিন এন টিভিতে টক শোতে বানিজ্য মন্ত্রীর কথা শুনলাম একটু। বেশি শোনার রুচী হয়নি। বিভিন্ন কোম্পানীর খাটি তেল উপচে ঢেলে দিচ্ছিলেন জননেতৃর পদতলে।
তিন মাসে দেশের ব্যাপক উন্নতি, বাম্পার উন্নতিতে দেশ ভাসছে ... এই তার কথা।
এই ইনি আজকে কৃতি ছাত্র সংবর্ধনাতে গিয়েছেন!!!!! প্রধান অতিথীর ভাষন দিয়েছেন। শিক্ষা প্রতিষথানে শান্তি ফিরিয়ে আনা হবে, এই তার কথা!
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কি জিনিশ জানে এনারা ? ওনার সন্তান নিশ্চই লক্ষ টাকা খরচ করে ইওরোপ আমেরিকার কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে।
তিনি ভালো আছেন। নেতৃ ভালো আছেন। আমরাও অনেক ভালো আছি ।
লিবিয়াতে যেতে গিয়ে ছেষট্টি জন বাংলাদেশীর মৃত্যুর আশঙ্কা। হয়তো মারা গিয়েছে। থাইল্যান্ডে চারশ জন মারা গিয়েছিল মাঝ সাগরে অনাহারে, ডুবে গিয়ে। আবার অনেকে জান টা হাতে নিয়ে ফিরে আসে দেশে, চাকরিচ্যুত হয়ে। এদিকে ভিটে মাটি বলে কিছু নেই, সব বিক্রি করে গিয়েছিল সেখানে।
কিন্তু ...
কিন্তু আমরা সংস্কৃতিমনা জাতি। একি সময়ে চ্যানেল আইতে দেখছিলাম চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। আফজাল হোসেনের উপস্থাপনা। ব্যাপক আবেগময় কথোপকথন।
বললেন এক পর্যায়ে, যে ছাব্বিশে মার্চ যারা কিনা তাদের বারান্দায় কিংবা ছাদে একটি পতাকা ঝুলায়নি ,তারা আসলে দেশ কে ভালো বাসেন না।
তারা প্রকৃত দেশপ্রেমিক নয়, যতই তারা বলুক, আমরাও দেশকে ভালবাসি।
আমি হটাত আমার দেশপ্রেম নিয়ে সন্দেহে পরে গেলাম। পতাকা ঝুলাইনিতো। মনেও আসেনি এটার যে পতাকা ঝুলিয়ে দেশপ্রেম প্রুভ করতে হবে।
হায় আল্লাহ, এখন আমার কি হবে ?
আর অনেক কিছু মাথায় ঘুরছে, লিখার ধৈর্য নেই।
লিখেতো কিছু হবেওনা।
বরং ই রাজাকার হয়ে যেতে পারি। (সমস্যা নেই)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।