আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নির্বাচিত সরকারের কাছেই ক্ষমতা হস্তান্তর

সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে এবং নির্বাচিত সরকারের কাছেই ক্ষমতা হস্তান্তর করব। জনগণ যাকে ভোট দেবে সে-ই ক্ষমতায় আসবে, অন্য কেউ নয়। শান্তিপূর্ণভাবেই ক্ষমতা হস্তান্তর হবে।

গতকাল বিকালে গণভবনে আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় দলীয় সভানেত্রী হিসেবে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সভায় আগামী সংসদ নির্বাচনে দলের প্রার্থী ঠিক করতে তৃণমূল নেতাদের মতামত নেওয়া হয়। শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন নিয়ে দেশের মানুষ অনেক কষ্ট স্বীকার করেছে। সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন ও ক্ষমতা হস্তান্তর কাউকে না কাউকে শুরু করতেই হবে। আওয়ামী লীগই সেই প্রক্রিয়া শুরু করবে। যাতে দেশ ও জাতিকে বার বার অনিশ্চিত অবস্থার মধ্যে পড়তে না হয়। স্বাধীনতার পর ২০০১ সাল ছাড়া কখনই সঠিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর হয়নি। গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত এবং সংবিধান সমুন্নত রেখে নির্বাচন ও শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের সূচনা আমরাই করব। প্রধানমন্ত্রী সূচনা বক্তব্যের পর দিনাজপুর, জামালপুর, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, লালমনিরহাট, গাজীপুর ও ভোলা জেলা এবং এসব জেলার উপজেলা, থানা ও পৌরসভা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। বৈঠকের শুরুতেই ১০টি প্রশ্নসংবলিত একটি করে ফরম তুলে দেওয়া হয় তৃণমূল নেতাদের হাতে। শেখ হাসিনা ওই ফরম পূরণের মাধ্যমে প্রতিটি আসনের জন্য দলের তিনজন করে প্রার্থীর নাম সুপারিশ করতে বলেন। সেই সঙ্গে ১০টি প্রশ্নের প্রতিটিতে ১০ নম্বর হিসেবে মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে কোন প্রার্থীকে কত নম্বর দেবেন সে বিষয়ে নির্দেশনা দেন।

দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ধ্বংসের সঙ্গে জড়িত কিছু সুযোগসন্ধানীর ব্যাপারে দেশবাসীকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, যাদের দল নেই, ভোট নেই, জনগণের কাছে গিয়ে ভোট চাওয়ার সাহস নেই, নির্বাচনে জিততেও পারবে না; অথচ তাদের ক্ষমতায় যাওয়ার খায়েশ আছে। দেশে অগণতান্ত্রিক কিছু হলে তাদের ভাগ্য ফেরে, ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখে। এরাই দেশে কিছু একটা ঘটার অপেক্ষায় বসে থাকে। এরাই দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বিরুদ্ধে সমস্যা ও জটিলতা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। তারা সব সময় অসাংবিধানিক পদ্ধতির দিকে তাকিয়ে থাকে কখন তাদের ভাগ্যের শিকে ছিঁড়বে। যত যটিলতা এদের জন্য সৃষ্টি হয় অভিযোগ করে শেখ হাসিনা বলেন, নানা গুণীজন নানা ব্যাখ্যা, নানা বিশ্লেষণ দিয়ে যাচ্ছেন। সাংবিধানিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে তাদের এত কষ্ট কেন? আগামী নির্বাচনে সাংবিধানিক সরকারের হাতেই ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে বলে তিনি জানান। সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা থাকে না। ২০০১ সালে বিএনপি ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসেছিল বলেই তারা জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থাকেনি। তারা দুর্নীতি-লুটপাট করেছে, জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছে। জনগণের উন্নয়ন নয়, ক্ষমতায় থেকে তারা নিজেদের উন্নয়ন করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর আগে জাতীয় সংসদের কার্যপ্রণালি বিধির ২৬৬ ধারা অনুযায়ী এ-সংক্রান্ত কমিটি গঠিত হয়। নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, সাবেক বিচারপতি থেকে সব শ্রেণী-পেশার মানুষ কমিটিতে এসে তাদের মতামত দিয়েছেন। শুধু বিএনপি-জামায়াত কমিটিতে তাদের প্রতিনিধি দেয়নি, সংশোধন কমিটির সভায়ও উপস্থিত হয়নি। তবে এ-সংক্রান্ত সুপারিশ নিয়ে যখন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক সংসদীয় কমিটি সভা করেছে তখন বিএনপির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিয়ম সভায় উপস্থিত ছিলেন সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, কাজী জাফর উল্লাহ, ড. আলাউদ্দিন, সতীশ চন্দ্র রায়, নূহ-উল আলম লেনিন, আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, মাহবুব-উল আলম হানিফ প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন উপ-দফতর সম্পাদক মৃণালকান্তি দাস।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.