বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য (ভিসি) ড. মুহাম্মদ আব্দুল জলিল মিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার শাহজাহান আলী মণ্ডলের বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমতি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষক,কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ বাণিজ্য ও পদোন্নতি প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে দুদক সূত্রে জানা গেছে।দুদক রংপুর সমন্বিত জেলার উপ-পরিচালক আব্দুল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুদকের অনুসন্ধানে নিয়োগ ও পদোন্নতি সংক্রান্ত দুর্নীতির সত্যতা পাওয়া যায়। এছাড়া অনিয়মের মধ্য দিয়ে ডেপুটি রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ পাওয়া শাহজাহান আলী মণ্ডলকে মূল পদের বাইরে 'রেজিস্ট্রার' এর অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে তার অপকর্মের 'সেকেন্ড ইন কমান্ড' বানিয়েছিলেন উপাচার্য। তাই সোমবার দুদক চেয়ারম্যান প্রাথমিকভাবে এ দু'জনকে দায়ী করে মামলার অনুমোদন দেয়। তবে তদন্তকালে আসামির সংখ্যা বাড়বে। চলতি সপ্তাহে মামলা করা হবে বলে জানান তিনি। দুদক সূত্রে জানা গেছে, রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সাত মাসের মাথায় দ্বিতীয় উপাচার্য হিসেবে যোগ দেন ড. মুহাম্মদ আব্দুল জলিল মিয়া। তিনি ডেপুটি রেজিস্ট্রার শাহজাহান আলী মণ্ডলকে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব দিয়ে গড়ে তোলেন একটি 'নিয়োগ সিণ্ডিকেট'। এই সিণ্ডিকেটের মাধ্যমে তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার, অর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) বাজেটভুক্ত ২৬০ পদের বৈধ নিয়োগের বাইরে অনুমোদনবিহীন এবং বাজেট বহির্ভূতভাবে ৪১৪ শিক্ষক,কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অতিরিক্ত নিয়োগ দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। পরে ইউজিসি তদন্ত করে অনিয়মের সত্যতা পাওয়ায় ৩৩৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীর নিয়োগ বাতিল করে দেয়।
উপাচার্য আব্দুল জলিল যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন তখন শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা ছিল মাত্র ২৪ জন। এদের মধ্যে শিক্ষক ১২, কর্মকর্তা ২ এবং কর্মচারী ১০ জন।
প্রসঙ্গত, দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় ইউজিসি এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মহামান্য রাষ্ট্রপতি ৫মে উপাচার্য ড. আব্দুল জলিলকে তার পদ থেকে অব্যাহিত দেন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।