বুকের ভেতর বহুদূরের পথ.........
(কাল রাতে এই পোস্ট টা দিয়েছিলাম, কেন যেন প্রথম পাতায় আসেনি)
......................................................................................................
সময়টা ৮০র দশকের শেষদিকে, স্কুলে পড়ি। কেউ উপহার দিয়েছিল অথবা ক্লাসে ফাস্র্ট হওয়ায় পুরস্কার পেয়েছিলাম, একটা শিশুতোষ বই "চিংড়ি ফড়িঙের জন্মদিনে"। লেখকের নাম সাজেদুল করিম, খুব বড় চাকরী করতেন (ডিটেইলস মনে নাই)। বই লিখেছেন মাত্র ৯টি, বেশীর ভাগই শিশুতোষ।
এই বই পড়ে প্রথম যে জিনিসটা চোখে পড়েছিল তা হলো প্রায় প্রতিটি লেখাই অত্যন্ত বুদ্ধিদীপ্ত।
সাধারণ গণিত এবং জ্যামিতির কিছু বিষয় এত আকর্ষণীয় ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছিল যে গণিতে যাদের ফোবিয়ার মত আছে তারাও মজা পেতে বাধ্য। সব কথায় পাস্ট টেন্স ব্যবহার করছি কারণ বইটা আমার হাতে নেই এখন। তবে একটা ছোট চুটকি মনে আছে, স্মৃতি থেকে উদ্ধার করে পাঠকের জন্য তা পেশ করলাম। এখান থেকেও আশাকরি লেখকের বুদ্ধিদীপ্ত লেখনীর কিছুটা বুঝতে পারবেন।
বৃটিশ আমল, এক ইংরেজ তার হিন্দুস্তানী দারোয়ানকে নিয়ে খুব সমস্যায় আছেন।
সমস্যা সমাধানের জন্য তিনি লেখকের কাছে আসলেন। লেখক সমস্যার কথা জিজ্ঞেস করতেই ইংরেজ ভদ্রলোক বললেন, তার দারোয়ান একটা গাঁড়ল- হিন্দি ছাড়া এক বর্ণ ইংরেজী বুঝেনা। তিনি যা-ই বলেন স্রেফ হাঁ করে দাঁড়িয়ে থাকে। অন্যদিকে ইংরেজ ভদ্রলোকও নাক উঁচু স্বভাবের, চাকর বাকরদের ভাষা তিনি কিছুতেই শিখবেন না। লেখক এইবার জিজ্ঞেস করলেন যে দারোয়ান আসলে কী করে, মানে তার প্রধাণ কাজ কি? জবাব এল, গোডাউনের দরজা খোলা আর বন্ধ করাই তার প্রধাণ কাজ।
ভাষা না বোঝায় সে খোলার জায়গায় বন্ধ করে আর বন্ধ করার জায়গায় খোলে।
লেখক ইংরেজকে মাত্র দুটি বাক্য শিখিয়ে এ সমস্যার সমাধান করলেন:
*There was a cold day
*There was a banker
(আশাকরি বুঝিয়ে দিতে হবেনা, দারোয়ান হিন্দুস্তানী এটা মনে রাখলেই হবে)
সাজেদুল করিমের ৯টি বই সম্পর্কে জানতে নীচের লিংক দেখুন:
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।