ইচ্ছেমতো লেখার স্বাধীন খাতা....
ঘোড়ায় চড়ে মেক্সিকো বর্ডারের এক খুব ছোট শহরে জো (ক্লিন্ট ইস্টউড) নামে একজন আগন্তুক আসে। শহরে আসার পর সে নানা অপ্রীতিকর ঘটনার মাধ্যমে অতি সহজেই পরিচিত হয় মাফিয়া টাইপের দুই পরিবারের সাথে। রোহো আর বাক্সটার- এ দুই অতি ক্ষমতাধর পরিবার নানা ধরনের অবৈধ ব্যবসা আর গুন্ডাপান্ডা নিয়ে এ এলাকায় রাজত্ব করে। নানান অপকীর্তি আর অপরাধের সাথে জড়িত তারা। নিজেদের মধ্যে আবার প্রচণ্ড দ্বন্দ্বও আছে তাদের।
এ দুই পরিবারকে শায়েস্তা করার জন্য জো তাদের নিয়ে খেলা শুরু করে। নানাভাবে তাদের মধ্যে মারামারি বাধানোর চেষ্টা করে সে। রামনদের হাতে বন্দী এক মহিলাকে উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে পাঠিয়ে দেয়। সেখানকার কফিন প্রস্তুতকারকের সাথে পরিচিত হয় জো।
রোজোরা অবশেষে জোকে ধরে ফেলে এবং নির্যাতন করে।
কিন্তু পরে সে তাদের হাত থেকে পালাতে সক্ষম হয়। পরে সে কফিন প্রস্তুতকারকের সহায়তায় সুস্থ হয়ে উঠে।
এদিকে তাকে খুজতে গিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব আরো বেড়ে যায়। রোহোরা বাক্সটারদের উপর আক্রমণ করে। এবং তাদের পুরো পরিবারকে নির্মূল করে ফেলে।
অন্যদিকে জো সুস্থ হয়ে আসার আগেই কফিন প্রস্তুতকারক ধরা পড়ে যায়। জো উদ্ধার করতে আসে তার সহায়তাকারী সেই কফিন প্র্রস্তুতকারককে। জো জানতো রোহোদের প্রধান গুন্ডা রামন শুধু মানুষের হৃদপিণ্ড বরাবর গুলি করে। অন্য কোথাও গুলি করে না। এজন্য সে নতুন এক বুদ্ধি বের করে।
অদ্ভুত এক ডুয়েল লড়াইয়ে সে পরাস্ত করে রামনকে। আর একে এক হত্যা করে তাদের সবাইকে.....
------------------------
ওয়েস্টার্ন সিনেমাগুলোতে যেমন দারুণ অ্যাকশন দেখা যায় এটাও তেমন। দারুণ কিছু অ্যাকশন দেখা যাবে। আর ক্লিন্ট ইস্টউডের অভিনয়ও দেখার মতো। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক চমৎকার।
এ সিনেমার ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে ফর এ ফিউ ডলার্স মোর এবং দি গুড, দি ব্যাড অ্যান্ড দি আগলি তৈরি হয় (এ তিনটাকে একত্রে ডলার্স সিরিজ বলে)। এ তিনটা মুভিই স্পেনের অ্যালমেরিয়াতে শুটিং করা হয়েছে। এ সিরিজে ক্লিন্ট ইস্টউডকে নামহীন নায়ক বা ম্যান উইথ নো নেম হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়েছে। আর এ ধরনের ওয়েস্টার্ন মুভিগুলিকে স্প্যাগিটি ওয়েস্টার্ন বলা হয়। মুভিটির পরিচালক সার্জিও লিওন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।