আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ওয়েস্টার্ন মুভি: ফর এ ফিউ ডলারস মোর

ইচ্ছেমতো লেখার স্বাধীন খাতা....
ওয়েস্টার্ন মুভিগুলোর কাহিনী হচ্ছে আমেরিকার এমন কিছু জায়গার যেখানে জীবনের কোনো দাম নেই বরং মৃত্যুর দাম আছে। এজন্য সেখানে আগমন হয় পেশাদার খুনী বাউন্টি কিলারদের। এ এলাকায় বিচরণ করে খুব খারাপ অপরাধীরা। পুলিশ কিংবা সরকারি লোকজন তাদের খুজে পায়না। তাই সরকার সেসব অপরাধীদের জীবিত বা মৃত ধরে আনার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করে।

বাউন্টি হান্টারদের কাজ হলো, খুব খারাপ দাগী অপরাধীদের ধরে নিয়ে আসা বা তাদের খুঁজে বের করে হত্যা করা। বাউন্টি হান্টার বা কিলাররা হয় খুবই বেপরোয়া, অসম সাহসী আর অস্ত্র চালনায় পারদর্শী। উষর মরুভূমি কিংবা ভীত সন্ত্রস্ত জনপদে তারা ঘোড়া ছুটিয়ে শিকার খুজে বেড়ায়। কাউকে খুজে পেলে প্রয়োজনে খুন করতে দ্বীধা করে না একটুও। -------------------- কর্নেল ডগলাস এ মুভিতে একজন বাউন্টি কিলার হচ্ছে কর্নেল ডগলাস (ভ্যান ক্লিফ)।

পিস্তল কিংবা রাইফেল, যে কোনো অস্ত্র চালনাতেই তার কোনো জুড়ি নেই। হাতের নিশানা অব্যর্থ। তার চোখের সামনে কোনো অপরাধী পড়লে তার আর নিস্তার নেই। মেনকো আরেকজন বাউন্টি কিলার হচ্ছে মেনকো (ক্লিন্ট ইস্টউড)। নির্ভয়ে সে হানা দিতে পারে অপরাধীর আস্তানায়।

একাই যুদ্ধ করতে পারে বহু ডাকাতের সঙ্গে। পিস্তল চালনায় তার দ্রুততা আর স্টাইল অতুলনীয়। ইন্ডিও খুব খারাপ এক ডাকাত হলো ইন্ডিও (ভলন্তে)। খুন, ধর্ষণ, ডাকাতি হেন অপরাধ নাই সে করে নাই। সরকার ঘোষণা দিয়েছে ডাকাত ইন্ডিওকে খুন করলে বা ধরে এনে আইনের হাতে তুলে দিলে দশ হাজার ডলার পুরস্কার দেয়া হবে।

এছাড়াও তার দলের বিভিন্ন লোকজনের জন্য নানা অঙ্কের পুরস্কার ঘোষণা করা আছে। এ টাকার লোভে তার পিছু নিয়েছে দুজন বাউন্টি কিলার কর্নেল ডগলাস আর মেনকো। বাউন্টি কিলাররা অনুমান করেছিলো ডাকাত ইন্ডিও এ এলাকার সবচেয়ে ধনী আর সুরক্ষিত ব্যাংক এল পাসো লুট করার চেষ্টা করবে। এল পাসোতেই ডাকাত দলের গতিবিধি লক্ষ্য করতে গিয়ে মেনকো আর কর্নেল ডগলাস মুখোমুখি হয়। কিন্তু দুজনই দক্ষ বাউন্টি কিলার।

পুরস্কারের টাকার ভাগ অন্যজনকে দিতে রাজি নয় তারা। তাই একজন অন্যজনকে বের করে দিতে চায় এলাকা থেকে। দুজনের মধ্যে একটা ছোটখাট যুদ্ধ হয়ে যায়। খুন করা নয় বরং নিজেদের দক্ষতা প্রমাণ করারই ছিলো সে যুদ্ধের উদ্দেশ্য…. ডাকাত ইন্ডিওর দলের প্রত্যেকেই দাগী অপরাধী। সবার নামেই ঘোষণা করা আছে পুরস্কার।

ডাকাতদের হত্যা করে সে পুরস্কার নেয়াই দুজনের মূল লক্ষ্য। তাই এ এলাকা ছাড়তে রাজি হয়না দুজনের কেউই। ফলে তাদের দুজনের পার্টনারশিপ করতেই হয়। মেনকো জানায় টাকাগুলো তার বেশী দরকার। বাউন্টি কিলার দুজনের পার্টনারশিপ হবার পরে তারা সিদ্ধান্ত নেয় তাদের একজনকে কোনোভাবে ডাকাত দলের ভেতর ঢুকতে হবে।

সিদ্ধান্ত হয় মেনকো ঢুকবে ডাকাত দলে। এজন্য সে বন্ধু সেজে জেল থেকে মুক্ত করে ডাকাত দলের এক সদস্যকে। এরপর তার সহায়তায় ডাকাত দলে ঢুকে সে। অন্যদিকে মেনকো ও তার দল ডিনামাইট ফাটিয়ে ব্যাংকের ওয়াল ভেঙ্গে ফেলে। অনেক ডলার সহ ব্যাংকের প্রধান সিন্দুকটা গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় সে।

এক সুযোগে দলের তিনজন ডাকাতকে খুন করে সে। ডাকাত দলের ভেতরের ভুল বোঝাবুঝি আর কোন্দলও বাড়তে থাকে। এ সুযোগে বাউন্টি কিলার দুজন একে একে খুন করতে থাকে ডাকাত দলের সদস্যদের। আবার নিজেদের কোন্দলেও খুন হয় কয়েকজন। ব্যাংক ডাকাতি করে পাওয়া বিপুল অংকের টাকা তারা তখনো ভাগাভাগি করেনি।

ইন্ডিও চেষ্টা করছিলো দলের অন্যদের বঞ্চিত করে একাই পুরো টাকাটা নিয়ে নেয়ার জন্য। এক পর্যায়ে অবশ্য কর্নেল ডগলাস আর মেনকো ডাকাত দলের হাতে ধরা পড়ে। কিন্তু তাদের সর্দার ইন্ডিও ছেড়ে দেয় সে দুজনকে। উদ্দেশ্য ছিলো, পুরো দলের ডাকাতদের তাদের ধরার জন্য লেলিয়ে দিয়ে সে সুযোগে ব্যাংক ডাকাতির অর্থ নিয়ে পালিয়ে যাওয়া। এভাবে নানা ঘটনার পরে একেবারে দুর্বল হয়ে যায় ডাকাত দলটি।

কর্নেল ডগলাসের হাতে ডুয়েল লড়াইতে খুন হয়ে যায় তাদের সর্দার ইন্ডিও। জানা যায় অনেক বছর আগে ডাকাত ইন্ডিওর নৃসংসতার শিকার হয়েছিলো কর্নেল ডগলাসের বোন। কর্নেল ডগলাস ডাকাতদের হত্যা করার পুরস্কারের সব টাকা দিয়ে দেয় মেনকোকে। মেনকো যখন সবগুলো ডাকাতের মৃতদেহ নিয়ে পুরস্কারের ডলার হিসাব করছিলো তখন ২২ হাজার ডলারে এসে তার হিসাব মিলে না (যদিও সবগুলো ডাকাতের মূল্য হবার কথা ২৭ হাজার)। তার সন্দেহ হয় ডাকাতদের কেউ একজন তখনো বেচে আছে।

সতর্ক হয়ে যায় সে। ঠিক এ সময়েই পেছন থেকে আক্রমণ করে বেঁচে থাকা সেই ডাকাত। কিন্তু সতর্ক হয়ে যাওয়ায় এ ডাকাতকেও খুন করতে সক্ষম হয় মেনকো। ------------ ১৯৬৫ সালে মুক্তি পাওয়া এ মুভিটির পরিচালক হচ্ছেন সার্জিও লিওন। বি.দ্র. মুভিটিতে প্রচুর নৃশংসতা আর খারাপ দৃশ্য থাকায় ছোটদের সামনে না দেখার অনুরোধ রইলো।


 

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৫ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.