কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে সাত হাজার টাকার বিনিময়ে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীর বাল্য বিয়ে সম্পন্ন করেছে ভুয়া কাজী। এ ঘটনায় ওই ভুয়া কাজীসহ বাল্য বিয়ের বরকে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। আজ বৃহস্পতিবার উপজেলার উত্তর হাওলা ইউনিয়নের মুন্সিরহাট বাজার কাজী অফিসে এ বাল্য বিয়ের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নাথেরপেটুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর এক ছাত্রী (১২) স্কুলে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে একই উপজেলার বাকরা গ্রামের মৃত.ছমদ আলীর ছেলে আব্দুল কাদের (২০) এর সাথে পালিয়ে যায়। ওই প্রেমিক যুগল উপজেলার উত্তর হাওলা ইউনিয়নের মুন্সিরহাট কাজী অফিসে বিয়ের জন্য আসলে কাজী আবুল কালামের অনুপস্থিতিতে তার ২ ছেলে শাহাদাত হোসেন ও আনোয়ার হোসেন সাত হাজার টাকার বিনিময়ে তাদের বাল্য বিয়ে সম্পন্ন করে।
ওই প্রেমিক যুগল জানিয়েছে, ২ লক্ষ টাকা কাবিন দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে রেজিষ্ট্রি খরচ বাবদ ৭ হাজার টাকা নেয়া হয় । স্থানীয় সচেতন মহল ঘটনাটি দেখতে পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে খবর দেয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে ঘটনাস্থলে পৌছে ওই কাজীর দুই ছেলে ও প্রেমিক যুগলকে গ্রেফতার করে মনোহরগঞ্জ থানার এ.এস.আই আব্দুল কাইয়ুম ও জসিম উদ্দিন। এ সময় আটককৃতদের ভ্রাম্যমান আদালতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুনসুর আলম খাঁন ওই স্কুল ছাত্রীকে ১ হাজার টাকা জরিমানা, প্রেমিক আব্দুল কাদের ও ভুয়া দুই কাজীকে ১ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। জরিমানা দিয়ে তার পিতা মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে যান।
মনোহরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.জলিল আহামেদ বলেন, দণ্ডপ্রাপ্ত সকলকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত মাসে ওই ইউনিয়নের কাজী আবুল কালামকে বাল্য বিয়ে দেওয়ার সময় আটক করে পুলিশ। ওই সময়ে ভ্রাম্যমান আদালতে ওই কাজীর এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। এ ছাড়া তিনি কয়েক শ'বাল্য বিয়ে সম্পন্ন করেছেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।