কবিতা ও যোগাযোগ
গণতন্ত্রী পার্টির নেতা নুরুল ইসলাম ভাই চলে গেছেন। নিজের ঘরে আগুনে পুড়ে মারা গেলেন ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি। তাঁর ছেলেও মারা গেলেন। তাঁর স্ত্রী ষাটের অন্যতম কবি রুবী রহমান আমাদের প্রিয় মানুষ, প্রিয় কবি। আহা রুবী আপা আমেরিকায় গেছেন বেড়াতে মেয়ের কাছে।
ঘরে রেখে গেছেন পুত্র ও স্বামীকে। তারা দুজনেই চলে গেলেন। মর্মান্তিক মৃত্যু! এ-ও আমাদের মেনে নিতে হবে। নির্ভেজাল ভালো মানুষ এই নুরুল ইসলাম ভাই। একসময়ে ছাত্র ইউনিয়ন করতেন।
তারপরে কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) করতেন। কিন্তু তাঁর নেতৃত্ব ছিল শ্রমিক সংগঠনের দিকে। তিনি ঢাকা িবশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী অধিকার আদায়ের আন্দোলনেরন নেতা ছিলেন। তিনি এই সংগঠনেরও সভাপতি ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রি নিয়ে তিনি কর্মচারীদের সভাপতি হয়েছিলেন! এসকময়ে তিনি গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি হন।
কিন্তু শ্রমিক আন্দোলনেও সক্রিয় ছিলেন। এবারের নির্বাচনে তিনি মহাজোটের মনোনয়ন পেয়েছিলেন নোয়াখালী থেকে। হয়তো জিততেন। কিন্তু তার আগে তিনি চলে গেলেন। নাকি তাঁকে সরিয়ে দেয়া হলো! বিষয়টি তদন্ত হওয়া দ;রকার।
১৪দলও আশঙ্কা করছে এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। আমারও মনে হয় এটি নিছক দুর্ঘটনা নয়। ছক বাঁধা পরিকল্পনা হলে ধিক্কার জানাই। এবং দোষীদের খুঁজে বের করে শাস্তি দাবি করছি।
যা-ই হোক।
আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তাঁর সঙ্গে পরিচয় ছিল ছাত্রজীবন থেকেই। রুবী আপার সঙ্গেও পরিচয় ছিল কবিতাচর্চার সূত্রে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।