আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সিন্ডিকেটের অশুভ খপ্পরে বাংলাদেশ। “চার ও চৌদ্দ দলীয় ঐক্যজোট” -সিন্ডিকেটেড রাজনীতির অপরনাম!!!

ইচ্ছে করে হারিয়ে যাই তোমার সীমানায়

বর্তমানে সিন্ডিকেটেড রাজনীতি, সিন্ডিকেটেড শিক্ষাব্যবস্থা, সিন্ডিকেটেড ব্যবসা, সিন্ডিকেটেড সবকিছু। তত্তাবধায়ক সরকারের সময় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিষের দাম বেড়েছে। এটা ঠিক। কিন্ত এটাতো ঘটেছে মূলত আন্তর্জাতিক মূল্য, অবাধ মুক্তবাজার(?) ও অসাধু ব্যবসায়ীদের জন্য। ব্যবসায়ীরা এসবেরই গল্প ফেঁদেছে, যখন তাদের যেটুকু দরকার হয়েছে।

ফুঁলিয়ে ফাঁপিয়ে তা বাজারে ছেড়েছে। বর্ণাতীত মুনাফা লাভের মাধ্যমে ব্যবসায়ীক সিন্ডিকেট গোষ্ঠী তথাকথিত মুক্তবাজারকে বানিয়েছে মনোপলি বাজার। এসবেরই সৃষ্ট হয়েছে রাজনীতিবিদদের সরাসরী সহায়তায়, তাদের দূর্নীতির ডানার তলায় অবস্থান করে আর মুক্তবাজারের দোহাই দিয়ে। কোথায় মুক্তবাজার অর্থনীতি? সরকারের প্রতাপশালী মন্ত্রীরা বারবার বলেছে মুক্তবাজার অর্থনীতিতে তাদের কিছু করার নেই। তারা আসলে মুক্তবাজার বলে কিছু বুঝতো কিনা সন্দেহ।

অন্যদিকে এনজিও এর সাথে সম্পৃক্ত দেশের প্রথিতযশা অর্থনীতিবিদ্গণ তারস্বরে মুক্তবাজারের থিওরি কপচিয়ে আর জয়গান করে সবাইকে ব্যতিব্যস্ত করে তুলেছিলেন। এখনতো সারা বিশ্বে জিনিষপত্রের দাম কমছে। অথচ বাংলাদেশে তার কোন প্রতিফলন নেই। বরং উল্টোটা ঘটছে এখানে। প্রতিদিনই দাম বেড়ে চলেছে।

সব সিন্ডিকেটেড ব্যবসায়ীদের কারসাজী। এখন আপনারা কোন থিওরি কপচাবেন শুনি? খোদ আমেরিকাতেই আজ সেই মুক্তবাজার মুখ থুবড়ে পড়েছে। তাকে টেনে তুলতে সরকার বিলিয়ন ডলারের যোগান দিয়েও কুলোতে পারছে না। তার সঙ্গে প্রয়োজন হয়ে পড়েছে বাজারকে শক্ত হাতে নিয়ন্ত্রণের। বিষ্ময়ের সাথে বর্তমানে লক্ষ্য করতে হয়, এই তত্বাবধায়ক সরকার স্ক্র্যাপ লোহার আমদানীকারক সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দেওয়ায় রডের দাম এখন ৭৪ টাকা থেকে ৫০ টাকায় এসে ঠেকেছে।

এর থেকে আমাদের ভবিষ্যত সরকার, আমলা ও অর্থনীতিবিদ্গণের অনেক শিক্ষণীয় আছে। পূর্ববতী সরকার প্রধানরা বলেছেন, আমরা ক্ষমতায় থাকাকালে কোন জিনিষের দাম বাড়াইনি, জনগনকে দুবেলা পেট ভরে ভাত খাইয়েছি, কাজ দিয়েছি, দেশে উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিয়েছি!!! এগুলো বলা বাতুলতা মাত্র। জনগন বোঝে এইসময়ে আপনারাও ক্ষমতায় থাকলে জিনিষ-পত্রের দাম ঠিকই বাড়তো। বরং আরেকটু বেশীই বাড়তো। এটা শুধু বাংলাদেশেই বাড়েনি পৃথিবীর অন্যান্য প্রত্যেকটি দেশে বেড়েছে।

তারা এখন বলছেন জনগন উদ্গ্রীব হয়ে আছে তাদের সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করবার জন্যে। কখনোই না। তারা চাই শান্তি। তারা আর দূর্নীতি, হরতাল ও মারকাটের রাজনীতি দেখতে চাইনা। গন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থা ছাড়া আমাদের আর কোন বিকল্প তরিকা নেই।

থাকলে ভালো হত। কারন এটা প্রমানিত হয়ে গেছে পশ্চিমা ধাঁচের গনতন্ত্র ব্যবস্থায় অনেক ফাঁক-ফোঁকর রয়ে গেছে। তাই পশ্চিমা গনতন্ত্র ব্যবস্থার পুরোটা দুনিয়ার সমস্ত দেশে একইভাবে প্রযোজ্য নয়। যেহেতু আমরা বিকল্প পথ পাচ্ছিনা, তাই আপাততঃ আবার আমাদেরকে ভোট দিয়ে সেইসব মহারথীদেরকে নির্বাচিত করতে হবে পুনরায়-সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য সৃষ্টি করে রক্ত চোষার জন্য। আমাদের পুরানো অভিজ্ঞতা বলে, অধিকাংশ সাংসদই হচ্ছেন দূর্নীতিগ্রস্থ ও সন্ত্রাসের আশ্রয়দাতা।

আর কতদিন জনগণকে বোকা বানাবেন। আপনাদের কথাবার্তা শুনলে মনে হয়, রাজনীতিবিদগণই এদেশে সর্বজ্ঞ্যানী আর জনগণ হলো রামছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা। অনেক হয়েছে। এবার ক্ষান্ত দিন। প্রিয় দেশের কথা ভাবুন, জনগনের দিকে একটু তাকান।

কি নিয়ে যাবেন কবরে? সেইতো খালি দেহখানি। আপনাদের কি এখনো ভয় হয়না মৃত্যুর? যেখানে একটু গা ব্যাথা করলেই যেতে হয় বিদেশের উন্নত দামী হাসপাতালে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.