দুপুর বেলা গাল্স স্কুলের পিছনের একটা গলিতে কয়েকজন বন্ধু আড্ডা দেয় প্রতিদিন। মনা একটা মেয়েকে ভালোবাসে সেই মেয়েটি এই স্কুলেই পড়ে। মেয়েটি তাকে পছন্দ করেনা কিন্তু মনা তা মেনে নিতে পারেনা। মনা একটা বেকার যুবক,তার বাবার অনেক আছে কিন্তু সেইটা পছন্দ নয় সিফার। তাদের বাড়ী মনার বাড়ীর পাশের গ্রামে।
এই দুইগ্রামের মানুষ কেউই কারও ভালো চায়না। এর মধ্যে একটা ভালো কিছু করার চেষ্ঠা নিয়ে মনা তার প্লানে চলতে থাকে। একদিন মনা সিফাকে ফুল দিতে গেলে মনাকে যথেষ্ট অপমান করে। মনা বন্ধুদের সামনে চরম অপমানবোধ করে। সেই জিদে সিফাকে একটা থাপ্পর মেরে বসে।
সিফা বাড়ীতে গিয়ে তার চাচাতো ভাইকে ঘটনা বর্ননা করে। সিফার চাচাতো ভাইয়ের নাম রন্টু। সে খুবই ছোটবেলা বাবা এবং পরে মা হারিয়ে লেখাপড়া বেশী করতে পারেনাই। ছোট্টবেলা থেকেই উগ্র মেজাজের একজন মানুষ। বয়স খুবই বেশী হলে ১৬ বছর।
বাবা-মা হারা ছেলে তাই সবাই একটু সমীহ করে এই সুযোগে বেপরোয়া হয়ে উঠে রন্টু । ঘরে ঠিকমতো থাকেনা হঠাৎ কোথায় যেন হারিয়ে যায় গ্রামের কেউই খোঁজখবর দিতে পারেনা আবার হঠাৎ একদিন অন্ধকার রাতে গ্রামের মানুষের সাথে আড্ডা দিবে। এমন প্রকৃতির একজন যুবক রন্টু। তার চোখে - মুখে তাকালে মনে হয় তার কোন চাওয়া বা পাওযার কিছু নেই মনেহয় সবই যেন হারিয়ে ফেলেছে। যাহোক সিফার অভিযোগ শুনে সোজা মনাকে খোঁজতে বের হলো।
রন্টু তার কয়েকজন বন্ধু নিয়ে খোঁজাখুজির একপর্যায়ে মনাকে পেয়ে জোরকরে রিক্সাই উঠিয়ে নেই এবং একটু দুরে গিয়ে পর পর কয়েকটি স্টেপ করে রাস্তায় ফলিয়ে দেয়। লোকজন মুহুমূস্ব অবস্থায় উদ্বার করে হাসপাতারে নেওয়ার পর সে মারা যায়। দুই গ্রামে চরম উত্তেজনা শুরু হয়! কিন্তু এমন একটা ঘটনা দুইগ্রামের মানুষই মেনে নিতে পারলনা। থানায় মামলা হলো প্রকৃত খুনি উধাও নিঅপরাধী মানুষ গুলো জেলে রইল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।