আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তারা দুজনে.....(গল্প)



"এই, ....... তোমার কাছে কত টাকা হবে?" আমি সবগুলি পকেট আঁতিপাতি করে খুঁজে দেখলাম। পকেট তো অনেকগুলি! কিন্তু গুটিকয়েক নানা আকারের রঙবেরং এর কাগজের টুকরা ছাড়া কিছুই খুঁজে পেলাম না। কয়েকটায় নাম আর মোবাইল নাম্বার লেখা, তিনটায় খালি মোবাইল নাম্বার, একটা দেখি আবার প্রেমের কবিতা! (এটা আসলো কোথা থেকে!); পাঁচটা বিল, তিনটা ন্যাপকিন আর কিছু হাবিজাবি হাতের লেখার (আমার!) কাগজের টুকরা। কিছুক্ষণ মাথা ঘামিয়েও উদ্ধার করা গেলোনা কি লেখা ছিল। "একটা ফুটো কড়িও নেই!" জবাব দিলাম।

নিজেকে বেশ ভারমুক্ত মনে হলো। কপর্দকশূন্য থাকার অর্থ হচ্ছে আমি একেবারেই নিঃস্ব- আর তার মানে আমি স্বাধীন! আমার কিছুই করার নেই, কোন সিদ্ধান্ত নেবার কিছু নেই। । ..... কিছু করতে হবে -এই চিন্তাটা আমার কাছে বরাবরই পীড়াদায়ক। পেনিলোপ, মানে পেনি- খবরটা শুনে যে খুব বিমর্ষ হয়েছে -তা মোটেই মনে হলো না।

ও আমার কাছ থেকে এধরণের জবাব পেতে এতো অভ্যস্ত এটা নিয়ে আর মাথা ঘামায় না। আমরা একটা বেঞ্চে বসা। জং ধরা, ময়লা; কিসের যেন একটা খোঁচা লাগছিলো- কোন খুলে আসা স্ক্রু হবে মনে হয়। আজকাল এই ধরনের পার্কে আমাদের মতো লোকেরা ছাড়া কেউ তো আসে না! আমাদের তো কোথাও যাবার জায়গা নেই। বেশ শীত শীত ভাব; আমরা জড়াজড়ি করে বসে ছিলাম।

ও আমার মাথার চুল নিয়ে খেলছিল- আর আমি ঘাটছিলাম ওর ভ্যানিটি ব্যাগ। নানান হাবিজাবি জিনিস দিয়ে ভরা- কেবল টাকা পয়সার কোন চিহ্ন নেই। পেনির চোখদুটি একটু উদাসীন বিষন্নতা ছাওয়া। তারপরও ভালোমতো লক্ষ্য করলে বুঝা যায়- কখনো কখনো কিসের যেন একটা দ্যুতি খেলা করছে- কিছুটা অস্বস্তিকর ব্যাপারটা। আমাদের জামাকাপড় একেবারেই নোংরা।

দুজনেই খিদেয় অস্থির। পেনি কখনোই বাস্তবতা নিয়ে মাথা ঘামায় না! এজন্যই হয়তো ওকে আমি ভালোবাসি। আমার মতো সেও কখনো, " এখন কি হবে?!!" এ জাতীয় কথা মুখেও আনে না। ভ্যানিটি ব্যাগের কোনা থেকে কিভাবে যেন একটুকরা চিউইং গামের প্যাকেট বের হলো! সেখান থেকে একটা রাংতা বের করে অর্ধেক নিজে নিলো, বাকিটা আমাকে দিল। প্যাকেটের বাকিটা আবার ব্যাগের ভেতর।

স্ট্রবেরী ফ্লেভারের চিউইং গাম - ফূর্তিতেচিবুতে চিবুতে নিজের লেখা একটা কবিতা আওড়াতে লাগলাম- "কোন সে বাদল দিন- যুবকেরা কেউ নেই, ভেসে আসে শ্বাপদের চিৎকার- আধাঁর করে আসা মেঘ দল দেখে...." পেনি খুব হালকা একটা শীষ বাজাতে লাগলো; চারদিক কি মধুময়ই না এখন লাগছে। প্রবল ভালোবাসা বোধ করছিলাম সবকিছুর জন্য। কি চমৎকারই না এই জগৎটা!! (এনামুল আজিম রানার গল্প থেকে অনুদিত) "How much money have you got?" I searched all my pockets, there were many of them, and found nothing except various sized and colored broken pieces of paper, some of them contained name and mobile numbers; three contained only mobile numbers, one was a love poem ( how did it get into my pocket?!), five bills, three napkins and some other contained notes written in illegible handwritings (mine) that resisted deciphering even after several attempts. "None", I replied. I was a bit relieved. Not having money meant I was in a poor condition and being poor meant being free. free to do nothing। I did not need to decide about anything more, ai, money. The decision was already taken, I had nothing to do, and doing anything, as far as I could remember was a burden to me. Penelop, that's Peny, looked not much saddened by the news; she had heard me answer that question with that particular answer too many times to bother any more about it. We were sitting on a bench, rusted and dirty, something poking me, maybe a loosen screw, in a park that nobody cared these days to come except us, as we had no where to go, and it was so cold that we snuggled, her hand playing with my hair, and I with her vanity bag, that contained like my assorted notes many strange things except money, of course. Peny's eyes were dull melancholy, yet if you looked hard you would detect sometimes a bright spark, that would make you uneasy. Our clothes were dirty, and both of us were starving. Peny never cared about the reality, even, that’s why I loved her, I guessed, for she never uttered, " What can we do?" sort of things, like me. Peny rummaged her bag and brought a pack of chewing gum, cut open the pocket, she took one of them out, discarding the colophon pack, she cut it half, gave one half to me, and put other half to her mouth, and returned the left over pack to her bag. It had e strawberry flavor, and while we munched it gaily, I recited a poem of my own, "It was a rainy day All the boys had gone An astray dog barking aloud seeing maybe the darken cloud." Peny started whistling softly, and I felt deep love towards everything, what a fine world this is!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।