আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘দুজনে বসে কূজনে কি কথা’

জনগণ আন্দোলনের ডাকে সাড়া না দেয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা এখন নতুন কৌশল খুঁজছেন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

দলীয় চাপে রাষ্ট্রপতির পদ ছাড়তে বাধ্য হওয়া বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব বদরুদ্দোজাকে ‘বদু কাকা’ সম্বোধন করে খালেদার সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেছেন, “আজ দেখি দুজনে বসে কূজনে কি কথা বলে!”

৭ মার্চ উপলক্ষে শুক্রবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের জনসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিএনপি প্রধানের প্রতি ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, “উনি এখন আন্দোলনের নতুন নতুন সূত্র খুঁজে বেড়াচ্ছেন। আর উনার হারিয়ে যাওয়া বা তাড়িয়ে দেয়াদের কাছে যেয়ে আবার ধরণা দিচ্ছেন। ”

এরপর বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে বিকল্পধারা সভাপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বৈঠকের প্রসঙ্গ টানেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “ছবি দেখলাম। একেবারে লাল টুকটুকে শাড়ি পরে বদু কাকার সাথে সাক্ষাত করছেন।

“আমি ঠিক জানি না, আমাদের বদু কাকা একগুচ্ছ রজনীগন্ধা নিয়ে গিয়েছিলেন কি না ওনার কাছে? কারণ, একবার অভিমান ভরে বলেছিলেন, ‘একগোছা রজনীগন্ধা হাতে নিয়ে আমি চললাম’। এই বলে তিনি চলে গিয়েছিলেন। ”

বিএনপি নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোট সরকারের সময়ে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পান জিয়াউর রহমানের ‘ঘনিষ্ঠজন’ বদরুদ্দোজা চৌধুরী।

কিন্তু ২০০২ সালের জুন মাসে দলীয় চাপে পদত্যাগ করেন এবং পরে নতুন দল গড়ে তোলেন।

২০০৩ সালে দলীয় এক কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাওয়ার পথে মহাখালী রেলক্রসিংয়ে স্থানীয় যুবদলের হামলার শিকার হন বদরুদ্দোজা চৌধুরী। সাবেক রাষ্ট্রপতিসহ নতুন রাজনৈতিক দলটির নেতাকর্মীরা রেল লাইন দিয়ে দৌড়ে রক্ষা পান।

ওই হামলার কথা মনে করিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “খালেদা জিয়া এমন ধাওয়া দিয়েছিলেন যে, রেললাইনের তলা দিয়ে ওনাকে পালাতে হয়েছিল, উনার ছেলেসহ (মাহী বি চৌধুরী)। ”

বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে খালেদা জিয়ার ধারাবাহিক বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, “উনি এখন সবাইকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন।

দেশের জনগণ বিএনপি-জামায়াতের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “যতই ছলাকলা কৌশল করুক না কেনো? এই খুনীদেরকে মানুষ আর চায় না। ”

বিএনপি প্রধানের সঙ্গে বিদেশি কূটনীতিকদের বৈঠক নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশের মানুষের সাড়া না পেয়ে উনি ধর্না দেন বিদেশিদের কাছে। কোনো অ্যাম্বাসি বাদ থাকে না। কোনো কোনো অ্যাম্বাসেডর পারলে তো সপ্তাহে একবার, পনোরো দিনে একবার দেখা করেন। আর আমাদের নামে নালিশ করেন।

“তো নালিশ করে কী পেয়েছে? নালিশ করে বালিশ পেয়েছে। ভাঙ্গা জুতার বাড়ি খেয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ এই বাড়িটা দিয়েছে। ”


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।