শুক্রবার কাঠমান্ডুতে তিনি বলেন, “স্বদেশের পক্ষে খেলতে পারা আমার জন্য বিরাট প্রাপ্তি। জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার সময় ভাবতেই পারিনি প্রথম একাদশে জায়গা পাবো। নিজের দেশের হয়ে তিনটি ম্যাচ খেলতে পেরে আমি গর্বিত। ”
“এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। এটা দারুণ এক অভিজ্ঞতা।
”
তবে স্বপ্নপূরণ হলেও সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ দলের ব্যর্থতায় জামাল ব্যথিত। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সাফল্য পেলে তো ভালোই লাগতো। সাফল্য পেতে হলে একটি দলকে প্রতিটি বিভাগেই ভালো খেলতে হয়। কিন্তু কিছু বিভাগে ভালো করলে, আর কিছু বিভাগে খারাপ করলে সাফল্য আশা করা যায় না। ”
“অবশ্য আমাদের দলের কয়েক জন শতভাগ ফিট ছিল না।
এমনও হয়েছে, কয়েক জন খেলোয়াড় ৪০-৫০ মিনিট পরই হাঁপিয়ে পড়েছে। আন্তর্জাতিক ফুটবলে এমন ফিটনেস নিয়ে ভালো করা খুবই কঠিন। ”
নিজের ফিটনেস সম্পর্কে জামাল বলেন, “আমি আমার ফিটনেস নিয়ে সব সময় সচেতন। আমি নিয়মিত জিমে যাই, নিয়মিত ঘুমাই, নিয়মিত খাওয়া-দাওয়া করি। তাই আমি ফিটনেস ধরে রাখতে পেরেছি।
অন্যরা কী করে তা জানি না। তবে একজন ফুটবলারের এই সব বিষয় মেনে চলা খুবই জরুরি। তাহলেই মাঠে ভালো খেলা সম্ভব। ”
ঢাকার কোনো ক্লাবে খেলার প্রস্তাব পেলে খেলবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমি এখনও ঢাকার কোনো ক্লাব থেকে খেলার প্রস্তাব পাইনি। যদি পাই তাহলে আমাকে অনেক বিষয় বিবেচনা করে দেখতে হবে।
কেমন পারিশ্রমিক পাবো বা অন্যান্য সুবিধা কেমন হবে তা ভেবে দেখা দরকার। ”
বাংলাদেশ দলের ডাচ কোচ লোডভিক ডি ক্রুইফ তো জামালের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তিনি বলেন, “একজন পূর্ণাঙ্গ ফুটবলারের যে সব গুনাবলী থাকা প্রয়োজন তা জামালের মধ্যে আছে। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের তিনটি ম্যাচেই সে খুব ভালো খেলেছে। দিন-দিন তার পারফরম্যান্সের উন্নতি হয়েছে।
”
“নেপালের বিপক্ষে মোটামুটি ভালো খেলার পর ভারতের বিপক্ষে সে বেশ ভালো খেলেছে। আর পাকিস্তানের বিপক্ষে তো অসাধারণ খেলেছে। ”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।