পাখি এক্সপ্রেস
ভালোবাসতে শুরু করেছি সুড়ৎ করে সরে পড়া নখের ডগা, আঙ্গুল কর-
একাগ্রতা এসেছে খসে পড়া কেশগুচ্ছের বিলাপ শ্রবনে...।
সে ঢের আগের শুরু। যদিও সমস্ত আকাশে পর্যাপ্ত নীল ছিলো,
মেঘও ছিলো বৃষ্টি প্রসব করার মতো।
কবিগানের আসর বসেছিলো অবলার বাসরে,
সমস্ত সুখ সুড়সুড় করে নেমেছিলো মৃণাল সুড়ঙ্গে।
মূহুর্তে মূহুর্তে আমার ছুটে চলা নতুন প্রেম আসা ডাহুকের শরীরে,
মাছানঘরের টিকে থাকার সৌন্দর্যে, সুখ নিতে নিতে ক্লান্ত চোখে
ছিটিয়েছি তোমারই চুলধোয়া জল।
তারও অনেক পরে অবলার অসহ্য সুখের জলাশয়ে স্নান সেরে
আবার ছুটে যাই তোমার একেকটি হেয়ালী সময় কুড়িয়ে আনতে-
যেখানে মৌনতা সেখানেই ছুটে চলা। ঝেড়ে ফেলা, ছুড়ে ফেলা,
খসে পড়া ইত্যাদির আগে পরে আমি ছিলাম দেবতার মতো সত্য।
সাদৃশ্যতা ছিলো না এপথে আর ওপথে, অথচ আমি মাঝখানেই ছিলাম।
সে সময় তুমি কতিপয় নতুন শরীরের ঘাম সাঁতরাতে ব্যস্ত ছিলে !
সত্যি সেখানে সুখ ছিলো দন্তরোগীর মাড়ির সুখের সমার্থক।
আহ! উহ! শব্দগুলো জ্যোৎস্না এনেছিলো
তোমার শরীরের মতো লুটিয়ে পড়া বাগানের অন্ধকার কোনে,
যেখানে দৃষ্টি খোঁজে নিষিদ্ধ কিছু।
আজো আমি সিদ্ধ রই তোমার ডানে বাঁয়ে মাথা নাড়ানোর দৃশ্যে,
যেদিন আঁচল টেনেছিলো মাটির গালের মেছতার মতো পাপ।
তুলির গায়ে লেগেছিলো কুয়াশা, বাতাসের গায়ে অঘোষিত মৃত্যুর শেষ নি:শ্বাস।
ভালোবাসা বলে যা ছিলো-
তোমার বুকের উচ্চতায় কোন পরিবর্তন আনেনি, দেহের কোথাও ঘুম নামেনি,
স্বাস্থ্যবান আঙ্গুলেরা রচেনি একটি উন্নত রতিরত্তির সুখপ্রপাতে পিপিলিকা ভ্রমন,
একবারও তোমার হাঁপিয়ে ওঠা হয়নি, দেখোনি একটিও আঁধার কোলাহল, যদিও
নুপুরসহ অন্যান্যরা বেজেছিলো কোন আগমনীর বরনোৎসবে।
তারপর একটি উৎসবও তোমাকে হারাতে চায়নি, একাই ভুগেছিলে সে সুখে,
আমি ছিলাম নতুন দেহগুলোর উত্তেজনার দু:খ হয়ে।
পুরো বন্যপথে লেগেছিলো সবুজের আবেদন- আমি বিরতিহীন চেটেছি সে সুখ।
এখনো এ পথ ধরে অবলারা বাসরে হেঁটে যায়
ডাহুক ফেলে যায় পরিত্যক্ত রতিসুখ
মাছানঘরের দিকে ছুটে চলা দীর্ঘাযু ছাপ রাখে পায়ের তালুর
স্বাস্থ্যবান নতুন দেহগুলোর ভারে কোথাও কোথাও জন্ম নেয় প্রশস্ত গর্ভ...।
ঢের স্থুল পথ, তাজা ঘাস, পথের সোনাধুলির চিকচিকে রোদ্দুর গাল
তবুও কোথা কোথা শ্বেতঘাসের থোকপড়া দাগ পুরো পথ ধরে, হয়তো
আমার মতো কেউ বিছায়েছিলো অপেক্ষার প্রহর-
এক দেহ অস্থিরতা ঘাসের বুকের ওপর ঋনী হতে থাকে।
... এসব ক'দিন আগের কথা! এখন ভালোবাসতে শুরু করেছি
সুড়ৎ করে সরে পড়া নখের ডগা, আঙ্গুল কর। একাগ্রতা এসেছে
খসে পড়া কেশগুচ্ছের বিলাপ শ্রবনে...।
প্রচুর সুখগন্ধ নাকে এসে ঝাপটায়।
০৭.১১.০৮
রাত ১১.৫০ মি.
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।