বন্ধুদের নিয়ে বাঁচি
কাল কয়েকজন মাদ্রাসা ছাত্র লালন ফকিরের মূর্তিতে রশি বেঁধে টানাটানির স্পর্ধা দেখানোর সময় কতৃপক্ষ বা পুলিশতো কোন বাঁধা দেয়ই নি উল্টো, অত্যন্ত দুঃখ জনক খবর হচ্ছে পরাজয় মেনে সিভিল এভিয়েশন নিজেরাই তা সরিয়ে নিয়েছে!!!
আশ্চর্য হওয়ার বাকি আছে এখনো। প্রথমেই, অনুষ্ঠিত মোল্লাদের একটা প্রেস ব্রিফিং দিয়া শুরু করি। লালনের ভাস্কর্য সরানোতেই সন্তুষ্ট নয় তারা। আল্টিমেটাম দিয়েছে, লালনের ভাস্কর্য যেখানে বানানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল সেখানে একটি অত্যাধুনিক হজ্জ্ব মিনার বানাতে হবে। এর এদিক ওদিক হলে তারা মানবে না।
এবং যিনি ভাস্কর্য স্থাপনের পরিকল্পণা করেছেন ,তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইতে হবে। ২৪ অক্টোবর তারা এয়ারপোর্টের সামনের চত্বরে হজ্জ্ব মিনার বসানোর ১ দফা দাবিতে মহা সমাবেশ করার ঘোষনাও দিয়েছে।
মোল্লারা লালনের ভাস্কর্যের যায়গায় হজ্জ্ব মিনার করার জন্য সংঘবদ্ধ হতে একটা কমিটিও করেছে। এর নাম দিয়েছে,বিমান বন্দর গোলচত্ত্বর মূর্তি প্রতিরোধ কমিটি। কমিটির চেয়ারম্যান সেঁজেছেন,মূফতি নূর হোসেন নূরানী।
নামের পেছনে দেখলাম নতুন করে লাগিয়েছেন,পীর সাহেব মুন্সীগঞ্জ। চরমোনাই পীরের অনুসারী এই পাবলিক বছর ৬/৭ আগেও মোল্লাদের সঙ্গে পুলিশের সঙ্গে মারামারিতে প্রথম সারিতে থাকতো। হাঙ্গামাবাজ,বখাটে,উগ্র বলতে যা বোঝায়। তাকে আজ প্রেস ব্রিফিংএ পীর রূপে আভির্ভুত হতে দেখে খুব চমকিত হলাম। এসব পরে বলি।
লালনের মূর্তির ভাস্কর ছিলেন,মৃণাল হক। তার সাথে অল্প কথা হলো। জানালেন,সিভিল এভিয়েশনের সঙ্গে বৈঠক আছে। প্রতিক্রিয়া কণ্ঠেই প্রকাশ পেল অনেকটা। দুঃখ পেয়েছেন বোঝাই যায়।
মোল্লাদের আয়োজনে জরুরী আইনের প্রতি কোন তোয়াজ আছে কিনা বোঝা মুস্কিল হবে। তারা একাজে মসজিদের ইমামদেরও মাঠে নামাচ্ছে। কর্মসূচিতে আছে,`খতিবগন ১৭ অক্টোবর জুমায় মূর্তি বসানোর পরকল্পণাকারীর শাস্তি চেয়ে বয়ান করবেন এবং নিজ নিজ এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করবেন'।
২১ থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত প্রতিনিধি সম্মেলন ও ঢাকায় জন সংযোগ করবে তারা।
এর বিপরীতে সংস্কৃতি সেবীদের কর্মসূচি কী!? শিল্প সংস্কৃতি রোধে সবসময়ই মোল্লাদের রক্ত চক্ষু আর জঙ্গীপনাকে আস্কারা দিয়েছে সব সরকারই।
এই সরকারও দিল!!! তাহলে বলা যায় ওয়ান ইলেভেন মোল্লাদের জঙ্গীপনায় কোন সংস্কার আনতে পারেনি।
আশ্চর্য হওয়ার দরকার কি,যদি জানেন,লালনের ভস্কর্যের স্থানে হজ্জ্ব মিনার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়!
এয়ারপোর্ট মনে হচ্ছে খালি হজ্জ্বের উদ্দেশেই ব্যবহার হয়।
কেউ যদি বুঝিয়ে নুরানীকে নিরস্ত করতে পারবেন বলে মনে করেন তাদের জন্য- লালনের মূর্তি সরানোর উদ্যোক্তা ও ভন্ডপীর নূর হোসেন নূরানীর ফোন নাম্বার ০১৭১১১৫৯৬৭৫ তার ইন্টারভ্যূ নিতে পারলে ব্লগে দেয়ার অনুরোধ রইলো।
দুঃখ, লালন ফকিরের মৃত্যু দিবস নিয়ে দেশের সাংস্কৃতিক পন্ডিতরা যখন অনুষ্ঠানে রাশভারি বক্তব্য দিচ্ছেন,তখন মোল্লারা তার ভাস্কর্য উপড়ে ফেলে!!! মন থেকে লালনের গান উপড়ানোর কোন পরি কল্পনা নেইতো ওদের
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।