এনামুল আজিম
কম্পিউটার কৌশল
এখন থেকে পনের বছর আগে রাউলের থিওরেম প্রকাশিত হয়। এই বিখ্যাত থিওরেমের বক্তব্য- "প্রকৃতিতে যে কোন কিছুই প্রমাণ অথবা অপ্রমাণ করা সম্ভব!" এ থিওরেমের উপর ভিত্তি করে বিজ্ঞানের প্রতিটি শাখা পরিবর্তিত হয়ে যায়।
সাত বছর আগে শুরু হয়েছিল শূন্যতা আন্দোলন। এ আন্দোলনের গুরুজন র্যাপটিনের মতে, রাউল'স থিওরেম অনুযায়ী জগত অস্তীত্বহীন প্রমাণ করা সম্ভব। সুতরাং জীবনধারনের কোন অর্থ হয়না।
র্যাপটিনের বিভিন্ন গ্রহে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পনের বিলিয়ন সমর্থকগণ আত্মহত্যার উদ্যোগ নেয়। প্রথমে র্যাপটিন আত্মহত্যা করে। দেখাদেখি প্রথম দফায় আরো এক মিলিয়ন লোক। কিন্তু তারপরই উদঘাটিত হয় আসলে র্যাপটিন আত্মহত্যা করেনি। ফলে বিশাল এক বিপর্যয়ের হাত থেকে মানবজাতি রক্ষা পায়।
র্যাপটিনের আত্মহত্যা করার মতো সাহস ছিলনা। কিন্তু তাকে সাজা মওকুফ করে দেওয়া হয় কেননা সে যদি নিজের মত বিশ্বাস করে আত্মহত্যা করত তাহলে আরো পনের বিলিয়নের জীবনও যেত। পরবর্তী বছরগুলো কেটেছে সংকটময়। এ ঘটনার প্রভাবে প্রায় সব মানুষই বিজ্ঞান এবং বিজ্ঞানের ভুল ব্যাখ্যার উপর দাড়ানো দর্শন গুলো অপছন্দ করতে শুরু করে। এ সুযোগে আত্মাবাদী দর্শন গুলো ফিরে আশার চেষ্টা চালায়, তবে যথারীতি প্রত্যাখাত হয়।
আজ রাউল'স থিওরেমের পনেরতম ঘোষণা বার্ষিকী। বিশাল হলোস্ক্রীনে রাউলকে দেখা যাচ্ছে। এবার শোনা গেল তার কন্ঠ, "আমার থিওরেম মানব জাতির সামনে নতুন পথ খুলে দিয়েছে। কিন্তু মানুষ আসলে বুঝতে পারেনি এখনো আমার মূল বক্তব্য। মানুষ আজ বিশ্বাস করে যুক্তিতে কিন্তু যুক্তিতে 'বিশ্বাস' শব্দের কোন অর্থ নেই।
মানুষকে তার নিজের যুক্তির ভিত্তিতে জীবন চালাতে হবে, সেই সাথে মনে রাখতে হবে, এই যুক্তি তার জীবদ্দশায় অপটিমাম সলিউশান মাত্র । আর কিছু নয়......"
[রাউল'স থিওরেম এর পনের বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে বিশ্ব সংবাদ সংস্থার পরিবেশিত সংবাদের অংশবিশেষ]
'রানা' র এই গল্পটা বুয়েটের কোন সাহিত্য প্রকাশনায় ছাপা হয়েছিল। বাংলায় লেখা এই গল্পটা হুবহু তুলে দিলাম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।