আমাদের দেশে রাজনীতি এখন ব্যবসা হিসাবে বিবেচিত হয়ে থাকে, আগের সেই দিন আর নেই যে যারা রাজনীতি করবেন তারা তাদের জীবনযাত্রা খুব সাধারণ থাকবে। এখন হচ্ছে সেই সময় যার হাতে ক্ষমতা আছে তার কাছে সব আছে। আমরা তরুন সমাজ এই দেশ নিয়ে অনেক ভাবি এবং ইদানিং বেশ কিছু তরুন রাজনীতিতে আসার ইচ্ছে পোষণ করছেন। তারা সবাই স্রোতের বাইরে গিয়ে কিছু করার চিন্তা, ভাবনা করছেন কারন আমাদের দেশের রাজনীতিবিদরা এখনও এমন ভাবে রাজনীতি করেন না যাদের আদর্শে নতুনরা এগিয়ে যাবে, যদিও তার প্রতিফলন ওইভাবে আসছে না এখন ও পর্যন্ত।
আমিও জ্ঞান দেয়ার মত করে একটি পরামর্শ শেয়ার করতে চাই সবার সাথে তা হল, আমাদের সরকারকে প্রাইভেট লিমিটেড করে ফেলতে হবে।
সবাই শুনে হাসতে পারেন কিন্তু আমি ব্যাখ্যা দিচ্ছি, বড় বড় মালটিনেশানাল কোম্পানি গুলোতে দেখা যায় যে তাদের বিশাল একটা ব্যাকআপ লাইন থাকে যেখানে কোম্পানির জুনিয়ররা আস্তে আস্তে কাজ শিখে উপরের দিকে ধাবিত হয়। অনেকে ভেবে থাকেন এটা ভেবে যে এতে কোম্পানির ক্ষতি হয় কিন্তু আসলে কিন্তু তা না , যাদের চিন্তা সুদূরপ্রসারী তারাই সাধারণত এই কাজটি করে থাকেন। এতে হয় যেটা তা হল জুনিয়ররা ভালো একটা লাইন পায় যাতে করে তারা সহজে কাজ গুলো বুঝে ভবিষ্যতে কোম্পানির উপকারে আসতে পারে। আমাদের রাজনীতিতেও এমন কিছু থাকা দরকার হয়তো যুগে যুগে আমরা দেশ বরেণ্য রাজনীতিবিদ পাবো না কিন্তু তাতে দেশের ক্ষতি হবে না।
এখন আসা যাক রাজনীতির ক্ষেত্রে কেন প্রাইভেট লিমিটেড করতে বলছি, এই জন্য বলছি আমাদের দেশে এমন কোন যোগসূত্র নেই যাতে করে নতুন যারা তরুন শিক্ষিত সমাজ রাজনীতিতে আসতে চাচ্ছেন তারা কোন কিছু দেখে শিখে আসবেন।
এইতো কদিন আগেই এক জন মেয়ে তার ইচ্ছে জানিয়েছেন যে দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে চান। আমরা নিজেরাই দেখছি আমাদের দেশ দিন দিন অযোগ্য লোক দিয়ে ভরে যাচ্ছে। এ থেকে উত্তরনের রাস্তা হতে পারে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি কারন অতিতে এমন অনেক দেখেছি যে সরকার হয়তো চালাতে পারছেনা কিন্তু ওই কোম্পানিই যখন কিনা প্রাইভেট লিমিটেড করা হল তখন টিকই লাভজনক হচ্ছে। কি বলেন চেষ্টা করা যায় কি যায় না ???
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।