জীবন বুনে স্বপ্ন বানাই মানবজমিনে অনেক চাষ চাই
(ব্লগার আরিফ জেবতিকের পোস্ট থেকে উৎসাহিত হয়ে)
১/১১ আসার আগে আমরা সবাই জানতাম, আমাদের দেশে দুর্নীতি আছে। কিন্তু কেউ জানতাম না এবং কল্পনাও করিনি, দুর্নীতি এত ব্যাপকভাবে আছে। আমরা দেখলাম, দুর্নীতি ও রাজনীতি সমার্থক হয়ে গেল। দুর্নীতি দূর করতে গেলে রাজনীতি দূর হয়ে যায়। দেশের সকল রাজনীতিবিদদের ধরে জেলে ঢোকাতে হয়।
অন্যদিকে দুর্নীতি দূর করতে গিয়ে দেশের বড় বড় শিল্পপতিদের ধরতে হয়। দেশের অর্থনীতি যাদের হাতে তাদের ধরে জেলে ঢোকানো ছাড়া কোন গতি থাকে না।
এই অবস্থায় চারদিক থেকে আওয়াজ উঠল, দুর্নীতি নির্মূলের নামে রাজনীতি নির্মূল করা হচ্ছে। সত্যি কথা। যে দেশে দুর্নীতি ও রাজনীতি একই হয়ে যায়, সে দেশে দুর্নীতি নির্মূল করতে গেলে রাজনীতি নির্মূল হয়ে যাওয়া স্বাভাবিক।
অন্যদিকে দুর্নীতি নির্মূল করতে গেলে দেশের ব্যবসা বাণিজ্য সব বন্ধ হয়ে যায়। কারণ বড় বড় সব ব্যবসায়ী দুর্নীতিবাজ।
এ তো গেল, রাজনীতি ও অর্থনীতির সাথে দুর্নীতির যোগাযোগ। আমরা যা কিছু বড় অর্জন করেছি, তার প্রায় সবটাই দুর্নীতির মাধ্যমে পাওয়া। ফলে দুর্নীতি নির্মূল করতে গেলে আমাদের সকল অর্জনই শূন্য হয়ে যায়।
অন্য দিকে ১/১১ এর পর বিএনপির বর্তমান মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার এক সময় আওয়ামী লীগের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেছিলেন, আল্লাহর দোহাই ঐক্যবদ্ধ হোন। সেই খন্দকার দেলোয়ার কাল রাত বারোটায় একটি ভুয়া জন্মদিনে বিশাল কেক কেটে আনন্দ ফুর্তি করেছেন। তারা যে চরম সুবিধাবাদী, তার প্রমাণ বার বার তারা রেখে যান।
আর সবচেয়ে দুঃখজনক হল, বর্তমান সরকার ব্যর্থ হউক এটা এখন প্রায় সবাই চায়। কেননা আমরা প্রায় প্রত্যেকে দুর্নীতিবাজ।
কেউ দুর্নীতি করি, কেউ দুর্নীতি করার সুযোগ না পেয়ে আফসোস করি। সুবিধা পেলে খারাপ লোককে ভালো বলি, আর সুবিধা না পেলে ভালো লোকের চৌদ্দ গুষ্ঠি উদ্ধার করি।
সাম্প্রতিক সময়ের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আমরা দেখলাম, জনগণ কিভাবে সেই পুরোনো চোরদের নির্বাচিত করেছে। এরকম একটি দুর্নীতিবাজ ও সুবিধাবাদী ভোটারদের দেশে রাজনীতিবিদরা ভালো লোক হবে এটা আশা করা উচিত নয়। বরং ভালো লোকেরা রাজনীতির মাঠে এসে বার বার ভোট বঞ্চিত হতে হতে খারাপ লোকে পরিণত হবে।
খালেদা জিয়া তার জন্মদিন পালন করে ১৫ আগস্ট। আমরা সবাই জানি, এটা একটা ভুয়া জন্মদিন। কিন্তু এই ভুয়া জন্মদিন পালন করে তিনি যে নোংরামি করেন, তার জন্য তার জনপ্রিয়তা বিন্দুমাত্র কমে না। যারা এই জন্মদিনে কেক কাটে, তারা প্রত্যেকে জানে এটা একটা ধান্দাবাদি ও নোংরামি। শেখ মুজিবের হত্যাদিবসকে ব্যঙ্গ করার জন্যই এটা করা হয়।
তবু তারা এই নোংরামিতে অংশ নেন। কেননা আমাদের দেশে নোংরা, ইতর ও দুর্নীতিবাজ লোকের সংখ্যাই বেশি। নেতারা তাদের পক্ষ না নিলে ভোটে কখনও পাশ করতে পারবেন না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।