ভালো আছি
খোলা চোখে স্বপ্ন দেখালো বেইজিং।
অলিম্পিক নিয়ে বিশ্ব উম্মুখ হয়ে থাকলেও তার প্রাপ্তিটা এমন হবে তা অনেকে কল্পনাও করতে পারেনি। মাঠে বা টিভিতে দর্শকের চোখ ধাঁধিয়ে গিয়েছিল উদ্বোধনী মহুর্তে। তিনঘন্টা কিভাবে কেটেছে তা দর্শকদের পরবর্তী আলোচনাই বলে দেয়। তবে আমার কাছে ওই মুহুর্তগুলো ছিল স্বপ্নময়।
বিশাল জনগোষ্ঠির চীনা জাতি কতটা সুশৃঙ্খল তার পরিচয় আরেকবার মিলল এ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। তারা প্রযুক্তি আর ঐতিহ্যের মিশেলে যা করেছে অলিম্পিকের ইতিহাসে তার পুনারাবৃর্ত্তি ঘটবে কীনা তা নিয়ে যথেষ্ঠ সংশয় রয়েছে। অলিম্পিককে ঘিরে তারা আট'য়ের (৮) খুব সুন্দর ব্যবহার দেখিয়েছে। যেমন- ২০০৮ সালের ৮ আগষ্ট ২০০৮ জন শিল্পী দিয়ে তোলা হলো বাদ্যের গগন কাঁপানো তাল। যা কীনা গ্যালারী ভর্তি দর্শকের সাথে বিশ্বের ৮০টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা অবাক চোখে দেখলেন।
যদিওবা কথিত আছে আট (৮) চীনা জাতির জন্য সবসময় মঙ্গলজনক। তাই আমার কাছে মনে হয়েছে আট (৮) এর উপর ভর করে দেবতারা নেমেছিল বর্ণিল রঙ নিয়ে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শানি-র প্রতীক পায়রার ডানা মেলে উড্ডয়নও দৃষ্টি কেড়েছে সবার। মানুষের সুশৃঙ্খল চলাফেরায় প্রতীকী পায়রাটিকে মুহুর্তের জন্য জীবন-ই মনে হয়েছিল।
বেইজিং অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এমন একটি উচ্চতায় পৌছে ছিল যার উপর মাথা তোলার সাহস ছিল শুধূ চীনের প্রাচীরেরই।
কিন' ৪০০ বছরের পুরানো এ প্রাচীরও কি মাথা নিচু করে বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে দেখিনি আরেকটি বিস্ময়ের জন্মক্ষন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।