মাসখানেক ধরে হাড্ডাহড্ডি লড়াইয়ের পরে আপাততঃ ক্ষ্যান্ত দিলাম। আমার ওয়েবসাইটে যারা ঘুরাঘুরি করেছেন, তাদের বিপুল পর্যবেক্ষণ শক্তি থাকলে তারা আবিষ্কার করেছেন যে আমার ওয়েবসাইটে এশিয়াটিক সোসাইটির বাংলাপিডিয়ার একটি কপি ছিল। তেমন জটিল কিছু না, বাংলাপিডিয়ার সিডি আরামসে পাওয়া যায়, সেটার ডাটাবেস আর ফাইলগুলো ওয়েবের সাথে ইন্টিগ্রেট করে দিলেই হল। বাংলাদেশের ওপরে এতো কম্প্রিহেনসিভ কাজ আগে কখনো করা হয়নি আর সামনেও কখনো করা হবে বলে মনে হয়না, কারণ আমার বিশ্বাস উইকিপিডিয়ার বাংলা সংস্করণই ভবিষ্যতের পথ এগিয়ে নিয়ে যাবে।
আমি যখন ইন্টিগ্রেট করি, বাংলাপিডিয়ার নিজস্ব ওয়েবসাইট মনে হয় তখনো তৈরি হয়নি, আর ওয়েবে বাংলাপিডিয়ার বেশকিছু মিরর অলরেডী ছিল, তাই আমিও ভালমানুষের মত আমার ভার্সন ছেড়ে দিয়েছিলাম।
তবে সমস্যা হল অন্যখানে। কদিন আগে দেখি বাংলাপিডিয়া থেকে হালুম করে ইমেইল। ভাষা হল, অহনি সরাও এইসব চিজ তোমার সাইট থেকে নইলে মামলা। তার দুইদিন পরে দেখি আমার বাপে আমারে ফোন করে ঝাড়ি, যে মেইলের এক কপি চিঠিতে আমার বাড়িতেও চলে গেছে।
তারপরে গত একমাস ধরে কপিরাইট আইন, বাংলাদেশ/বিদেশ, স্টুডেন্ট প্রোজেক্ট, হাংবিতাং মেলা জিনিষ নিয়া ই-ঝগড়া চলছিল।
ফাইনালি আজকে ফাইলগুলো সরিয়ে সাইট রিডাইরেক্ট করে দিলাম এই ঠিকানায় । আমার অভিযোগ ছিল, সাইট এমন স্লো সার্ভার, আমার হাইস্পিড ব্রডব্যান্ডেও দুমিনিটের মত লাগে খুলতে, সাইটে বই কেনার সুবিধা নাই, আর সারা দুনিয়ার মানুষ কপি করলে তাদের কিছু না হইলে আমার কি দোষ।
পরে মেইলে বললাম আরকি, যদি এইগুলা ঠিক করা হয় তাহলে কিছু বলমু না নাইলে আবার কপিরাইটের গুল্লি মাইরা আপলোড কইরা দিমু। মিজাজ একদম বিলা...
আগে আছিল http://www.boi-mela.com/banglapedia
অখন শুধু আছেঃ http://www.boi-mela.com/
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।