(অনুবাদটার বেশী পাঠক বলে কখনই তেমন আশা করিনি আমি। আর সবাইয়েরই ভালো লাগবে আশা করাও বাহুল্য মাত্র। লেখাটা সাধারণ্যে প্রকাশ করে অভিব্যক্তিটা আমি আঁচ করতে চাইছি। তবে একটা কথা বলে রাখি যে এর পূর্ব্বে যাঁরা এর অনুবাদ করেছেন তাঁদের থেকে আমি একটু অন্যভাবে করতে চেয়েছি। জিব্রানের মূল লেখাটাতে প্রচ্ছন্ন ধর্ম্মীয় রহস্যবাদের অদ্ভুত একটা ছোঁয়া রয়েছে, আমি সেই ছোঁয়াটাকে আন্তরিকভাবে ধরতে চেয়েছি এবং সেটা ধরতে গিয়ে আমার কিছু অসুবিধা হয়েছে বলে আমি স্বীকার করছি।
ভবিষ্যতে তা আমি কাটয়ে ওঠার চেষ্টা করব। )
৯
এবং এক তন্তুবায় এসে বলল, তুমি আমাদের পোশাকপরিচ্ছদ সম্পর্কে কিছু বল।
এবং সে বলল:
তোমাদের পোশাকপরিচ্ছদ তোমাদের সৌন্দর্য্যের অনেক কিছুকেই আড়ালে ঢাকা দিয়ে রাখে, অথচ অসৌন্দর্য্য রয়ে যায় অঢাকা
এবং তোমরা পোশাকপরিচ্ছদের আড়ালে একান্ত গোপনীয়তার স্বাধীনতার সন্ধান কর যা তা তো আদপে লাগামবেড়ীর শৃঙ্খলে শরীর ঢাকা।
পোশাকআশাকে কী হবে তোমার? তার চেয়ে বরং অনেক ভালো আদুল গায়ে সূর্য্যদাহে সুসমীরে শরীর স্যাঁকা
সূর্য্যতাপেই প্রাণবায়ু, সুসমীর সুবাতাসেই জীবনের করস্পর্শ, নিছকই তোমাদের শরীর ঢাকা।
কেউ কেউ বলে, ”উত্তুরে হাওয়া-ই আমাদের বস্ত্রের বুনট”।
আমিও বলি, হ্যাঁ, উত্তুরে হাওয়াই তোমাদের বস্ত্রের বয়ন বুনট
লজ্জ্বা হ’ল তার তাঁত, নরম পেশীর তন্তুতে তার সূত্র বয়ন
আর কর্ম্ম সমাপন্তে হাসিতে হাসিতে তার অনুরণন।
বিষ্মৃত হ’য়ো না যেন শালীনতা হ’ল কুশ্রী দৃষ্টি থেকে রেহাই পাওয়ার রক্ষাবর্ম্ম
কদর্য্য কুশ্রীতা থাকবে না যখন তখন শালীনতা আর কী-ই বা শুধুই মনের শৃঙ্খলবেড়ী পুঁতিগন্ধে গলদঘর্ম্ম?
এবং বিষ্মৃত হ’য়ো না কখনও যে ধরিত্রীর স্পর্শেই তোমাদের নগ্ন পদযুগল মহানন্দে মাতোয়ারা আর তোমাদের দীর্ঘ কেশদামে নৃত্যছন্দে আকুল সুশীতল সমীর, সেই তো জীবনের প্রাণধর্ম্ম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।