আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একটি যায় যায় দিন এবং শফিক রেহমানের ব্যার্থতা



শফিক রেহমােনর যায় যায় দিন ছেড়ে যাওয়াতে অনেকেই যে কষ্ট পেয়েছেন তা সহজেই অনুমান করা যায় । বেশ কিছু লেখাও এসেছে এ বিষয়ে। কিছু বিরোধী লেখাও যে অাসেনি তা নয়। এগুলি দেখতে দেখতে আর কিছু না লিখে পারলাম না । শফিক রেহমান যায় যায় দিন এর সাথে দীর্ঘ পথ চলে এসেছেন ।

এতটা পথ পার হয়ে এসে তিনি কেন ব্যর্থ হলেন এ প্রশ্ন অনেকের মনেই দেখা দিয়েছে। ব্যার্থতার কোন মজবুত কারনও খুজে পাওয়া যায় না। ১৯৯৮ সালের ডিসেম্বর মাসের ০৪ তারিখ যায় যায় দিন কে সাপ্তাহিক থেকে দৈনিক করার লক্ষে যায় যায় দিন এর নতুন লেখকদের নিয়ে যায় যায় দিন এর অফিসে একটি লেখক সম্মেলন এর আয়োজন করা হয়। সেখানে অংশগ্রহনরে সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। দিনব্যাপি আলোচনার এক পর্যায় রেহমান সাহেব বললেন, আমি কোন নাম সর্বস্ব সাাংদিক নিয়ে কাজ করব না, আমি আপনাদের মাঝ থেকেই সাাংদিক তৈরি করে নেব।

তখন আমি সম্পাদক সাহেবকে প্রশ্ন করেছিলাম, আপনি বর্তমানের প্রতিযোগিতার বাজারে নতুন সাাংদিক তৈরি করে পত্রিকা ষ্টবলিষ্ট করা কতটুকু সম্ভব ? এটাতো সময় সাপেক্ষ ব্যাপ্ার। উনি আমাকে উত্তর দিয়েছিলেন, আমি বিদেশের মাটিতে সফল ভাবে রেডিও চ্যানেল পরিচালনা করে এসেছি কোন সমস্যা হয়নি, আর এখন নিজের দেশে আপনারা সাথে থাকলে থাকলে আশা করি কোন সমস্যাই হবে না। সেদিন উনার কথায় যে দৃঢ়তা দেখেিছিলাম, মনে বিশ্বাস পেয়েছিলাম যে আসলেই হয়ত উনি পরবেন। এর কিছুদিন পরই যায় যায় দিন দৈনিক আকারে বের হলো আবার কয়েক দিন চলার পর বন্ধও হয়ে গেল। নিরাশ হলাম।

সর্বশেষ নিরাশ হলাম তার কিছুদিন আগের চুরান্ত ব্যার্থতায়। যায় যায় দিন বা শফিক রেহমানের ব্যর্থতার মূল কারন হিসেবে আমার কাছে মনে হয় পত্রিকার নৈতিকতা। প্রত্যেকটা পত্রিকার একটা নৈতিক ধারা থাকে। যায় যায় দিন ছিল সরকারের প্রচন্ড রকম সমালোচনাকারি একটি পত্রিকা। এরশাদকে কম ঘোল পানি খাওয়ায়নি এ পত্রিকা।

এরশাদও কম যায়নি। গত আওয়ািমলীগ সময়েও সরকারের প্রচুর সমালোচনা করেছে। অথচ গত সরকারের আমলে বিএনপির সাথে অতিরিক্ত সখ্যতার কারনে মূল নৈতিকতা থেকে সরে আসে এই পত্রিকাটি। সরকারের তেমন জোরালো সমালোচনা করতে দেখা যায় না। জনপ্রিয়তাও কমে আসে অনেকাংশে।

আর এটাই হয়ত পত্রিকা পতনের মূল কারন। তার সাথে যোগ হয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপের সম্পৃক্ততা। শোনা যায় তারেক রহমানেরও ভুমিকা আছে। তাই ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠান যা ই হোক না কেন সকলকেই একটা নীতি নিয়ে চলতে হয়। তা না হলে পরাজয় হবেই, সে যত বড় ব্যাক্তিই হোক।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.