তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় বলেছেন, ‘জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে যাবেন না তৃণমূলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ’ তিনি বলেন, ‘যে সরকার ধারাবাহিকভাবে জনগণের পেটে লাথি মারে, মধ্যবিত্তের রান্নাঘরে আগুন ধরায়, গরিবের পকেট কাটে, তাদের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো জনগণের নেত্রী থাকতে পারেন না। ’
এর আগে মুকুল বলেছিলেন, ‘মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আমরা ভালোই আছি। ’
তৃণমূলের সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়ান বলেছেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল একাই লড়বে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলন থেকে ফেরার পথে গত শনিবার বিমানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করেন।
সে সময় সাংবাদিকেরা তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, ২০১৪ সালের ভারতের লোকসভা নির্বাচনে আবার মমতার তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট হবে কি না। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘রাজনীতিতে কেউ স্থায়ী শত্রু বা স্থায়ী মিত্র হয় না। রাজনীতিতে একটি সপ্তাহ অনেক বেশি সময়, তাই আমি তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে কংগ্রেসের আবার জোট গড়ার সম্ভাবনা খারিজ করছি না। ’
প্রধানমন্ত্রী সে সময় আরও বলেছিলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একসময় কংগ্রেসের শ্রদ্ধেয় সদস্য ছিলেন। কংগ্রেস তাঁকে ইউপিএ সরকারের শরিক হিসেবে পেয়ে খুশি হয়েছিল।
তাঁর মতো ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতিকদের পাশে পেয়ে কংগ্রেসের ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতির পালে হাওয়া লাগবে এবং দেশে ধর্মনিরপেক্ষতার ভিত মজবুত হবে। ’
এদিকে পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বে থাকা কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতা শাকিল আহমেদ খান তৃণমূলের সঙ্গে জোট হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন।
কংগ্রেসের আরেক নেতা ও ভারতের রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর রায় চৌধুরী বলেছেন, ‘এটা (মমতাকে জোটে নেওয়া) প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত ভাবনা। এ ব্যাপারে দলই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। ’।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।