যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি
৩. যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা - কতজন মারা গেছে:
এইটা নিশ্চিত করে বলা যায় যে, বাংলাদেশের গনহত্যায় নিহতের সংখ্যা সাত ডিজিটর এর মধ্যে পড়বে। এই গনহত্যা রুয়ান্ডা (৮০০,০০০) আর ইন্দোনেশিয়া (১ থেকে ১.৫ মিলিয়ন) ছাড়িয়ে গেছে।
আর. জে রোমেলের মতে -
“সেই ২৬৭ দিনের যুদ্ধে নিহত হওয়ার সংখ্যাটা ভয়াবহ। আঠারোটি জেলার মধ্যে পাঁচটি জেলায় তদন্ত কমিটির আংশিক পরিসংখ্যানে দেখা যায় - পাকিস্তানী আর্মিরা -
ঢাকায় - ১,০০,০০০
খুলনায় - ১,৫০,০০০
যশোরে - ৭৫,০০০
কুমিল্লায় - ৯৫,০০০
চট্রগ্রামে - ১,০০,০০০
মানুষ হত্যা করেছে। এই আংশিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে ১৮ টি জেলায় (তখন বাংলাদেশ ১৮টি জেলায় বিভক্ত ছিল) মোট নিহতের সংখ্যা দাড়িয়েছে ১২,৪৭,০০০ মানুষ।
উল্লেখ্য যে এই পরিসংখ্যানটি হলো অসমাপ্ত পরিসংখ্যান। যেহেতু সেই পরিসংখ্যানটি সম্পন্ন হয়নি - তাই আজও সেই যুদ্ধে নিহতের প্রকৃত সংখ্যা বলা কঠিন। অনেকের মতে প্রাক্কলিত সবর্মোট সংখ্যাটি হবে ৩০,০০,০০০। (আর জে রোমেল, ডেথ বাই গভর্নমেন্ট)।
পাকিস্তানী আর্মি আর তাদের সহযোগী বাহিনী (রাজাকার/আলবদর) কৃর্তক নিহত হয়ে প্রতি ২৫ জনের একজন বাঙালী, হিন্দু আর ভিন্নমতের মানুষ।
সেই বিবেচনায় এই হত্যাকান্ড সোভিয়েত আর চৈনিক কমিউনিষ্ট সরকার আর জাপানের বিশ্বযুদ্ধে নিহতের সংখ্যানুপাতের চাইতে অনেক বেশী। (Rummel, Death By Government, p. 331.)
এডাম জোন্স এক হিসেবে দেখিয়েছেন মৃতদের ৮০% হচ্ছে পুরুষ (৩ মিলিয়ন শহীদ ও ৪ লাখ নারী নির্যাতিত হয়েছে ধরে)। সেই হিসেবে এটি গত অর্ধ সহস্রাব্দির অন্যতম সেরা গণহত্যাই শুধু নয়, জেন্ডারসাইডও বটে।
মুল রচনা: জেন্ডারোসাইট ওয়াচ
http://www.gendercide.org/
[জোন্ডারোসাইট ওয়াচ সাধারন মানুষের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত হত্যালীলার বিষয়ে গবেষনা করে। তাদের মতে নিরস্ত্র মানুষের উপর সংগঠিত হত্যাকান্ড বা গনহত্যা বর্তমান শতাব্দীতে বিশ্বমানবতার বিরুদ্ধে বড় একটা হুমকী]
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।