আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাইসু ভাইয়ের কাছে নতুন আলোচনার প্রস্তাব : বিডি আর্টসের ক্ষেত্রে ঘটনাটা কীভাবে ঘটে

সাহিত্যের সাইটhttp://www.samowiki.net। বইয়ের সাইট http://www.boierdokan.com

কিছু দিন আগে ব্রাত্য রাইসু ব্লগে একটা লেখা লিখছিলেন মাহফুজ আনামের কন্যা তাহমিমা আনামের বই প্রকাশ নিয়া। ব্যাপারটা নিয়া বিস্তর আলোচনা হইছে। ভবিষ্যতেও হইবে বইলা মনে হয়। পত্রিকায় বছর চার/পাঁচেক কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে কিছু আদেশ/ অনুরোধ/ উপদেশ/ পরামর্শকে আমার কাছে অলঙ্ঘনীয় মনে হয়।

সর্বদা এইরকম আদেশ-নিষেধ হয়তো একই গতিতে আসে না। তথাপি ক্রমে আসিতেই থাকে। ফলে, ধানের সঙ্গে পাতান অথবা পাতানের সঙ্গে ধান প্রকাশ করিতে হয়। ধরা যাক, তাহমিমা মাহফুজ আনামের পুত্রী বইলা ডেইলি স্টারে তার কভারেজ ভাল হয়। উনি প্রথম আলোর প্রকাশক বইলা প্রথম আলোতে তাহমিমার লেখার অনুবাদ হয়।

বই প্রকাশের পর পাবলিসিটি হয়। আত্মীয়প্রীতির এমন লক্ষণ আমরা অন্য পত্রিকাতেও দেখি। ফলে, বিস্ময়ে কী কাজ। কিন্তু বিডি আর্টস দেইখা কয়েক সপ্তাহ ধইরা একটা প্রশ্ন আমার মনে আকুলি বিকুলি করতেছে। কারণ সেটির সম্পাদক ব্রাত্য রাইসু।

অল্প দিনেই সরাসরি ওয়েব ম্যাগাজিন হিসেবে বিডি আর্টস খুব নাম করেছে। নামী ও ভাল লেখকরা লিখছেন। নতুন ধারার বিস্তর বিষয়ে সন্নিবেশ করে এবং প্রচুর আলোচনা তৈরি করে এটি বেশ সুনাম করেছে। প্রশ্ন এর উচ্চ মান বা সুনামে নয়। প্রশ্ন অন্য জায়গায়।

বিডি আর্টসের তিনটা কলাম। তৃতীয় কলামের প্রথমে এবারের বই মেলার বই। সেইখানে স্লাইড শোর মাধ্যমে মেলার তাবৎ গুরুত্বপূর্ণ লেখকের বই দেখানো চলতেছে। ভাল উদ্যোগ। বিষয়টা আমি খুব পছন্দ করছি।

কিন্তু এই স্লাইডের নিচেই জ্বলজ্বল করতেছে মাসকাওয়াথ আহসানের ইংরেজি বই মঙ্গা কারাভাঁর প্রচ্ছদ। বই বের হওয়ার এক কি দুই দিন পর থেকে আজ পর্যন্ত এই প্রচ্ছদটা স্টিকি হয়ে আছে। মাসকাওয়াথ আহসান গুনীজন। তার বইটিও নিশ্চয় ভাল হয়েছে। কিন্তু সেটি কি বাংলাদেশের অপরাপর লেখকদের সঙ্গে স্লাইডে শোভা পাইতে পারতো না? ধরা যাক, ওইখানে বইটা রাখা হইছে একটা বিশেষ উদ্দেশ্যে।

আর কোনো বই যেহেতু ডাউনলোড করতে দেয়া হবে না, তাই ডাউনলোড উপযোগী এই বইটা আলাদা ই-বুক বিভাগে রাখা হইছে। এখন বিষয় হইলো, এই মেলায় প্রকাশিত একটি বইয়ের ই-বুক ভার্সন যখন এখনি প্রচার করতে হবে তখন বিশেষ করে মাসকাওয়াথ আহসানের বইটাই কেন বাইছা নেওয়া হইলো? আবার মাসকাওয়াথ আহসানই বা কেন বিডি আর্টসকেই বই প্রচারের জন্য বিশেষ কইরা বাইছা নিলেন? আমি ধইরা নিচ্ছি, তার বইটা অতীব ভাল হইছে। ফলে, বিভাগীয় সম্পাদক খুশী মনে তার বইটার ই-ভার্সন প্রচারের উদ্যোগ নিছেন। অথবা, বিভাগীয় সম্পাদক কর্তৃপক্ষীয় উপদেশের শিকার হয়ে বইটাকে ভাল মনে কইরা প্রচার করার সিদ্ধান্ত নিছেন। অথবা, কর্তৃপক্ষ সরাসরি বইটা প্রচার করার নির্দেশ দিছেন।

কিন্তু মাসকাওয়াথ আহসান কি বিপুল আলোচিত একখানা লেখা তৈয়ার করছেন যে সেটা ত্রৈলোক্যনাথের ই-বুকের পরপর প্রচারিত হইল? কিংবা বিডিআর্টসের ওপর প্রভাব তৈরি করার জন্য তিনি কি প্রতিষ্ঠানটিতে ইনভেস্ট করছেন। নাকি স্রেফ কলিগ হিসাবেই আর্টস সম্পাদককে অনুরুদ্ধ করেছেন? নাকি তিনি নিরুপায়, বিডি আর্টস ছাড়া আর কোনো মিডিয়াই তিনি পান নাই যাতে কইরা বইখানা ওয়েবে প্রচার করা যায়? নাকি এই সবই স্রেফ আমার উর্বর মস্তিস্কের অলীক কল্পনা? মাসকাওথের প্রতিভার প্রতি আমার ঈর্ষাজনিত বিক্ষেপ? নাকি কুতর্ক করা বিষয় না পাইয়া অপ্রয়োজনীয় বাগবিস্তারের উদ্যোগ? বিডি আর্টসের লিঙ্ক।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.