স্রষ্টাই নিরাময়ের মালিক
পৃথিবীর সকল শাশ্বত ধর্মের মূল শিক্ষা হচ্ছে স্রষ্টাই সকল নিরাময়ের মালিক। নিরাময়ের জন্য তাই প্রার্থনাকে সকল ধর্মেই গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। নবীজী (স.) বলেছেন, "প্রতিটি রোগেরই রয়েছে নিরাময়। এমন কোন রোগ আল্লাহ পাঠান নি যার নিরাময় তিনি দেন নি। উপযুক্ত নিরাময় প্রয়োগ করা হলে ব্যাধি দূর হয়ে যায়।
" (সহীহ মুসলিম)। এ নিরাময় ওষুধ হতে পারে, দোয়া হতে পারে। নবীজী (স.) নির্দেশ দিয়েছেন রোগীর জন্য প্রার্থনা করতে, সদকা দিতে এবং রোগীকে আশার বাণী- 'তুমি সুস্থ ও দীর্ঘজীবী হবে' শোনাতে।
সকল মহামানবই রোগমুক্তির জন্যে প্রার্থনা করতেন। হযরত ঈসা (আ.)- এর নিরাময়ের প্রার্থনা সাথে সাথে কবুল হওয়ার অসংখ্য দৃষ্টান্ত রয়েছে।
মহামতি বুদ্ধ বলেছেন, প্রার্থনা দেহকে ব্যাধিমুক্ত করে। ঋগবেদে রোগব্যাধি ও পঙ্গুত্ব থেকে মুক্ত থাকার জন্যে প্রার্থনাকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
বিশ্বাসই নিরাময় করে
বিংশ শতাব্দিতে ওষুধ সার্জারি বা প্রযুক্তি নির্ভর চিকিৎসাব্যবস্থা হয়ে পড়েছিল অতিমাত্রায় যান্ত্রিক । ফলে নিরাময়ের ক্ষেত্রে বিশ্বাস বা আধ্যাতিকতার কোনা প্রভাব নেই- এতদিন এটাই ছিলো অধিকাংশের ধারনা। কিন্তু এ ধারনায় প্রথম ফাটল ধরান হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের গবেষক ডা. হার্বার্ট বেনসন।
১৯৭৫ সালে প্রকাশিত তার বেষ্ট সেলার 'রিলাক্সেশন রেসপন্স' গ্রন্থে তিনি দেখান মেডিটেশন বা প্রার্থনা কি ভাবে অনিদ্রা, সন্তান জন্মদানে অক্ষমতা এবং ব্যথা- বেদনায় আক্রান্ত রোগীরা আরোগ্য রাভ করছেন। তিনি বলেন, উদ্বেগ- উৎকন্ঠার কারণে যে রোগ-বালাই হয় প্রচলিত চিকিৎসায় তাতে খুব একটা কাজ হয় না। বরং এক্ষেত্রে ৬০-৯০% নিরাময় হয় রোগীর বিশ্বাসের কারণে।
বেনসনের পর এ নিয়ে গবেষণা করেছেন ড. হ্যারল্ড কোনিগ, ড. ডেভিড রারসন, ড. জেফ্রি লেভিন প্রমুখ। এ ধারনাকে জনপ্রিয় করেছেন ড. দীপক চোপড়া, ড. এন্ড্রু ওয়েল, ড. বার্নি সীজেল ও ড. ল্যারী ডসি প্রমুখ চিকিৎসাবিদরা।
নিরাময়ে প্রার্থনা এবং ধর্মবিশ্বাসের কার্যকারিতা নিয়ে ১৩১টি গবেষণা প্রতিবেদনের একটি তালিকা তৈরী করেছিলেন ড. ড্যানিয়েল বেনর। (কমপ্লিমেন্টারি মেডিকেল রিসার্চ,১৯৯০)
১৯৯৬ সালে টাইম-সিএনএন পরিচালিত এক জরিপে দেখা যায়, ৮২% আমেরিকান বিশ্বাস করে প্রার্থনার ফলে নিরাময় সম্ভব। আর ৬৪% মনে করে যে, রোগীরা প্রার্থনার আবেদন জানালে ডাক্তারদের তা করা উচিত। জার্নাল অব আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (মে, ৯৫) আরেক জরিপে দেখা যায়, ৪৩% আমেরিকান ডাক্তার ব্যক্তিগতভাবে তাদের রোগীদের জন্যে প্রার্থনা করে থাকে। এসব কারণে গোটা আমেরিকার ৫০টিরও বেশি মেডিকেল স্কুলের সিলেবাসে এখন অন্র্তর্ভুক্ত হয়েছে নিরাময়ের ক্ষেত্রে প্রার্থনা বিষয়ক পাঠ্যসূচি।
বিস্ময়কর নিরাময় কোয়ান্টাম হিলিং - ১ View this link
চলবে
সৌজন্যে:
কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন
১১৯/পি, শান্তিনগর, ঢাকা-১২১৭।
৯৩৪১৪৪১,৮৩১৯৩৭৭
http://quanfey.org/
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।