কেবল সমুদ্র পারে শুষে নিতে সব, যা কিছু বিপ্রতীপ, ভেসে আসে নিদারুণ কষ্টের নীলজলে..
আমার নীরবতার মাঝে তোমাদের জন্য কোন ভাষা নেই!
কোন বর্ণ, স্বর অথবা ধ্বনি নেই!
তুলির স্পর্শহীণ অগোছালো আমার ক্যানভাসে
কোনদিন হয়নি আঁকা-
তোমাদের প্রজ্জ্বোল প্রোর্ট্রেট।
অথচ আমার অনুভবের মধ্যে
তোমাদের পদচারণা স্পষ্ট হয়ে ওঠে প্রতিদিন,
তোমাদের রক্তঋণের বাগানে ফোটা
এক একটি প্রিয় বর্ণমালা ছুঁয়ে
প্রতিদিন শুরু হয় আমার সকাল।
আমার নীরবতার মাঝে তোমাদের জন্য কোন কান্না নেই।
কোন শোক, কোন শ্লোগান, কোন নগ্ন পায়ে হেঁটে যাওয়া নেই।
বিশ্বাস করি, মায়ের মৃত্যুর পর 'মা' ডাকের এক চীৎকারে-
সব কান্নাই ঝরে ছিল একসাথে।
অদ্ভূত সেই অনন্য একুশ সকালে
আত্মোৎসর্গের রক্তাক্ত অমর অঙ্গীকারে
তোমরা ওরকম যূথবদ্ধ না হলে
‘মা’ ডাকের এই চীৎকার,
কীভাবে কেমন করে আজ- পৃথিবী কাঁপাতো?
আমার নীরবতার মাঝে-
তোমাদের জন্য কোন ‘কথকতা’ নেই।
কোন শোক, কোন গাঁথা, কোন বেদনার্ত শব্দমালা নেই।
তবুও আমার কষ্টের কবিতায়- বারবার
সারথি হয়েছো- তোমরাই
অণুক্ষণ, বেদনায় বিষন্ন আমার ভায়োলীন
কেঁদে কেঁদে স্মরণ করেছে
তুলনাহীণ সেই অনিঃশ্বেষ-অনিবার্ণ-উৎসর্গ তোমাদের।
আমার নীরবতার মাঝে তোমাদের জন্য কোন সন্তাপ,
কোন ক্ষোভ, কোন বিতর্ক, সংশয় অথবা দ্বিধা নেই।
শুধু আমার বর্ণমালা নিগৃহীত হলে
মুহূর্তে জ্বলে ওঠে আমার ক্ষোভ।
আমার ভাষার কোন বিকৃতি হলে, পলকেই
রক্তে নাচে সেই রক্তঝরা এক ‘আগুন ফাগুন’।
আমার নীরবতার মাঝে তোমাদের জন্য কোন ফুল,
কোন সুগন্ধী আগরবাতির আনুষ্ঠানিকতা নেই।
কোন গান, কোন সাজানো গোছানো পুষ্পের স্তবক নিয়ে
হাজিরা দেইনি কোনদিন –নিশ্চল, নির্বাক
স্মৃতি স্তম্ভে তোমার।
অথচ আমার বর্ণমালা সমৃদ্ধ হয়েছে প্রতিদিন
সন্তর্পণে, স্ফূর্ততায়, তোমাদের প্রতি- অনিঃশেষ
শ্রদ্ধা ও সুগভীর ভালবাসায়।
মুগ্ধতায়, অনুগত হাতে-
আমার শ্রদ্ধাঞ্জলী সব- মিশে গেছে প্রতিদিন
শহরের আঁনাচে কাঁনাচে ফোঁটা- কৃষ্ণচূড়ার লাল ফুলে।
আমার নীরবতার মাঝে কোন সুধাময় ‘সুভাষণ’,
কোন ভাললাগা ‘সংলাপ’ নেই।
হয়তো একটি মিনার আজ ধারণ করেছে সব প্রিয়তোষ সংলাপ,
প্রিয় সাবলীল -'বাক্য' আমার।
আমার নীরবতার মাঝে তোমাদের জন্য কোন ভয়াবহ চীৎকার নেই।
সব চীৎকার, সব ক্রন্দন আজ মিলে মিশে একাকার-
'আমার ভায়ের রক্তে রাঙানো?'-র মতো চির শোকার্ত,
বেদনা-বিধুর এক গানে।
রচনাঃ ২১শে ফেব্রুয়ারী,২০০৮
........................................................
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।