একদেশে ছিল এক দুষ্ট ছেলে। এমন কোন দিন নাই যে তার নামে তার বাবার কাছে অভিযোগ না আসত। বাবা থাকত নিজের কাজে ব্যস্ত আর মা আগেই মারা গেছে। বাবা একদিন ত্যক্ত বিরক্ত হয়ে ছেলেকে বাসা থেকে বের করে দিল, যা চইড়া খা।
ছেলে আর করে কি, বাসা থেকে বের হয়ে আসলো।
মন খারাপের বালাই নাই। বাইর হওয়ার আগে বাসা থেকে একটা মুরগী চুরি করে নিলো। ধান্দা হইল বাজারে বেচে যা টাকা পাবে তা দিয়া খাওয়া দাওয়া করবে, এই আরকি।
বাজারে গেছে মুরগী বেচবে এইজন্য। কিন্তু বার্ড ফ্লু এর ভয়ে কেউ তো আর মুরগী কিনে না।
এইদিকে খিদায় তো প্রান যায় যায়। বাজারের কাছেই ছিল খালার বাড়ি। মুরগী বেচতে না পাইরা সে খালার বাড়িতে গেল।
খালা তারে ঘরে ঢুকাইতে না ঢুকাইতেই তার জামাই লান্চ করতে বাসায় আসছে। খালু দুষ্ট ছেলেটাকে খুব অপছন্দ করে।
তাই খালা তাড়াতাড়ি করে পোলাটারে কয়, একখন তুই খাটের নিচে গিয়া লুকা। তর খালু দেখলে কিন্তু খবর আছে। পোলায় তাড়াতাড়ি খাটের নিচে লুকাইলো।
এইদিকে খালা একলোকের সাথে পরকীয়া করে। পোলাটা যখন আসছে লোকটা তখন খালার সাথে প্রেমে মগ্ন ছিলো।
পোলা দরজা নক করার সাথে সাথে সে খাটের তলায় গিয়া পলাইছে, ভাবছে যে খালার জামাই মনে হয় আসছে।
যাক, আমাদের দুষ্ট ছেলে খাটের নিচে গিয়া দেখে একজন পলাইয়া রইছে। তার তো আর ঘটনা বুঝতে বাকি নাই। সে মওকা পাইয়া কয়,
দুষ্ট ছেলে: এই মিয়া মুরগী কিনবেন?
লোক: না।
দুষ্ট ছেলে: না কিনলে খালুরে ডাকলাম কিন্তু।
লোক: আইচ্ছা। দাম কত।
দুষ্ট ছেলে: ১০০ টাকা।
লোক: কি এই মুরগী ১০০ টাকা?
দুষ্ট ছেলে: ১০০ টাকাই দিতে হবে, নইলে খালুরে ডাকলাম কিন্তু।
লোক আর কি করে।
১০০ টাকা দিয়াই মুরগী কিনল।
কিছুক্ষন পর আবার।
দুষ্ট ছেলে: এই মিয়া মুরগী কিনবেন?
লোক: এইমাত্র না কিনলাম।
দুষ্ট ছেলে: আবার কিনতে হইব। না হইলে কিন্তু খালুরে ডাকলাম।
দেন ১০০ টাকা।
কি আর করা। কেনা মুরগী আবার কিনল লোকটা।
লান্চ শেষ কইরা খালার জামাই অফিস চলে গেল আর খালা প্রেমিক আর ভাইগনা দুজন কেই বের হয়ে চলে যেতে বলল।
দুষ্ট ছেলে ভাবলো বাবাতো আর সত্যি সত্যি বাইর কইরা দেয় নাই।
যাই বাসায় যাই।
বাসায় গিয়ে দেখে বাবা বইসা আছে। চিন্তা করল যাই বাবার কাছেই মুরগীটা বেচি।
দুষ্ট ছেলে: বাবা বাবা মুরগী কিনবা?
বাবা: হারামজাদা। একটু আগে এক মুরগী দুইবার আমার কাছে বেইচা আবার আমার কাছেই বেচতে চাস!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।