খুব জানতে ইচ্ছে করে...তুমি কি সেই আগের মতনই আছো নাকি অনেকখানি বদলে গেছো... গরু বেচা শখের কাম নারে
আছে কিস্তির জ্বালা আছে সুদের জ্বালা
যারা সুদ সমেত কিস্তির তুলেছেন তাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা রেখে এ লেখার অবতারনা।
সখিনা এখন ঘর ছাড়া, আবুল মিয়া মনের দু:খে ফাসি দিয়ে মরতে বসেছে। তো ব্যাংকের কি আসে যায়? ব্যাংক টাকা দিছে ৫০০০ কিন্তু কিস্তিতে নিবে ৮৫০০টাকা। এখন সামান্য এক টাকার কিস্তি দিতে না পেরে প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামীণ মহিলারা কতোটা অসহায় অবস্হায় আছে কেউ কল্পনাও করতে পারবেনা।
আমি এ রকম গোটা দশেরক মহিলাকে চিনি যারা গরু মুরগি হাস বিক্রি করেও কিস্তির টাকা শোধ করতে না পারায় শেষাবধি টিনের দু’চালাটা বিক্রি করে এখন অনেকটা খোলা আকাশে বাস করছে।
।
আমি ব্যক্তিগতভাবে গ্রামীণ ব্যাংকের শাখা ম্যানেজারকে অতি দু:স্হ মহিলাদের কিস্তির সুদ মওকুফ করার অনুরোধ করলে, ম্যানেজার আমাকে বললো যে ক’টাকা সুদ মওকুফ করা হবে সেই টাকা আমার ও আমার ব্রাঞ্চের কর্মকর্তাদের মাসিক বেতন থেকে কর্তন করা হবে। সুদের ব্যবসায় মানবতা বলে কিছু নেই।
তারপর আমি আরো ওপরে কথা বলার চেষ্টা করেও কোন সুরাহা করতে পারিনাই। টিনের চালা বিক্রি করে সেসব মহিলারা কিস্তির ভয়ে এখন নিজ ভূমি ছেড়ে চলে গেছে কিন্তু প্রতি রবিবারই দেখি কিস্তি কালেক্টররা তাদের বাড়িতে আসে এবং প্রতি সপ্তাহে আশে পাশের লোকজনকে একই কথা জিঙ্ঘাসা করে।
আমি একজন কালেক্টরকে বললাম “ এরাতো আপনাদের ভয়েই বাপ দাদার ভিটে ছেড়ে পরবাসি হয়েছে” আর এদের ব্যাপারেতো আমরা মহল্লাবাসি আপনাদেরকে এর আগেও বলেছি। তাদের ঔ একই কথা কিচ্ছু করার নেই ফিল্ড অফিসার হিসেবে প্রতি সপ্তাহে তাদেরকে রির্পোট করতে হয়। ব্যস!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।