"পসার বিকিয়ে চলি জগৎ ফুটপাতে, সন্ধ্যাকালে ফিরে আসি প্রিয়ার মালা হাতে"
ক্রেডিট কার্ড
জীবন আমার জন্ম থেকেই ওয়ান টাইম ইস্যুকৃত এক ক্রেডিট কার্ড।
হার্ড-কোর পুওর হয়ে জন্মাইনি, তাই কার্ডের স্ট্যাটাসটা শুরু থেকেই
‘গোল্ড’। ভ্যালিডিটি দেয়া আছে আপটু লাইফ টাইম। মধ্যবিত্তের গড়
আয়ু বেড়েছে, তাই ক্রেডিট লিমিট নব্বই পেতে কোন অসুবিধে হয়নি।
ঈশ্বরের কৃপায় যে কোন গরীব পঞ্চাশ লিমিট পেতে পারে স্বাস্থ্য রিপোর্ট
একটু ভাল হলেই।
মাঝে মাঝে ভাবি খরচের জন্য নব্বই লিমিট মোটেও
নিরাপদ কিছু নয়। ক্যাশ এ্যাডভান্স পেতে পারি মাত্র ফিফটি পারসেন্ট।
এটিএম বিট্রে না করলে মাত্র দুটো স্ট্রোকেই এ্যাভাইলেবল্ ক্যাশ ফুরিয়ে
যেতে পারে যে কোনদিন। অধিক ব্যবহারে পাসওয়ার্ড মুখস্ত, তাই পিন
কোড লিখে রাখিনি ডায়েরীতে। ক্রেডিট নির্ভর জীবন, ইচ্ছেমতো খরচ
করেছি মন যা চায়।
ব্যালান্স নিয়ে ভাবিনি। মান্থলি স্টেটমেন্টে প্রতিবার
দেখি ওভার লিমিট চার্জ। মিনিমাম ডিউজের কার্ভটা বরাবরই ঊর্দ্ধমুখী।
অসুখ-বিসুখ, সংসার খরচ আর ন্যুনতম প্রয়োজন মেটাতে আজ ক্রেডিট
নির্ভর জীবনের ব্যালান্স দিন দিন ফুরিয়ে আসছে। এই কার্ডটা একসময়
ব্লক হয়ে যাবে।
মৃত্যু নামের একটা রিপ্লেসমেন্ট কার্ড হয়তো আমি পেয়ে
যাবো আর সাপ্লিমেন্টারী কার্ডটা রয়ে যাবে আমার উত্তরাধিকারের হাতে।
জিরো ব্যালান্স নয়, বিগত নব্বই বছরের ঋণের বোঝা থাকবে তারই কাঁধে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।