ধরে নেই, তার নাম আজাদ। একটি প্রাইভেট কোম্পানি তে চাকরি করে, অনেক দিন ধরে। সেই সুবাদে তার এক্সপেরিয়ান্সও ভাল। এক্সপেরিয়ান্সর সুবাদে তার সেলারিও ভাল। প্রায় ৪০ -৫০ ছুঁই ছুঁই করে।
তো একদিন তার কাছে এক টাই পরা ভদ্রলোক এলো। না, শুধু ডেস্টিনি ওলারা টাই পরে না। আরও অনেকেই পরে।
গলায় টাই, আয়রন করা কাপড়, ব্ল্যাক শু, আর মুখে মিষ্টি মিষ্টি কথা।
“বসসসস, কি করছেন? এত বড় জব করেন, এত টাকা সেলারি পান।
আর আপনি কিনা ক্রেডিট কার্ড করেননি। আপনি শুধু শুধু ক্যাশ কেন বহন করবেন? কেন ১৯৪৭ এ পরে থাকবেন? কেন? বি স্মার্ট, বসস। টেক এ কার্ড”।
আরও অনেক মিঠা মিঠা কথা বলিলেন টাইওয়ালা ভদ্রলোক। এবং মার্কেটিং এ Gratduation করা বন্ধুও ............... একখান ক্রেডিট কার্ড গ্রহণ করিলেন।
অতঃপর, পাঞ্চ আর পাঞ্চ। শপিং আর শপিং। কখন নিজে আবার কখন Girl freindকে নিয়ে শপিং। দুনিয়া এত সুন্দর!!!!!!
এক বছর পর.....................আমার বন্ধুটির
*লাখ দেড়েক টাকা লোণ হয়েছে।
* অনর্থক জিনিসে ভরে গিয়েছে তার ঘর।
* আর ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করা ব্যাংক সপ্তাহান্তে একটি করে কাগজ পাঠায়। টাকা দে, টাকা দে, টাকা দে।
না হলে মামলা করুম, জেলে দিমু। টাই পরা ভদ্রলোকের মুখ দিয়ে মিষ্টি কথা বের না হলেও গালি কিন্তু সঠিক সময়েই বের হয়।
আমার উপলব্ধি: দারিদ্র বিমোচনের নামে যেমন microcredit দিয়ে NGOগুল যেমন গরিবদের রক্ত পান করছে, তেমনি ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করা ব্যাংক গুলও একটু ভাল বেতন পাওয়া ছেলেদের রক্ত চুষে খাচ্ছে।
ক্রেডিট কার্ড আমাদের জন্য না, একদম সোজা বাংলায় বললাম। যাদের অসীম টাকা ক্রেডিট কার্ড তাদের জন্য। কারণ তাদের খাওয়া পরার কোন চিন্তা নেই। আর আমাকে, আপনাকে, সবাইকে চিন্তা করতে হয় যে কিভাবে আজকের ক্ষুধা নিবারণ করা যায়।
তাই, ক্রেডিট কার্ড আমাদের জন্য না।
কারণ এতে ক্রেডিট বারুক আর নাই বারুক ঋণ ঠিকেই বাড়ে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।