দোষ তাদের নয় যারা ইসলামের বিরোধিতা করছে। দোষ তাদের যারা পুরোপুরি না বুঝেই এ বিষয়ে অন্যকে তর্কে ডাকছে এবং তর্কের সময় সঠিক যুক্তি উপস্থিত থাকা অবস্থায়ও জ্ঞানের অভাবে উপস্থাপন করতে পারছে না। এবং যারা ইসলামের পক্ষ নিয়ে তর্ক করছেন তাদের বাচন ভঙি দেখে মনে হয় না যে তারা ব্যাক্তিগত জীবনে নিজেরা যথেস্ট ইসলামিক। (তাদের পোস্টে যথেস্ট গালি দেখতে পাই)।
আর দ্বিতীয় কথা হল- বিজ্ঞানের যে কোন বিষয় নিয়ে দুই একটা বই পড়ে কেউ কিন্তু নিজেকে মহা জ্ঞানী মনে করে তর্কে জড়ায় না।
কিন্তু ইসলামের ব্যাপারে দুই একটা বই পড়েই আমরা নিজেদের কে যথেস্ট জ্ঞানী মনে করে অযথাই পক্ষে-বিপক্ষে তর্কে জড়িয়ে পড়ছি।
যেকোন সিস্টেমের ই ভাল মন্দ দুই দিক দিয়ে বিচার করা সম্ভব। কিস্তু বিচার করার আগে তো পুরো সিস্টেম সম্পর্কে আমাদের বিস্তারিত জানতে হবে। আংশিক জ্ঞান নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে কোন দিকেই তর্ক করা ঠিক নয়।
“কোরান একটা বই, লেখক মোহাম্মদ নামের এক লোক প্রায় ১৪০০ বছর আগে।
আরবীতে লেখা। বাংলা এবং ইংরেজী অনুবাদ দুইটাই পড়া আছে। ”
আরিফুর রহমান এর এই উক্তি নিয়ে যারা ক্ষুব্ধ তারা কিন্তু এটা ভুলে যাচ্ছেন যে কথাটা মোটেও নতুন নয়। শত শত বছরের পুরাতন। আর এত দীর্ঘ সময়েও এর ফলে ইসলামের মোটেও কোন ক্ষতি হয় নি।
আর এ কথার কি জবাব দিতে হবে তাও কুরআনেই দেওয়া আছে। কিন্তু ক্ষুব্ধ ব্যাক্তিরা কেউই যেহেতু জবাবটা দিতে পারেন নাই তাই আপনাদের নিজেদের ইসলামের জ্ঞান নিয়ে যথেস্ট চিন্তার অবকাশ আছে। আর এভাবে না জেনে তর্ক করার ফলে ইসলামের ইমেজ নস্ট করার কারনে আপনাদের নিজেদের গুনাহ হতে পারে কি না সে ব্যাপারে একটু চিন্তা করতে পারেন।
অন্যদিকে, কিছু লোক যদি মনে করেন যে কোন ধর্ম বিশ্বাস ছাড়াই তাদের জীবন চলবে তবে তা একান্তই ব্যাক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু যারা ধর্মে বিশ্বাস করতে চায় তাদেরকে বেহুদা আঘাত করে এরাইবা কোন উদার মনবৃত্তির পুরিচয় দিচ্ছে।
দুই একটা ধর্মের বই পড়ে যেমন ধর্মে পক্ষে তর্ক করা ঠিক নয়, ঠিক তেমনি দুই একটা এথিইস্ট এর বই পড়েই ধর্মে বিপক্ষে তর্ক করাটাও ঠিক নয়। তর্ক করতে হলে দুই দিকেই পুর্ন জ্ঞান থাকা বাঞ্চনীয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।