আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একটি সত্য ঘটনা আর আমার অনুরোধ।প্লিজ পড়ুন।



তখন মনে হয় সপ্তম শ্রেণীতে পড়ি। যে বাসায় ভাড়া থাকতাম সে বৃদ্ধের মেয়ে বিয়ের পরও বাপের বাড়ীতেই থাকতো। স্বামী উপার্জনের তাগিদে ডুবাই থাকে। বছরে একবার আসে মাসখানেকের জন্য। ছেলেমেয়ের মধ্যে ন-দশ বছরের এক মেয়ে আর এক-দেড় বছরের এক ছেলে।

ছেলেটিকৈ নিয়ে তার মা প্রায়ই আসতেন আমাদের বাসায় স্বামী কি পাঠালেন ডুবাই থেকে কিংবা নতুন কি কিনেছেন তার গল্প করতে। আমরা বাচ্চাটাকে খুব আদর করতাম। সেও গুটিগুটি পায়ে হেটে অথবা হামাগুডি দিয়ে আমাদের সাথে খেলতো। তখন বাসায় বাসায় গ্যাস আসেনি। ইলেকট্রিক হিটারের চুলা ব্যবহার হতো রান্নার কাজে।

তাদের বাসার চুলাটি ছিলো রান্নাঘরের এককোনে মেঝেতে। একদিন বিকালে বাচ্চটি খেলা করছিলো তাদের বাসায়। তার মা এক প্রতিবেশী মহিলার সাথে পাশের রুমে গল্পে ব্যাস্ত। রান্না ঘর থেকে সদ্য চা বানিয়ে এনেছেন । কিন্তু ভূলক্রমে হিটারের চুলা বন্ধ করতে ভূলে গেছেন।

বাচ্চাটিও খেলতে খেলতে গিয়ে হাজির হলো রান্নাঘরে। হিটারের কয়েল লাল হয়ে জ্বলছিলো। আর লাল দেখে বাচ্চাটি হাত দিয়ে বসলো চুলায়। এরপরের ঘটনা বলার দরকার নাই। কষ্ট হলো সেই মায়ের জন্য যার গাফলতিতে একটা ফুটফুটে বাচ্চা অকালে প্রাণ হারালো।

কষ্ট হলো সেই বাপের জন্য যে তার বাচ্চা দেখার জন্য দেশে আসতে পরেননি। বাচ্চাটার জন্ম থেকে মৃত্যু কোনটায় সে দেখলোনা। যারা এ পোষ্ট পড়লেন তাদের কাছে অনুরোধ বাচ্চাদের কখনও একলা ছেড়ে দেবেননা। বাসায় ব্যবহ্রত ক্ষতিকারক জিনিসগুলো তাদের আওতার বাইরৈ রাখুন। নিজে সচেতন হোন অন্যকে সচেতন করুণ।

মনে রাখনবেন শিশুরাই আগামীদিনের ভবিষ্যৎ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.