যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি
পাকিস্থানী হানাদার বাহিনীর দোসর - যারা সুস্পস্ট যুদ্ধাপরাধের সাথে জড়িত, তাদের স্বাধীনতা পরবর্তী সরকার কর্তৃক ক্ষমা করা হয়েছে - এটা একটা মিথ্যা প্রচারনা ছাড়া কিছুই নয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার ২৪ শে জানুয়ারী ১৯৭২ এ প্রনীত "Bangladesh Collaborators (Special Tribunals)" (বিশেষ দালাল আইন ১৯৭২) এর মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করে। একই বছর অধ্যাদেশটি পরিবর্তন করা হয় - যাতে সুস্পস্ট ভাবে অভিযুক্ত ব্যক্তি বা গোস্ঠী যারা গনহত্যা, মানবতা বিরোধী কর্মকান্ড, পুরুষ, নারী বা শিশুদের নির্যাতন, সম্পত্তি ধংস করার সাথে জড়িত এবং পাকিস্থানী সৈন্যদের সহায়তা করেছে তাদের বিচারে আওতায় আনা হয়।
এই অধ্যাদেশের অধীনে ১১টি ট্রাইবুনাল গঠনের প্রক্রিয়া এবং কার্যক্রম বর্ননা করা হয় - যা মাধ্যমে অপরাধীদের শাস্তি প্রদান করা যাবে।
সরকার ১৯৭৩ সালের জুলাই ২০ তারিখে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধী (ট্রাইবুনালস) এক্ট পাশ করে - যাতে পাকিস্থানী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে অধীনে আনা যায়।
১৯৭৩ সালের নভেম্বর ৩০ এ সরকার একটি সাধারন ক্ষমা ঘোষনা করে - যাতে করে যাদের বিরুদ্ধে সুস্পস্ট যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ নেই তারা স্বাভাবিক জীবন শুরু করতে পারে এবং জাতি গঠনে অবদান রাখতে পারে।
সেই আদেশে সুস্পস্ট ভাবে বলা হয়েছে - "Those who were punished for or accused of rape, murder, attempt to murder or arson will not come under general amnesty."
সেই সময় আটক থাকা সন্দেহভাজন যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে প্রায় ৩৭,০০০ জনের মধ্যে প্রায় ২৬,০০০ সাধারন ক্ষমার অধীনে ছাড়া পেয়ে যায়।
প্রায় ১১,০০০ তখন সুনির্দিষ্ট অভিযোগে বিচারাধীন ছিল। জেনারেল জিয়াউর রহমান সামরিক অধ্যাদেশ দিয়ে (ডিসেম্বর ৩১, ১৯৭৫) কে সংশোধন করে নতুন আদেশ জারী করে যার বদৌলতে সেই বিচারাধীন ১১,০০০ যুদ্ধাপরাধী ছাড়া পেয়ে যায়।
(অনুদিত)
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।