যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই । কাদঁতে আসিনি ফাসিঁ দাবী নিয়ে এসেছি ।
যে চেতনায় আমরা ঐক্যব্দ্ধ হলাম , যে চেতনার শানিত মন্ত্র নিয়ে একটি দেশ স্বাধীন হলো , স্বাধীনতা অর্জনের মাত্র কয়েক বছরের মাথাতেই সেই চেতনাকে বিকলাংগ করা হলো । গলা টিপে মারা হলো । কি আশ্চর্য !! আর আমরা সবাই বসে বসে দেখলাম !!
খুব কমই সময়ই বাঙালির এমন একতা দেখা গেছে , এমন ঐক্য দেখা গেছে যা ১৯৭০ এর নির্বাচনে দেখা গেছে।
১৬৯ টি আসনের মধ্যে তৎকালীন আওয়ামী লীগ ১৬৭ আসনই বিপুল ভোটে জয়ী হয় । ২ টি আসনে অন্যরা । সেদিন বাঙালির এমন ঐক্য করেছিল সুনির্দিষ্ট কয়েকটি ইসু্যতে যা পরবর্তীতে স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানে সংযুক্ত হয় । তার মধ্যে ধর্ম নিরপেক্ষতা অন্যতম । ধর্ম নিয়ে ব্রিটিশ বিভাজনে জন্ম নেয়া পাকিস্থান রাষ্ট্র কোনভাবেই বাঙালিরা মেনে নিতে পারেনি ।
সেটা বুঝতে পারে পাকিস্থানের স্বাধীনতার পর পরই । সেজন্যই হয়তো নতুন রাষ্ট্র কাঠামোর প্রয়োজনীতা দেখা দিয়েছিল আর যার অন্যতম ভিত্তি ছিল ধর্ম নিরপেক্ষতা । কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশ একাত্তরে যে চেতনা নিয়ে যুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছিল তা যুদ্ধ পরবর্তী কয়েক বছরের মধ্যই পরিবর্তিত হতে শুরু করল ।
যে দ্বিজাতি তত্ত্বনীতি আমরা ঘৃণা ভরে প্রত্যাখান করলাম , ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্রকাঠামো থেকে বেরিয়ে আমরা ধর্মনিরপেক্ষতার জন্য যুদ্ধ করলাম , সেই রাষ্ট্রই আবার খৎনার স্বিকার হলো নিজের স্বাধীনতা অর্জনের পর !! সকল সত্য ইতিহাস জলাঞ্জলি দিয়ে শুরু করল মিথ্যে রাজনীতির ইতিহাস । সত্য ইতিহাস আমাদের সত্য চাওয়াকে ঢাকতে গিয়ে শুরু হয়ে গেল মিথ্যে র্চচার ।
একটি সত্যকে ঢাকতে প্রয়োজন হলো মিথ্যের সাথে সহবাস । মিথ্যে নিয়েই আমরা শুরু করল বসবাস ।
ধর্ম ভিত্তিক বিভাজন বাঙালি মেনে নেয়নি নিতে পারে নি , সেই ইস্যুতেই দেশের বেশীরভঅগ মানুষ এক হয়েছিল স্বাধীনতা যুদ্ধে কিংবা পূর্ববর্তী সময়ে অথচ সেই একই নীতি আমাদের উপর চাপিয়ে দেয়া হলো ; চাপিয়ে দিল সেই উর্দিধারীরা । সেই উর্দিধারীরা ছিল একসময় পাকিস্থান রাষ্ট্রের আর পরবর্তীতে বাংলাদেশের ।
কিন্তু কি লাভ হলো , যে ধর্ম গেল ধর্ম গেল নিয়ে চিৎকার করে আবার যারা বাংলাদেশে রাজনীতি কিংবা ক্ষমতায় আরোহন করল তারা প্রতি নিয়ত আমাদের রাষ্ট্রকে ঠেলে দিল একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র বানানো প্রতিযোগিতায় !! তবে কি স্বাধীন বাংলাদেশ গঠন ভুল ছিল কিংবা স্বাধীন বাংলাদেশ একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র এমন কোন উদ্দেশ্যে কোন নীল নক্সার ছকে আমরা চলেছি ??
কেননা স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে আমারা ক্রমাগত পিছিয়েছি ।
তবে কি গোড়াতেই গলদ !!
হতে পারে । আমরা আমাদের ৭১ এর চেতনা থেকে মুখ ঘুরিয়ে পেয়েছি জংগীবাদ , আমাদের খৎনা করিয়ে মডারেটডে মুসলিম দেশ বানানো , পেয়েছি দুর্নীতিগ্রস্থ সব মানুষ টপ টু বটম সবাই আমরা হয়েছি দুর্নীতির কড়াল রাহুগ্রস্থ । পেয়েছি বার বার সামরিক শাসন । তারা আমাদের দিয়েছে গাল ভরা গণতন্ত্র ।
না আমরা পিছিয়ে পড়তে চাইনা ।
প্রতিনিয়ত মিথ্যে বলা আর মিথ্যেবাদী বানা যে রাষ্ট্রযন্ত্র তা আমরা চাই না ।
কেননা একটি সত্য ঢাকতে গিয়ে আমরা যেদিন একটি মিথ্যে দিয়ে পথ চলা শুরু করেছিল সেদিন থেকেই আমরা মিথ্যের রাহুগ্রাসে । আমরা যদি গোড়ার গলদ না সরাতে পারি তবে আমরা কি পারব দুর্নীতি মুক্ত রাষ্ট্র , রাজনীতি কিংবা সরকার, প্রশাসন ??
যদি রাষ্ট্রই একটি শিশুকে মিথ্যে শেখায় সেই রাষ্ট্র কি করে মিথ্যে থেকে , দুর্নীতি থেকে মুক্ত হবে ??
যেদিন থেকে আমরা মিথ্যেবাদী হতে শিখেছি সেদিন থেকেই আমরা প্রতিনিয়ত মিথ্যের সাথে সহবাস, বসবাস শুরু করেছি । একটি সত্যকে আড়াল করতে আমরা সাজিয়েছে ইটের পর ইট করে মিথ্যের সারি । আর আমরা পেয়েছি প্রাসাদসম দুর্নীতি এক সুরৌম্য অট্টালিকা ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।