আওয়াজ উঠতে হবে, আওয়াজ উঠছে
( এ লেখার কোন অংশই সে সমস্ত মহান যোদ্ধাদের অপমানের বা ছোট করার কোন মতলবে নয় যারা প্রকৃত দেশপ্রেম নিয়ে যুদ্ধে অংশগ্রহন করেছিলেন), সুবিধা বাদী শ্রেনীর তরে যারা এটাকে পুঁজি করে দেশকে একটি জটিলতার মধ্যে ফেলে দিতে চান।
জামায়াত ইসলামী, বাংলাদেশের সমর্থনে এ লেখা নয় ( শুধুই পরিস্থিতির বিশ্লেষন) যারা খারাপ, তারা খারাপই। তারা ইসলামী হোক কিংবা ধর্মের নিরপেক্ষতার কিংবা হোক না সে নাস্তিকতার ।
স্বাধীনতার যুদ্ধের প্রতি কোন ধরনের হিনতা নয় শুধুই নিরপেক্ষ দৃষ্টি রাখার চেষ্টা, যদি কোন কারনে এ দৃষ্টি একটু বেশি মন্দতার মাত্রায় ঘি ঢালার মত মনে হয় তবে তা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করি। এটা শুধুই আমার নিজের মতামত অন্য কারও নয়।
নিরপেক্ষতার বিচারে
সে সময়কার প্রেক্ষাপট (বিশ্লেষনের চেষ্টা)
হ্যাঁ আওয়ামিলীগের নেতৃত্বে যে যুদ্ধ ছিল কিংবা জাসদ-পূর্ব বাংলা কমিউনিষ্টের সংগ্রামে যে যুদ্ধ ছিল তা ছিল এক শাসন থেকে মুক্তিনিয়ে নিজেদের আলাদা মানচিত্রের প্রতিষ্ঠা কিন্তু দেখুন সম্পূর্ন আলাদা হওয়ার কথাও কিন্তু তখন ভাবা হয়নি (৭১ সালের পূর্বে) কারন ৬৯ এর নির্বাচন কিন্তু পাকিস্তানের নির্বাচন ছিল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার নির্বাচন নয়। এটা সত্য যে ৭১ সালের সংগ্রাম ছিল যুদ্ধের।
জামায়াত ইসলাম ( যেহেতু তাদের ভাষায় একটি ইসলামি দল আর আওয়ামিলীগ, মুসলিম লীগ হতে ধর্ম নিরপেক্ষতার কারনে বিচ্ছিন্ন হওয়া একটি দল। সেহেতু তারা (জামায়াত ইসলামী) ভাবতেই পারে আওয়ামি লগি একটি অ-ইসলামী দল) আর স্বাধীনতার ইন্ধনে যেহেতু জয় হিন্দ আর জয় বাংলা শ্লোগানে অনেক মিল ছিল তাদের দ্বারা এটা ভাবা স্বাভাবিক যে, এটি ভারত সরকারের একটি চক্রান্ত এবং এটাকে রুখতে হবে (বর্তমান ইরাক কিংবা আফগানিস্তানে ঘটনা প্রবাহ পরীক্ষা করলে দেখা যায়), তাই যদি কোন এরকম ঘটনা অবতারনা হয়ে থাকে (যদিও আমি নিশ্চিত নই)। তবে তা গৃহ-যুদ্ধ-জড়িত একটি দেশের ইতিহাস পর্যবেক্ষক দলের হিসেব-নিকেশ করা উচিত।
হ্যাঁ দুই দৃষ্টি কোনে ঘটনা সবসময় দুই ভাবে সংজ্ঞা বহন করে। কিন্তু পরিস্থিতি বদলে গেলেই অনেক ধারনায় সু-সংজ্ঞার বাতাস লাগতে শুরু করে, দুই দৃষ্টি একসাথে একই সংজ্ঞায় সংজ্ঞায়িত করতে পারে।
এবার বর্তমান প্রেক্ষাপট (বিশ্লেষনের চেষ্টা)
বর্তমান সরকার (তত্ত্ববধায়ক সরকার) দেশের জন্য খুব খারাপ কাজ করছেন না যদিও, কিন্তু কিছু রাজনৈতিক স্বার্থবাদী মহল এ সরকারের বিরোধীতা করছে, তবে কি ভেবে নেবে তারা সরকারের শাসনের বিরোধীতা করে, দেশের আইনের প্রতি অবজ্ঞা করে রাজাকার গিরি করছেন না। বর্তমান রাজনীতির যে ধারা তাতে দেশের প্রতি মায়া-মমতার আর ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ দেখে তো জামায়াত কেই বেশি পবিত্র মনে হয়। কারন আপনারা(রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও সমর্থকরা) তারাই তো খাই খাই পার্টির সদস্য (দেশপ্রেম, আর যুদ্ধ ইতিহাস, পিতা হারা, স্বামী হারা বলে বলে দেশের সমস্ত অধ্যায়ে ভাইরাস প্রবেশ করিয়েছেন, ধ্বংসের দারপ্রান্তে এনেদিয়েছেন দেশকে।
বিনিময়ে আপনারা দেখুন জামায়াত ইসলামীর নামে রাজাকার ছাড়া আর কিইবা দোষারোপ আছে। (আমি বলছি না যে তারা পবিত্র, দোষহীন কিন্তু তুলনামুলক ভাবে দূর্নীতির চিত্রে)। ধরেন যদি কোন কারনে এই বর্তমান তত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় টিকে গেলো এবং দেশের সার্বিক উন্নতিতে বড় অবদান রাখল, তাহলে ঘটনা কি হবে আজ থেকে দশ-পনের বছরের পরের জাতি, (আওয়ামি, বিএনপি, জামায়াত, জাতিয়পার্টি) আপনাদের তো রাজাকার বলবে। তখন তো তারা আপনাদের দেশদ্রোহীতার মামলা করবে। বিচারের দাবী তুলবে।
ইসলাম ওমর (র) কে ক্ষমা করার পর যদিও তিনি ইসলাম প্রাথমিক যুগে ইসলাম বিরোধী ছিলেন (বর্তমানে দেশ বিরোধী, যুদ্ধ বিরোধী) পরবর্তীতে তিনিই ইসলামের বড় হেফাজত কারী রুপে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এবং ইসলামে কোন এমন লোক নেই যারা বেইমান রুপে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করেছেন। কিন্তু বাংলাদেশের স্বাধীন পরবর্তীতে এরকম বহু কলংকিত ইতিহাস আছে যাতে সেরকম নামি-দামি মুক্তিযোদ্ধারাও লুটতারাজ আর খুন জাতিয় ঘটনার সাথে দখলের প্রতিযোগিতায় নেমে ছিলেন । তো যুদ্ধ পরবর্তী যারা যুদ্ধের মহান ইতিহাসকে কলংকিত করেছিলেন তারা কোন শ্রেনীর দেশপ্রেমিক ছিলেন তা আজও গবেষনার বিষয়।
বর্তামােন যারা আওয়ামিলীগের কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য তাদের কতজন সক্রিয় মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।
তারা অনেকে তো সে সময় কলকাতার আশ্রয় শিবিরে নরম তক্তাপোষে বিছানা গরম করছিলেন। তাহলে...............। হ্যাঁ জামায়াত ইসলামী তষনকার সদস্যরাও দেশের পক্ষে অস্ত্র ধরেননি, কিন্তু ২৬ মার্চের পর অত্যন্ত ধরা উচিত ছিল, কিন্তু একটা স্বাধীন দেশের সরকার যখন গরম গরম পরিস্থিতিতে কিছু করতে পারেনি, কিংবা করেনি তো আজ এত বছর পর আপনারা কি করতে চাচ্ছেন, যা কোন যুদ্ধের ইতিহাসকে সমর্থন করেনা।
জামায়াত ইসলাম, ইসলাম নয় (নিশ্চিত হওয়ার আগে, ইসলাম ও জামায়াত ইসলাম সর্ম্পকে বিশদ গবেষনা করতে হবে)
জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশ এর সদস্য কর্মী কিংবা শুভাকাংক্ষী সব রাজাকার। জামায়াতী ইসলামীর সব সদস্য -কর্মী কিংবা সমর্থকদের বিচার হওয়া উচিত।
এ শ্লোগানের বিপক্ষে এখন আমার প্রশ্ন হলো- যে সমস্ত ব্যক্তি স্বাধীন পরবর্তি বাংলাদেশে জন্মগ্রহন করে এ উল্লেখিত দলের সদস্য কিংবা কর্মী তারা কিভাবে যুদ্ধপোরাধী হলো। আর আমার জানামতে অনোক মুক্তিযোদ্ধার সন্তানও এ দলের সদস্য। তাহলে...............।
আবার আওয়ামি কিংবা বিএনপি অথবা জাপা দলের অনেক যোদ্ধা যারা তৎকালীন দেশের বাহিরে কিংবা সক্্িরয় যুদ্ধে অংশগ্রহন করেননি , যাদের বয়স আজ মাত্র ৪০ কিংবা ৪১ তারা কিভাবে (দেশের কৃতি সন্তান হলেন। )
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।