'সাঁঝের ঠিক আগে চায়ের কাপের সঙ্গে ক্র্যাকারগুলো যেন উপহাস করে। সঙ্গী নেই, তাই কুড়মুড় শব্দটা ভীতিকর শোনায়। সবাই এতো ব্যস্ত, এতো কাজপাগল, তাই পছন্দের কোনও মানবীকে বিয়ের চিন্তা করাটাও সপ্তম মাত্রার অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। অগত্যা জনৈক 'ক' সিদ্ধান্তটা নিয়েই ফেললেন। কালই বিয়ে করবেন এক্স-ফোর-টু সিরিজের অনন্য সুন্দরী এক নারী রোবটকে।
'
২০৫০-এর আশপাশের কোনও এক বছরের গল্প হতে পারে এটি। এমন অনুমানে যুক্তি আছে যথেষ্ট, প্রমাণেরও অভাব নেই। আর তা করেই পিএইচডি ডিগ্রি পেলেন ব্রিটিশ গবেষক ডেভিড লেভি। রোবটের সঙ্গে মানুষের অন্তরঙ্গতার বিবর্তন সংক্রান্ত থিসিস পেপার জমা দেয়াতেই তার এ অর্জন। যাতে পরিষ্কার বলা হয়েছেÑপঞ্চাশ কি সর্বোচ্চ একশ বছর, তারপরই মানুষের সঙ্গে বিয়ে হবে রোবটের।
নারী-পুরুষ দু'জনেই বিয়ে করবে বিপরীত লিঙ্গের (!) রোবট।
লেভির রিপোর্টে বলা হয়েছে, শুধু ব্যস্ততা কিংবা পয়সা বাঁচানোই এ রকম বিয়ের একমাত্র উদ্দেশ্য হবে না। দীর্ঘ সময়ে মানুষের স্বাভাবিক জীবনাচার ও যৌনজীবনে ব্যাপক পরিবর্তনের আশঙ্কা রয়েছে। বদলে যেতে পারে মায়া-মমতা ও ভালবাসার অনুভূতিও! বিয়ের সংজ্ঞাটাও অনেকের কাছে আমূল পাল্টে যেতে পারে। অন্যদিকে ন্যানোপ্রযুক্তিতে ঘটছে অভাবনীয় সব অগ্রগতি।
রোবটগুলো দিন দিন আরও মানবিক গুণসম্পন্ন হচ্ছে। সব মিলিয়ে মানুষে আর রোবটে মিলে হতে যাচ্ছে এক অদ্ভুত জগাখিচুড়ি। তখন আট-দশটা সাধারণ বিয়ের মতোই ফ্যাক্টরি থেকে সদ্য খালাস পাওয়া রোবটকে স্ত্রী কিংবা স্বামীর বানিয়ে সংসার গড়তে যাবে জৈবিক মানব।
লেভি তার এ গবেষণায় মনোবিজ্ঞান ও সামাজিক বিজ্ঞানের ওপর রচিত ৪৫০টি গবেষণা প্রতিবেদনের সাহায্য নিয়েছেন। তাই গবেষণাটাকে ফেলনা ভাবছে না কেউ।
এর মধ্যে আবার আরেক শঙ্কাÑএর মধ্যে যদি কোনোভাবে ন্যানোসার্কিটের মাঝে মানুষের জিন প্রতিস্থাপনের হুজুগ চালু হয়, তবে আর ঠেকানো সম্ভব নয়। রাস্তায় রাস্তায় রোবটে-মানুষে বিয়ের অধিকার আদায়ের বিক্ষোভও দেখা দিতে পারে। কেননা, এতে আর যাই হোক, পছন্দসই ও শতভাগ নির্ঝঞ্ঝাট সঙ্গী পেতে তো রোবটের বিকল্প নেই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।