ইচ্ছেমতো লেখার স্বাধীন খাতা....
বার্মিংহামে আমি যে বাড়িতে উঠেছি সে বাড়ির মালিক পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত বৃটিশ। তিনি বহুদিন আগে এক দুর্ঘটনায় তার হাতের একটি আঙ্গুল হারিয়েছে। এ কারনে সরকার তাকে এ বাড়িটি সহজ শর্তে বসবাসের জন্য দিয়েছে। তবে একটি শর্ত ছিল যে এ বাড়িটি ভাড়া দিতে পারবে না। কিন্তু টাকার প্রয়োজনে সে গোপনে বাড়িটি ভাড়া দিয়েছিল।
কয়েকদিন আগে এটা সরকারের কাছে ধরা পড়ে গেছে। ফলে সরকার থেকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
বার্মিংহাম শহরটি ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় বড় শহর। গাড়িতে লন্ডন থেকে ২-৩ ঘন্টার দূরত্বে অবস্থিত এ শহরটি অতীতে একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প শহর ছিল। তবে এখন এ শহরের শিল্পগুলো ক্রমে পূর্ব ইওরোপ ও চায়নায় চলে যাচ্ছে।
ফলে শহরের অর্থনীতি ক্রমে ইউনিভার্সিটি, সুপার মার্কেট ও রেস্টুরেন্ট কেন্দ্রীক হয়ে উঠছে। তবে এ এলাকার অর্থনীতিতে যে মন্দা চলছে তা বলার উপায় নেই। শহরটিতে তিনটি বড় ইউনিভার্সিটি আছে। এগুলোতে বহু বিদেশী ছাত্র পড়াশোনা করে। বিদেশী ছাত্ররাই মূলত শহরটির শস্তা শ্রমের বাজার চালু রাখছে।
বেশ কিছু বিশাল শপিং মল তৈরি হয়েছে এবং নতুন কয়েকটা তৈরি হচ্ছে।
ইংল্যান্ডে জিনিসপত্রের দাম বাংলাদেশের মতো সকাল বিকাল বাড়ে না। এখানকার বিশাল সুপারস্টোরগুলো ক্রমাগত দাম কমানোর প্রতিযোগিতা করে। ফলে গত এক দশকেও জিনিসপত্রের দাম তেমন বাড়েনি। বাংলাদেশে সরকারগুলো অবশ্য দাবি করে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ায় জিনিসের দাম বাড়ছে।
ইংল্যান্ডের সরকার কিভাবে এ বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করে তা এখনও আমার বোধগম্য হয়নি।
এখানে ক্রেতা সংরক্ষণ আইনও খুব কড়া। আইন অনুযায়ী কোনো ক্রেতা জিনিস কিনে তা পছন্দ না হলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফেরত দিতে পারে। এ সময় জিনিসটি যদি সম্পূর্ণ ভাঙ্গা অবস্থায়ও ফেরত দেয়া হয় তাহলেও তা দোকানদারকে ফেরত নিতে হয়।
ক্রেতা সংরক্ষণ অফিসে সবসময় অভিজ্ঞ আইনজীবীরা বসে থাকে ক্রেতাদের অভিযোগ শোনার জন্য।
কোনো অভিযোগ আসলেই বিক্রেতার অবস্থা খারাপ হয়ে যায়।
ছবি : বার্মিংহাম সিটি সেন্টারের একটি চার্চ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।