হুশিয়ারি :- আমার ব্লগে কেউ সাহিত্য খুইজেন না । ইহা একটি মাকাল পরিবেশনা।
মালিবাগ-মৌচাকের ট্যাফিক জ্যাম আমার নিত্য সঙ্গী। প্রতিদিনই গড়ে এক থেকে দেড় ঘন্টা যখন এখানে থমকে থাকি তখন নিজে কে খুবই অভিশপ্ত মনে হয়। জীবনের উপর অভক্তি-বিরক্তি এসে পরে।
ক্রমেই মাথাও জ্যাম হতে থাকে। বাসের সিটে ক্লান্ত শরীরে ধৈর্য ধরে বসে বসে জিমাতেও বড্ড কষ্ট লাগে। কখনো কখনো মাথায় রক্ত উঠে যায়। মাঝে মাঝে সামলে নেই নিজেকে। মাঝে মাঝে গালি দিয়ে শান্ত করি মনকে।
একটা বাসের সব যাত্রীর টেম্পার এক না। আমি লক্ষ্য করেছি দীর্ঘক্ষন ধরে জ্যামে থাকার কারনেই বাসের ভিতরকার প্রতিটা মানুষ কম-বেশী অস্থির হয়ে পরেন। যাত্রীরা কখনো ড্রাইভারের সাথে এমন কি সহ যাত্রীর সাথেও ঝগড়ায় লিপ্ত হয়।
যাত্রীদের উত্তপ্ত কথা-বার্তার কিছু নমুনা নীচে দেখুন ঃ-
-১-
(গালি) ড্রাইভার হইছ! (গালি) গাড়ী চালাও! পিছনের সব গাড়ী তোমারে ওভারটেক কইরা চইলা গেল !
-২-
ঐ ব্যাটা পিছনে কি দেখছ ? গাড়ী ছাইরা রিক্সা চালাগা।
-৩-
ঐ ড্রাইভার ! গাড়ী থামায় বইসা আছোস কি জন্য ?
এতক্ষন জ্যামে বসায় রাইখা এখন খাড়ায় যাত্রী উঠাইতাছো।
-৪-
তুমি কোন বালের হেলপারি কর ? পিছনের সব গাড়ী আগে যায় কেমনে ?
যাও নদীতে যাইয়া নৌকার হেলপারি করগা।
-৫-
(গালি) ট্রাফিক দুই/তিন সিগনাল ধইরা গাড়ী আটকায় রাখছে।
আধ ঘন্টা পর পর পাঁচ গাড়ী ছাইড়াই আবার সিগনাল দেয়।
-৬-
১ম যাত্রী - আপনে মোবাইলে এতো জোড়ে জোড়ে কথা কন কেন ? মানুষের ডিস্টাব হয় না।
২য় যাত্রী - আপনি এভাবে কথা বলছেন কেন ?
৩য় যাত্রী - আমরাওতো কথা কই, এতো চিল্লাচিল্ল তো করি না।
৪র্থ যাত্রী - আরে ভাই মোবাইলে কেউ জোড়ে কথা বলে, আর কেউ আস্তে কথা বলে।
৫ম যাত্রী - ভাই ধামেন ! এগুলো নিয়ে আর কথা বাড়াইয়েন না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।