কপিরাইট © সংরক্ষিত.. লিখিত অনুমতি ছাড়া প্রকাশ নিষেধ
১.
ঠিক এক বছর পর আবার কাতার আসতে হইলো।
প্রজেক্টের কাজে গতবছর এই সময়েই দু'মাস কাতার থাকতে হইছিল। সে এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতা। পণ করছিলাম, এই দেশে যেখানে রোদের তাপে খেজুর গাছের পাতাও পুইড়া খা খা, সেইখানে আর আসবো না। অন্ততপক্ষে সামারে (মে-জুলাই) তো নয়ই।
কপাল বদ নসিবের গোডাউন হইলে ঠেকায় কে! আবার আইলাম শ্যাখের শ্যাখ কাতারীগো দেশে।
গতবারের কথা ভুলি নাই। ভুলি ক্যামনে! মিনিমাম পয়তাল্লিশ ডিগ্রি রোদমাত্রা আর নব্বইয়ের ঘরে হিউমিডিটিওয়ালা কাতারী গ্রীষ্মবকাশ কি ভোলা যায়! তবে এই একশভাগ মরুভূমি আর বেদুইনের দেশে গতবার গরমের চাইতেও বেশী ভোগাইছিল সর্দি। ঠিকই শুনলেন, সর্দি। অতিরিক্ত গরমে বরফ কুসুম পানি আর অহর্নিশ এসির হিমেল হাওয়া খাইয়া বংশগতিসূত্রে পাওয়া এলার্জিরে দিসিলাম উস্কাইয়া।
সাথে ধুলিময় লু হাওয়া তো ছিলই।
এইবার তাই অতিমাত্রায় সতর্ক হইয়া ধুলাশার (ধুলার কুয়াশা)চাদর গায়ে দিয়া গরমে ঝিম মাইরা যাওয়া রাজধানী শহর দোহা'য় পা দিছি।
২.
গাল্ফের (GULF)পাড়ের দেশ কাতার। এরা এই পাড়ে খাড়াইয়া বলে, ইয়া ব্রাদারানে আরব, ইহা এরাবিক গাল্ফ। পারস্যদেশের খলিফারা তখন হুংকার দিয়া বলে, কইলেই হইলো? এইটা পারসিয়ান গাল্ফ।
আমি কই, এইটা কোনো ইস্যু হইলো? শেক্সপীয়ার বলেছেন, নামে কি আসে যায়।
গায়বি আওয়াজ আমারে কইস্যা থাপ্পর লাগায়,ইস্যু আছেরে পাগলা। দুনিয়ার সবতে বড় পানির তলের প্রাকৃতিক গ্যাসের খনি এই গাল্ফের তলায়। বাংলাদেশের ব্যাবাক প্রোভেন, পসিবল গ্যাসের চাইতে মাত্র ৬০ গুন বেশী।
কাইজ্যার কারণ বুইজা ফালাই।
কাতারী মানে কাতারের নাগরিক আগে হয় আছিলো বেদুইন নয়তো মুক্তার ডুবুরী। একদিন বালিয়াড়ির পাশে খেজুর পাতায় শুইয়া ঘুম থেকে উঠার পর দেখে, তেল আর গ্যাসের উপরে দ্যাশ দুনিয়া ভাসে।
সেই থিকা বেদুইন উটের বদলে টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার ধরছে।
(চলবে)
(সচলায়তনে প্রকাশিত)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।