আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাতারের নিমার্ণখাতে ব্যাপক হারে শ্রমিক নির্যাতন ও বঞ্চনার ঘটনা ঘটছে। ২০২২ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলকে সামনে রেখে দেশটিতে যখন স্টেডিয়াম নির্মাণের কাজ চলছে তখন এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলো।
অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রবাসী শ্রমিকদেরকে প্রায়ই তাদের প্রাপ্য মজুরি দেয়া হয় না। তাদেরকে বিপদজনক পরিবেশে কাজ করতে এবং নোংরা ও মানবেতর পরিবেশে বসবাস করতে হয়।
২১০ জন শ্রমিক, কর্মী এবং সরকারি কর্মকর্তার সাক্ষাতকারের ভিত্তিতে তৈরি ‘ডার্ক সাইড অব মাইগ্রেশন’ নামের এ প্রতিবেদনে কাতারের নির্মাণখাতে বিরাজমান পরিবেশ তুলে ধরেছে অ্যামনেস্টি।
অ্যামনেস্টি বলেছে, কাতারে শ্রমিকদের ওপর যে নির্যাতন চালানো হয়েছে তাকে ‘বল প্রয়োগে বা জোর পূর্বক খাটানো’ হিসেবে উল্লেখ করা যায়। এতে আরো বলা হয়েছে, মজুরি বাকী থাকা সত্ত্বেও শ্রমিকরা কর্মক্ষেত্রে হাজির না হলে তাদেরকে জরিমানা, কাতার থেকে বহিষ্কার বা আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি করা হত।
দোহার প্রধান হাসপাতালের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিনিধির বরাত দিয়ে এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১২ সালে এ হাসপাতালের ট্রোমা ইউনিটে এক হাজারের বেশি শ্রমিককে উপর থেকে পড়ে যাওয়ার কারণে ভর্তি করা হয়েছে। এদের ১০ শতাংশই স্থায়ীভাবে পঙ্গু হয়ে গেছে এবং তাদের মৃত্যুর হারও ছিল উল্লেখযোগ্য অ্যামনেস্টি। কাতার প্রবাসী শ্রমিকরা যে মারাত্মক বঞ্চনার শিকার হচ্ছে তা অনুসন্ধানে উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।