আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রক্তিম ধূসরতা

ছায়া ছায়ায় পথ হেটে চলি--ছায়া আমার সামনে ও পিছে।

লেখাটি সাতপর্বের। আজ পোস্ট করলাম প্রথম পর্ব... লেনিন এক... কিছুদিন যাবত রমা উদ্ভট উদ্ভট স্বপ্ন দেখছে। স্বপ্ন গুলো যে শুধু উদ্ভট তা না। একেবারে হ-য-ব-র-ল।

তার স্বপ্ন নিয়ে সে মহা চিন্তিত। চিন্তিত শব্দটার সামনে ‘মহা’ থাকাতে সে আরও বেশি চিন্তায় আছে। সে ভেবে পায় না বাংলা অভিধানে এই ‘মহা’ শব্দটার কী দরকার। এই শব্দটা না থাকলেই তো তার স্বপ্ন গুলো ‘মহা দুঃস্বপ্ন’ না হয়ে শুধু ‘দুঃস্বপ্ন’ হতে পারতো। শুধু এই কারণেই বাংলা ভাষাবিদদের ওপর সে বিরক্ত।

যদিও সাগরের সামনে মহা, মানবের সামনে মহা থাকলে মহাসাগর, মহামানব হয়। তবুও সে তার নিজের অভিধান থেকে এই শব্দটা বাদ দিবেই। এই প্রথমবারের মতো সে কোন শব্দ তার অভিধান থেকে বাদ দিচ্ছে তা কিন্তু না! এর আগেও সে তার নিজস্ব বাংলা অভিধান থেকে ১৪৩ শব্দ বাদ দিয়েছে। অনেকটা ঘটা করে সে এই শব্দগুলো বাদ দেয়। কোরবানীর ঈদের সময় যেমন গরু, ছাগল জবাই করা হয় ঘটা করে, ঠিক সেই ভাবেই।

কষ্ট দিয়ে। মানুষ কষ্ট দিয়ে আনন্দ পায়! আর রমা কষ্ট পায়। অবশ্য তার অভিধান থেকে শব্দ জবাই করতে তার তেমন কোন কষ্ট হয় না। আনন্দ পায় সে ঠিক সেই মানুষগুলোর মতো। রমা ছেলেটাই একটু অন্যরকম।

এই অন্যরকম রমা তখন খুব ছোট। সে মাত্র বাংলা বর্ণমালার ক,খ,গ... লিখতে পড়তে শিখছে। বড় বোন নাসরিনের কাছে তার হাতে-খড়ি। তবে সে কিছুতেই অরগুলোকে তার আয়ত্তে আনতে পারছিল না। নিয়মিত খেতে হতো বড় বোনের বকা-ঝকা।

‘ক’ কে ‘ক’ না বলে তার মনে যা ইচ্ছা তাই বলে দিত। যুক্তি দাঁড় করাতো ‘আমি নিজে বুঝতে পারলেইতো হল’। বুঝতে চাইতো না অন্যকেও তার লেখা বুঝতে হবে। বাংলা ভাষাকে একটু জটিল মনে হওয়ায় তার নিজস্ব লিপি তৈরির প্রচেষ্টা শুরু করে সেই থেকেই। গত ২৪ বছরে একভাবে সে সফলও।

এখন তার নিজস্ব লিপি আছে। সে তার নিজস্ব লিপিতে লিখতে পারে, পড়তে পারে। তার প্রেমিকাকে সে এই ভাষা ও লিপি শিখিয়েছে। পৃথিবীর সবচেয়ে কম ব্যবহৃত ভাষা হিসেব তার উদ্ভাবিত ভাষা ও লিপির নাম গিনিজ বুকে উঠে যাওয়ার কথা। মাত্র দু’জন কোন ভাষা ও লিপি ব্যবহার করে? এ ধরনের প্রশ্ন বিসিএস পরীায় আসতেও পারতো।

সঙ্গে তার নাম, আবিষ্কারক হিসেবে। তার ভাষাটার নামও উদ্ভট। ‘রংরী’ । র’ তার নামের আদ্যর আর রী’ রীপুর নামের আদ্যর। কয়েকদিন যাবত সে ভাবছিল একটা বিশেষ, না বিশেষ না! কারণ তার অভিধানে বিশেষ শব্দটা নাই।

একটা ব্যাপার নিয়ে ভাবছে। সে মশা, মাছি, পিপড়েসহ ছোট ছোট কীট-পতঙ্গের ভাষা শিখবে। এই নিয়ে রীপুর সাথেও কথা বলেছে। অথচ কিছূই বুঝে উঠতে পারছেনা। রমার অদ্ভুত স্বপ্ন দেখার এটাই একমাত্র কারণ।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।