বোবা আর বোকার কোনো শত্রু নাই বেশ কিছুদিন ধরেই অনেকগুলো ফানি পোস্ট দিচ্ছিলাম। তাই আজ চিন্তা করলাম ব্যতিক্রমধর্মী একটা সিরিয়াস পোস্ট দিই। কিন্তু যুঁতসই কোন টপিক খুঁজে পাচ্ছিলাম না। অবশেষে গুগল মামুরে গুতাইলাম। হেয় কইল, "ভাইগনা আর গুতাইছ না, মেজাজ বিলা হয়া আছে।
তুই বরং ছাগলের মগজের স্যুপ তৈরির একটা পোস্ট দিয়া দে। "
আমি কইলাম, মামু পোস্টতো দিবার পারমু মাগার তুমার উজবুক ইংরেজিরে বাংলা কইরা দিবো কে? হেয় কইল, "আরে বেকুব অহন আর হে দিন আছে নি? তোরে ঝাক্কাস একখান ভিড্যু লিংক দিতাছি, গত বছর স্বয়ং হিনা রাব্বানি এই স্যুপ বানাই বিলাওয়াল ভুট্টোরে খাওয়াইছিল। তুই খালি ভিড্যু দেইখ্যা লেখতে থাক। "
তো পাঠক আর দেরি কেন ঝটপট রেডি হয়ে নিন ছাগলের মগজের স্যুপ তৈরির জন্য।
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
১) দশটা জ্যান্ত ছাগল
২) একটা গোলাম আযমের ছবি
৩) বইঃ ভাষা সৈনিক গোলাম আযম
৪) বাচ্চু রাজাকারের ফাঁসির রায়ের কপি (প্রয়োজনবোধে)
৫) সয়াবিন তেল এক লিটার
৬) প্রয়োজনীয় মশলাদি
৭) লবন পরিমানমত
৮) উন্নত জাতের ঘাস
৯) কাঁঠাল পাতা কুঁচি
১০) সেভলন
কার্যপ্রণালীঃ
১) প্রথমেই ছাগল গুলার গলা থেকে দড়ি খুলে নিন।
ওরা কিন্তু ছাড়া পেয়েই পালানোর চেষ্ঠা করবে। ভয় নেই।
২) গোলাম আযমের ছবিখানা উঁচু করে তুলুন। এবার দেখবেন জাত ভাইরে দেইখ্যা ক্যামনে সবাই আপনার কাছে চলে আসছে।
৩) এবার ভাষা সৈনিক গোলাম আযম বইটা পাঠ করা শুরু করেন।
দেখেন ছাগল কিভাবে হাসাহাসি শুরু করে দিছে।
৪) এবার নিজামী একটা দেশপ্রেমিক এই লইয়া তিন মিনিটের একটা বক্তৃতা শুরু করে দেন। দেখবেন পুরা দশটা ছাগলই হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাচ্ছে।
৫) এবার আসল খেলাটা শুরু করেন। মুক্তিযুদ্ধে জামাতের ভূমিকা নিয়ে কথা বলা শুরু করেন।
দেখেন একে একে ছাগল জাতভাইগো কিচ্ছাকাহিনী শুনে কিভাবে হার্ট ইস্টক করা শুরু করে দিছে।
৬) এতেও কাজ না হলে আজকে বাচ্চু রাজাকারের ফাঁসির রায়টি পড়ে শোনান। জাত ভাইয়ের এমন কাহিনী শুনে আর কোন ছাগল বাঁচার কথা না। কি বুঝলেন, ছাগলেরও তাহলে কিছু ব্রেণ আছে।
৭) হ্যাঁ এবার আপনাকে কাটিকুটিতে যেতে হবে।
সাবধানে ছাগলের মাথাগুলো কেটে মগজ বের করে আনুন। দশটি ছাগলের মাথা থেকে আধা কেজির মত মগজ বের হবে।
৮) মগজগুলো দশ মিনিট ঠান্ডা পানিতে ডুবিয়ে রাখুন।
৯) এবার চুলায় আগুন জ্বালুন। কড়াইয়ে এক লিটার তেল নিন।
১০) তেল মারাত্মক গরম হলে এতে দুই লিটার পানি ঢালুন।
১১) কি হল! একটু বিস্ফোরন তাই না? আপনার শরীরের কয়েক জায়গায় হালকা পুড়ে যাবে। ব্যাপার না, ভালো জিনিস খেতে হলে এরকম কষ্ট করতে হবে।
১২) এবার কড়াইয়ে ছাগলের মগজগুলো ঢালুন। এই সুযোগে শরীরের পোড়া জায়গায় সেভলন লাগিয়ে নিন।
১৩) আধা ঘন্টার মত গরম করুন। মগজগুলো ছড়াছড়া হলে সকল মশলা ঢালুন। লবন মিশিয়ে দিন পরিমানমত।
১৪) দেখবেন কি চমৎকার একটা ঘ্রাণ বের হচ্ছে। আরো আধা ঘন্টা রেখে নামিয়ে নিন।
অনেকে হয়তো ভাবছেন উন্নতজাতের ঘাস আর কাঁঠাল পাতা দিয়ে কি হবে?
এবার একটা হতাশার কথা বলি, আপ্নারা যারা ছাগলের মগজের স্যুপ খাওয়ার জন্য জিহ্বা আট হাত বের করে ফেলেছেন দয়া করে তারা জিহ্বা ভিতরে ডুকান। এ রেসেপি কিন্তু আপনাদের জন্য না। শুধুমাত্র ব্লগীয় ছাগুদের জন্য।
১৫) এবার ধীরে ধীরে স্যুপের উপরে কাঁঠাল পাতা কুঁচি এবং ঘাস ছড়িয়ে দিন। কি দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে তাই না?
ছবিঃ ছাগলের মগজের স্যুপ(গুগল মামু আমারে পুরাই হতাশ করিচ্ছে, এর চাইতে আর ভালো ছবি খুঁজে পেলাম না)
পরিবেশনঃ
উপরের রেসেপিটা মোটামুটি দশজন ছাগু বেশ ভালোমত খেতে পারবে।
তাদেরকে আদর করে কাছে টানুন, পাশে বসিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।