আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

“একটি চতুর্ভুজ প্রেমের গল্প”

“এটি একটি কাল্পনিক গল্প, এর সাথে কারো জীবনের বা ঘটনা মিলে গেলে লেখক দায়ী নয়” গল্পটি আবর্তিত হয়েছে একটি মেয়ে এবং তিনজন ছেলেকে কেন্দ্র করে। একটি ছেলে তার নাম অরণ্য(ছদ্মনাম), সে H.S.C পরীক্ষা শেষ করে তার এলাকার একটি সুনামধন্য কলেজ থেকে, পরবর্তীতে পড়াশুনার তাগিদে পাড়ি জমায় এই আজব শহর ঢাকাতে। তার S.S.C এবং H.S.C এর ফলাফল ভালো ছিল এবং তার বাবা মায়ের ইচ্ছা অনুযায়ী ভর্তি হয় বাংলাদেশেরই সুনামধন্য একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস কিনা জানিনা গল্পের নায়িকা নওশিন (ছদ্মনাম) ভর্তি হল একই বিশ্ববিদ্যালয়ে একি বিভাগে। আমরা সবাই জানি ভালোবাসার সৃষ্টি হয় কিছু ভালো লাগা থেকে, ঠিক তেমনি করে ক্লাসের প্রথম দিনেই বেচারা অরণ্য প্রথম দেখাতেনওশিনের চোখ পছন্দ করে, তার কাছে মনে হয় নওশিনেরচোখে অনেক মায়া কেমন জেনো ভালো লাগা এমনি হয় হয়তো, কারো চোখ, কারো চুল কারো বা ঠোট থেকে প্রেমের প্রনয় ঘটে, যাই হোক মেয়েটি সম্পর্কে প্রথমে কিছু কথা বলে রাখি- মেয়েটি এত অপরূপা নয়, তবে তার চোখ দুটো দেখলে যে কেও তার প্রেমে পরে যাবে, এবং চেহারাটা অন্যরকম যেন প্রকৃতি নিজ হাতে তাকে তৈরি করেছে।

আর ছেলেটি পুরোটাই অন্যরকম, ছেলেটি হাবা-গবা রকমের মানে অতি সহজ সরল এবং তেমন স্মার্ট ছিলনা ঐসময়। ঢাকা শহরে নতুন আসলে যেটা হয় আর কি, ছেলেটি অন্তমুখি স্বভাবের ছিল। সহজ-সরল ছিল বলে ক্লাশ এর অন্যান্য ছেলে-মেয়েরাও তাকে ভালো পেত। ছেলেটির অন্তমুখি স্বভাবের কারনে মেয়েটিকে কোন দিন তার ভালোবাসার কথা বলতে পারেনি। কিন্তু ভিতরে ভিতরে তাকে জান-প্রাণ দিয়ে ভালবাসত।

একদিন সামাজিক যোগাযোগের সাইটএর মাধ্যমে ঐছেলেটি ভয়ে ভয়ে ঐমেয়েটিকে বলে যে, সে তাকে ভালবাসে। মেয়েটি থেকে তিন সপ্তাহ পরে রিপ্লায় দেয় ha,ha,ha আমার বয়ফ্রেন্ড আছে। তারপর ও ছেলেটির মেয়েটির প্রতি ভালোবাসা একটু ও কমেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের Semister ওয়ারি নিয়মের কারনে মেয়েটির সাথে ছেলেটির আর কোন দিন ই দেখা হয়নি এবং ছেলেটি ও মেয়েটির ভালোবাসার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আর কোন দিন তার সামনে যায়নি। গল্পটির শেষ এখানে হলে হয়তো ভালো হত।

কিন্তু মেয়েটির ব্লগ লেখার প্রতি খুবই ঝোঁক ছিল। সামাজিক যোগাযোগ সাইট এর মাধ্যমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের সাথে তার পরিচয় হয়, ঐছাত্র টির নাম ছিল ফারাবি(ছদ্মনাম) ও আবার খুবই ভালো লিখতে পারতো এবং ভালো ব্লগ লিখে। ঐ মেয়েটি ফারাবির বিভিন্ন ব্লগ দেখত এবং তার লেখায় লাইক দিতো এবং কমেন্ট করতো, এই রকম কিছু দিন চলতে চলতে, ফারাবির লিখা পরতে পরতে একটা সময় ফারাবি এবং নওশিনের কথা বলা শুরু হয়। ভালোইচলতে লাগলো, মেয়েটি ফারাবির লিখায় বেশ সুনাম করত, ফারাবি ভাবতো যে নওশিন তার ভালো একজন ফ্যান ভাবাটাই স্বাভাবিক ছিল, কারন মেয়েটির কথার ভাবভঙ্গি তাই প্রকাশ পেত। একদিন ফারাবিও অরণ্যের মত সামাজিক সাইটএ তার প্রেম নিবেদন করে, যথারীতি নওশিন ও প্রত্যাখ্যান করে, এবং তার উপর সামাজিক সাইট থেকে ছেলেটিকে চিরতরে বিদায় দেয় মানে Block করে দেয়, মেয়েটির স্বভাব ছিল কিছুটা মৌ-মাছির মত, ফুলে ফুলে উড়ে মধু সংগ্রহ করার মত।

যাই হোক পৃথিবী টা গোল কখন কিভাবে কার সাথে পরিচয় হয় বলা যায় না। একদিন সামাজিক যোগাযোগের সাইটএ ফারাবি এবং অরণ্যের বন্ধুত্ব হয়। ফারাবির লেখা গুলো অরণ্যের Profile থেকে শেয়ার করতে বলে এবং অরণ্যের ও লেখা গুলো ভালো লাগে এবং শেয়ার করে। একদিন ফারাবি অরণ্য কে Message পাঠায় যে, “ভাইয়া, নওশিন কে চিনেন?”। অরণ্য Replay দেয় “কোন নওশিন?”।

সে বলে আপনাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের। অরণ্য থমকে যায়!! অরণ্য মোবাইল এ কথা বলে ফারাবির সাথে এবং ফারাবি সব ঘটনা খুলে বলে। অরণ্য মনে মনে বলে যে, এটা কি হোল। অরণ্য ফারাবি কে Suggest করে যে, দেখেন ওর অর আরেক জনের সাথে Relation, ওর কথা ভুলে যান; আপনার লেখা খুবই ভালো। আপনি লেখাচালিয়ে যান, এবং ফারাবি এর অনেক Request এর পরে অরণ্য বলে যে, আমি বেপারটি দেখব।

অরণ্য খোজ নিয়ে জানতে পারে, যে ছেলেটির জন্য মেয়েটি তার নাম বদল করে হয়েছিল “দেবি অমৃত”সে ছেলেটির সাথেও নাকি তার ব্রেক-আপ হয়ে গেছে এবং সে ছেলেটিও মেয়েটির জন্য তখন পাগল প্রায়। মেয়েটির Photography এর উপর ভীষণ আগ্রহ। এবং বর্তমানে সে একজন Photographer কে বেছে নিয়েছে। নওশিন এই Photographer এর কি বন্ধু না প্রেমিকা তা ফারাবি, অরণ্য বা নউসিনের আগের প্রেমিক জানে না। হয়তো কিছু দিন পর দেখা যাবে Photographer তার Photography ক্যামেরার Lence টাই হারিয়ে ফেলেছে।

যে মেয়েটির জন্য এতগুলো ছেলে পাগল প্রায়, সে মেয়েটির কি এতটুকুও অনুশোচনা হয় না। এবং সে কি একটু ও ভেবেছে তার মায়াবি চেহারায় আকৃষ্ট হয়ে, তার কত ছেলে যে...... Note: প্রেমিক/প্রেমিকা ঘনঘন বদল করা আজ কাল কার ছেলে মেয়েদের কি পেশা না নেশা। এখন বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরলে দেখা যায় যে, Semister ওয়ারী প্রেম চলতেসে। কিন্তু সহজ সরল ছেলে/মেয়েদের যারা এইসব ধোঁকা দেয় তাদের কে বলি আপনার বিবেক কে একবার প্রশ্ন করে দেখুন, আপনি যে রকম অন্যের মন নিয়ে খেলছেন ঠিক তেমিনি করে আপনার পছন্ধের কেও যদি আপনার মন নিয়ে খেলে তবে কেমন লাগবে! অবশেষে দুই লাইন আমার বন্ধুর তরফ থেকে -“পাশের বাড়ির রাইটার” “নও তুমি উত্তম, নও তুমি কালো, আমি তোমার চোখে দেখতে পেয়েছি আমার চোখের আলো। আমি নই উত্তম, নই পরাধীন, নই যে কোন ভণ্ড, আমি সবকিছু করি, আপন মনে চলি, আমিই আমার দম্ব।

আমি করিতে পারি তোমার জন্য, করিবনা কিছুই। যাতে তোমার দম্ব আমার কারনে হয় উপচিত। “ লেখকঃ জনি রহমান অরণ্য ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.