জাদুনগরের কড়চা
গত দুই দিন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ছিলো বরফের কারণে। মঙ্গলবার সারাদিন বরফ পড়েছে। শুরুতে এরা পরিষ্কারের চেষ্টা করে পরে বাদ দিয়েছে। আর গতকাল সারাদিন ধরে ঘসাঘসি করে কিছুটা সাফ করেছে।
ছোটবেলায় দরখাস্ত শিখতাম, বৃষ্টির দিন উপলক্ষ্যে স্কুল ছুটির আবেদনপত্র।
এই দেশের বাচ্চারা এই দিক থেকে খুবই দূর্ভাগা। কদাচিৎ ছুটি-টুটি দেয় এখানকার স্কুল। আর বিশ্ববিদ্যালয় হলে তো কথাই নাই। !@@!493850 !@@!493851 শেষ বরফ-ছুটি দিয়েছিলো ১৯৭৯ সালে। বুঝুন অবস্থাটা!!
তাই ফাঁকতালে দুই দিন ছুটি পেয়ে বেশ খোশ মেজাজে ছিলাম।
যাহোক, আজ বিশ্ববিদ্যালয় খুলে গেলো। আমি ক্যাম্পাসে গেলাম দুপুরের দিকে। বাস চলতেই পারছিলোনা। বাসা থেকে দৌড়ে বাস পর্যন্ত যেতে যেতে পায়ের হাঁটু পর্যন্ত বরফে মাখামাখি। বাস যাচ্ছে ঢিমে তালে, আর দেখছি শুধু রাস্তার মাঝের একচিলতে জায়গা খালি করেছে, বাকিটা বরফ।
কবরস্থানের কবরগুলোর শিলালিপির উপরের অংশ কেবল দেখা যাচ্ছে।
ক্যাম্পাসের স্টপে নামলাম। Quad, অর্থাৎ ক্যাম্পাসের মাঝের বিশাল মাঠটা সাদা ধবধবে একটা চাদরে যেন ঢাকা। আর ছাত্রদের অভ্যর্থনা জানানো আলমা ম্যেটার এর মূর্তিটাও যেন এই বরফের মধ্যেও ছাত্রদের স্বাগত জানাচ্ছে।
ক্যামেরা নিয়েছিলাম, কিন্তু বেশিক্ষণ দাঁড়াতে পারলাম না।
-১৬ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। আমার এই বাঙালি শরীরে আর বাহাদুরী সইলোনা। তাই মানে মানে কেটে পড়লাম ডিপার্টমেন্টের দিকে।
আজকের ভিডিওঃ !@@!493973।
[দ্রষ্টব্যঃ প্লীজ, ভিডিওটা দেখে হাসবেন না।
উইন্ডোজ মুভি মেকার আজই প্রথম ব্যবহার করলাম, তাই হাত মকশো করতে গিয়ে শেষে ওরকম ক্রেডিট ফ্রেমটা যোগ করেছি। )
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।