সত্যবাদী দৃশ্যপট এক ঃ আমার সামনে সকালের সোনা রোদে একঝাক শালিখের দল, আর একটি ধান ক্ষেত। একটা দক্ষিণে বাতাসে নুয়ে পড়ছে সোনালী ধানের ছড়া, শালিখের আনন্দ, আমার হাতে শক্ত হয়ে এঁটে বসা রাইফেলের বাঁট। কাদামাটি মেখে ভূত হয়ে বসে আছি; কখন বের হবে শয়তান গুলো! গান সাইটে আব্দুল মিয়ার বাড়ির উঠোন আর আমার রাইফেলের চেম্বারে নিশ্চুপ বসে থাকা মৃত্যু, ৭.৬২ মি মি ধাতব পশু। উঠোনে খেলছে দুটি শিশু, নিমগ্ন তারা, অর্থহীন হেসে উঠা মাঝে মাঝে। ট্রিগারে আঙুল চেপে বসে আছি, আমি, আমার পাশে কাদের, তার পাশে মজিদ, তার পাশে; আপ্রাসঙ্গিক, আমরা বসে আছি! শালিখ গুলোর আনন্দ সংক্রমিত আমার মাঝেও, আব্দুল মিয়ার নিস্তার নাই; নিস্তার নাই তার সঙ্গীদের, সাথে নিমগ্ন খেলতে থাকা শিশুগুলো! ভুল সময়ে ভুল জায়গায় খেলতে নেই।
দৃশ্যপট দুই ঃ মতিঝিলের অফিস পাড়ায় তীব্র ভিড়। ফুটপাতে কাকেদের আনন্দ, আমার মোটা চশমায় আব্দুল মিয়ার ব্যাংক। সপ্তাহের একদিন অফিসে আসেন তিনি, আজ সেই দিন। আজ হিসেব মেলানোর দিন। অনেক হিসেব জমা, অনেক! আমাদের রাইফেলের নিশ্চুপ মৃত্যু গুল নিশ্চুপ ছিল, আর তাতেই এত হিসেব বাকি পড়ে গেল।
এত গুলো শিশু পিতৃহীন হল, আব্দুল মিয়ার শিশুরা সেটাকি বুঝত!
দৃশ্যপট তিনঃ মুখোমুখি আমি আর আব্দুল মিয়া। কাল্পনিক গান সাইট তাক করা ঠিক দু’চোখের মাঝ বরাবর।
পরিশিষ্ট ঃ তখনও পারিনি, এখনও পারিনা, কখনও পারবোনা, আমি অতি সাধারন মানুষ, অথবা পশু!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।