পরিবর্তনের জন্য লেখালেখি
মন্তব্য করতে গিয়ে লম্বা হলো এবং যথা রীতি অটো লগ আউট। রাগ করে পোস্ট হিসাবেই দিয়ে দিলাম।
শুধু এই রকম একটা পোস্ট দেওয়ার জন্যই অভিনন্দন জামাল ভাই। মন বড় খারাপ হয়ে থাকে যখন ভাবি, বাইরের সমাজের মতই , ব্লগেও সব কিছু , সম্পূর্ণ স্বাধীনতা নিয়ে লেখা যায় না!!!
অথচ ব্লগ এসেই ছিলো " লেখা ও বলার সম্পূর্ণ স্বাধীনতা" - এর প্রতিজ্ঞা নিয়ে!!
ভালো লাগলো আপনার পোস্ট আর অত্যন্ত পরিণত আর নির্দিষ্ট মননের পরিচয় পেয়ে।
একমত হলে ভালো লাগে।
কিন্তু সৎ এবং যুক্তিপূর্ণ মত পার্থক্য আরো ভালো লাগে --- ওটা থেকে বেশি শিখি।
অপবাকের বলা সম্পদ আর উত্তরাধিকার - বিয়ের দলিল এর শুরু--- এটাই বলে মানব ইতিহাস। সবটাই শেষ পর্যন্ত অর্থনীতি এবং সেটার শুরু যখন থেকে মানুষ "সেন্স অফ বিলংগিং " বা " মালিকানার ধারনা" পেতে শুরু করে , মানব ইতিহাসের তখন থেকে।
তার আগে কি সম্পর্কিত হয়নি মানুষ?
যারা এখনও যাযাবর বা আদিম পন্থায় জীবন যাপন করে , তাদের সামাজিক নিয়ম কানুন গুলো খেয়াল করলে "কমিউন্যাল লিভিং " সম্পর্কে ধারনা পাওয়া যাবে। দলিল সেখানে জরুরী নয়।
কিন্তু স্ব ীকৃতিটা জরুরী , কারন সেই --- সম্পদের বন্টন।
আস্ত , মাঝে মাঝে বড় হতাশ করো!!! ইসলামে সব কিছুর সমাধান আছে , বিশ্বাস করো তো? তো , এই ইসলামেই তো বলেছে , জ্ঞানার্জনের জন্য সুদূর চীন পর্যন্ত যাও। একটু বোঝার চেষ্টা করো , চীনে গিয়ে চাইনিজ কোরান কিন্তু পড়তে বলেনি!!! মানুষকে বুঝতে হলে শুধু ধর্মের ইতিহাস পড়লে তো চলবে না, মানবের ইতিহাসও পড়তে হবে। তবে ধর্মের বই গুলো যখন তারা "নাযেল" হয়েছে, সেই সময়কার ভাল ইতিহাস সনদ। সবচেয়ে ভালো হয়, যদি সব ধরনের বিষয় নিয়ে পড়া যায়।
মানুষ বিজ্ঞানই বলো আর যাই বলো, জ্ঞানের সব কটা শাখাতেই নিজেকে আর প্রকৃতিকে বোঝার চেষ্টাই তো করেছে!!
নারী পুরুষের টান, দায়িত্ববোধ, টেকসই সম্পর্ক - দুজন মানুষের মাঝে - দলিল দিয়ে নির্ধারিত হয় না। বিয়ের দলিল অনেকটা সঙ্গমের মত, প্রেম থাকলে সুখ, না থাকলে ধর্ষন। সে রকম, বিয়েও, প্রেম থাকলে মালা, না থাকলে শেকল।
বিয়ের দলিলটা নারী - পুরুষের প্রয়োজন নয়। প্রয়োজনটা সমাজের, রাষ্ট্রের ।
দুইজন মানুষে র জন্য অনেক নিয়মেরই দরকার হয় না। সংখ্যাটা যখন বেড়ে চলে যায় সহজ নিয়ন্ত্রনের বাইরে , আর সৃষ্টি করে সমস্যা , তখনই আসে নিয়মের প্রশ্ন!!
জামাল ভাই গিয়া হিমালয়ে বাস করুক। কারো কিছুই হবে না। আমি সিওর , দোজখেও যাইতে হবে না। আর কোন নারী যদি নাই থাকে তো জেনা করবে কার সাথে? পাপ হবে কি করে?
কিন্তু সমাজে বাস করে বলেই যদি বিবাহ নামক বেড়ি না পরার সুযোগে জেনা করে ফেলে!!! এজন্যই বিয়ে নামক একটা রক্ষা কবচ।
আবার বউ এর প্রতি দায়িত্ব পালনে বাধ্য করার জন্যও। ইসলামের সময়ে নারী ভরনপোষনের জন্য পুরুষের উপর নির্ভরশীল ছিল। [ সারা বিশ্বের কথা বলছি না, শুধু আরবের মরুভূমিতে] । সেই কনটেক্সটে নিয়ম কানুন হয়ত ঠিকই আছে। তবে কে উ কেউ এই স্বাভাবিক অনৈতিক প্রবৃত্তিকে জয় করে ফেলে।
যারা ষড়রিপু দিয়ে আক্রান্ত হয় না, তাদের জন্য কি নিয়ম একই হবে? এটা আমারও প্রশ্ন।
ইসলামেই জীবদ্দশায় বেহেশত নিশ্চিত করার নজির আছে বোধ হয়। রাসূল তাঁকে বলেছিলেন, আর নামায পড়ার প্রয়োজন নেই, যদি মনে না চায়। তবে , তিনি অবশ্য নামায না পড়ে থাকতে পারেননি। গল্পটা স্কুলের ইসলামিয়াত শিক্ষকের কাছ থেকে শোনা।
সত্য মিথ্যার প্রমান দিতে পারবো না। ইসলামের ইতিহাসবিদরা একটু জানালে খুশি হবো!!
এর বউ ও নিয়ে গেল। অথবা পুরুষ সঙ্গীটি যত্রতত্র যা তা করে বেড়াচ্ছে [ নারীর বেলাতেও এই আচরন থাকতে পারে] .....এগুলো সমাজে সমস্যার সৃষ্টি করে। সমাজ প্রধানের কাছে অসন্তুষ্ট ব্যক্তি অভিযোগ করলে তার আবার সমাধান দেওয়া লাগে, সমাধান দিতে গেলে আইন লাগে, একই ক্যাচাল বার বার শুনতে না চাইলে সবাই যাতে আইন মেনে চলে এজন্য তার ব্যবস্থা করা লাগে, সুতরাং দলিল লাগে।
আমারটা তুমি নিয়ে ব্যবহার করলে খারাপ লাগে, তাই দলিল লাগে।
আমারটা যাতে তুমি নিতে না পারো, আর আমারও যাতে তোমারটা নিতে সহজ না হয়, এজন্য দলিল লাগে। ভুল বললাম?
ওহ । বিয়ের দলিল প্রধান যে কারনে দরকার হয়েছিলো , সেটা হলো, গরু, ছাগল, ঘোড়া বা সুপেয় পানির উৎসের মত, "নারীও" মালিকানা এবং লুটের জন্য লোভনীয় "সম্পদ" হিসাবে বিবেচিত।
সেইকালেও ......আর এই কালেও।
শোষন, শাসন বা উপভোগের রুপটা খালি ভিন্ন , এই যা!!!
শেষ পর্যন্ত , সব কিছুর মূলেই ঐ "ইকোনমিক্স"।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।