ভালোবাসার ঊর্বশী বুকে লেখা আছে এক নাম- সে আমার দেশ, আলগ্ন সুন্দর ভূমি- বিমূর্ত অঙ্গনে প্রতিদিন প্রতিরাত জেগে ওঠে তার উদ্ভাসিত মুখ
আমরাই একমাত্র খুলেছি স্তুতির পাঠশালা। কোনো শাখা নেই এর। পাঠদান যথারীতি ডিজিটাল, আধুনিক। এসি রুমে থাকবে কম্পিউটার সারি সারি। সকল সফটওয়্যার-ই থাকবে আপলোড করা ।
শিক্ষার্থীরা টার্ন অন করার সাথে সাথেই স্তুতির শপথ শোনাবে কম্পিউটার স্বয়ং। বিশাল বপু, মাথার টাকভরা শিক্ষক এসেই প্রশংসা বাক্যে শুরু করবেন স্তুতির পাঠদান। কঠিন মনোযোগের সাথে ঝিমুবেন শিক্ষার্থীরা, স্তুতির সারাংশ করবেন গলাধঃকরণ।
মন্ত্রীদের জন্য থাকবে স্পেশাল ভিআইপি-র ব্যবস্থা। প্রধানমন্ত্রীকে কীভাবে স্তুতির বাক্যেই ঘায়েল করে মন্ত্রীত্ব আরও দীর্ঘস্থায়ী করা যায় কিংবা তাঁদের সংখ্যাটা ষাট থেকে একশ'তে উন্নীত করলে কীভাবে দেশকে উন্নয়নের জোয়ারে ভাসানো যাবেই- সব টেকনিক তাঁদের শিখানো হবে।
বিরোধীদের জন্যও থাকবে বিরোধী নেতাকে মহান, আপোষহীন সংগ্রামী আখ্যায়িত করে ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদানের সকল স্তুতিবাক্য-কৌশল। এনজিও-র পুরোধা, বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের এমডি-পরিচালকদেরও আছে কিছুটা ছাড় দিয়ে স্তুতির পাঠদানের ব্যবস্থা। উপ-যুগ্ম-অতিরিক্ত সচিবদের খোদ সচিব পর্যায়ে উন্নীত হতে সকল স্তুতির সফটওয়্যারের কপি ডিভিডিতে নিয়ে বাসায় শোনারও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা থাকবে পাঠশালাতে।
সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হলো বুদ্ধিজীবিদের প্রবন্ধের সফটওয়্যার, গল্পকারের গল্পের প্ল্লট, কবিদের কবিতার সফটওয়্যার, সম্পাদককে কীভাবে স্তুতি ও প্রশংসা কথায় বিদ্ধ করলে নিয়মিত লেখা ছাপা হবে পত্রিকায় সে সমস্ত সকল শিক্ষণ পদ্ধতি থাকবে প্রতিটি কম্পিউটারে, পাঠদানে। খুব বেশি শব্দ আয়ত্বে রাখার দরকার নেই আপনাদের।
রবীন্দ্র যুগেই মরে গেছেন গোবিন্দ দাস- ভয় নেই তাতে, স্বভাব কবির মনটাতো আপনাদের একবারে খাঁটি! আপাতত কাছাকাছি কোনো বন্ধু কবিবরকে স্তুতিতে ঘায়েল করে নিজের স্তুতির ভান্ডার সমৃদ্ধ করুন, কবিতা-গদ্য লিখে ফেলুন। শিক্ষাকাল সমাপ্তে পাবেন সার্টিফিকেট- একশ' ভাগ গ্যারান্টি রয়েছে এতে, একেবারে বিদেশ-বিভুঁই থেকে আমদানিকৃত স্বদেশি স্তুতির মহান সার্টিফিকেট!
12.10.2006
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।