বাধঁ জোড়ার আওয়াজ > With Great Power, Comes Great Responsibility ইসলাম, গনিমতের মাল এবং আমাদের মানবতা!
১৬ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১:১৪
লিংক: Click This Link
গতকাল এবং গতপরশু সামহোয়্যারে বেশ কয়েকজনার সাথে তর্কের পরে কয়েকটা বিষয়ে আমরা(ইসলাম পন্থী এবং নাস্তিকরা) একমত হলাম যে, ইসলাম ধর্মের দাসীর সাথে ছহবত, যুদ্ধবন্দিনী হিসেবে প্রাপ্ত (গনিমতের মাল) নারী এবং শিশুদের দাস বানানো এবং সেই সকল নারীদের সাথে ইসলামী কায়দায় ছহবত করা জায়েজ হয়েছে। এজন্য সেই নারীকে বিয়ে করার বা দেনমোহর দেবার প্রয়োজন পরবে না।
Click This Link
ইসলামপন্থীদের দাবী, এই সকল কর্মকান্ডের ভেতরেও মহান মানবতা লুকিয়ে আছে, ইসলামই নাকি সেই সকল যুদ্ধবন্দিনী এবং দাসী নারীদের মর্যাদা এবং সম্মানের সাথে ছহবত করেছে। এই প্রসঙ্গে তাদের যুক্তিগুলো নিয়ে একটু আলোচনা করার ইচ্ছা হচ্ছে। এই বিষয়ে আমি পুর্বে অন্য একটি ব্লগে লিখেছিলাম, সেখান থেকে কিয়দাংশ এখানে আলোচনায় আনছি।
ধর্মানুভুতি অত্যাধিক স্পর্শকাতরদের কাছে অনুরোধ, লেখাটি আপনারা এড়িয়ে যান। আর লেখাটি একটা যৌক্তিক আলোচনার যুক্তি এবং পাল্টা যুক্তি হিসেবে এসেছে, মুহাম্মদকে ঘৃণিত প্রমাণের উদ্দেশ্যে নয়। মুহাম্মদের চমৎকার কিছু ভাল কাজ রয়েছে, সেগুলোর বস্তুনিষ্ট প্রশংসা অবশ্যই করতে হবে, কিন্তু যেসকল জায়গাতে তার দুর্বলতা ছিল, সেটাও চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়া একজন সৎ ইতিহাস পাঠক হিসেবে আমার কর্তব্য। ধন্যবাদ।
আমরা বাঙ্গালীরা ৭১ এ একটা যুদ্ধ করেছি।
এই যুদ্ধে আমাদের দুইলক্ষের বেশি মাবোন ধর্ষিত হয়েছে পাক বাহিনীর হাতে। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী বিভিন্ন কায়দায় তাদের ধর্ষন করেছে। শোনা যায়, একটা কক্ষের ভেতরে নগ্ন করে সুন্দরী যুবতী মেয়েদের রাখা হত, যেন তারা জামা দিয়ে গলার ফাঁস বানিয়ে আত্মহত্যা করতে না পারে। সেই প্রবল ধর্ষন আর অত্যাচারে আমাদের মা এবং বোনেরা আত্মহত্যার চেষ্টা করতো, কিন্তু পাক বাহিনী তাদের মরে যেতেও দিতো না, কারণ মৃত মেয়েরা ধর্ষনের উপযোগী নয়। আবার সেই পাক বাহিনী বৃদ্ধা দেখলে তাদের ক্যাম্পে নিয়ে যেত না, ওখানেই গুলি করে মেরে ফেলতো।
কারন বৃদ্ধা রমনী ধর্ষনের উপযোগী নয়।
এই যে পাক বাহিনী এবং তাদের এদেশিয় চামচা রাজাকার আলবদরদের সীমাহীন অত্যাচার, আপনারা যদি পাক বাহিনীর সেনাদের বা রাজাকার আলবদরদের কাছ থেকে ৭১ এর ইতিহাস শোনেন, কি জানবেন আমি বলে দিতে পারি।
তারা বলবেঃ
৭১ এ দেশপ্রেমিক পাক বাহিনী পাকিস্তান এবং ইসলাম রক্ষার মহান দায়িত্ব নিয়ে পুর্ব পাকিস্তানে এসেছিল এবং এখানে আসার পরে দুষ্কৃতিকারী কিছু ভারত ও হিন্দুদের দালালদের তারা দমন করে। কিছু বাঙ্গালী সুন্দরী রমনী পাক বাহিনীর শৌর্যবীর্যে মুগ্ধ হয়ে পাক বাহিনীর জেনারেন, মেজর এবং অন্যান্য সদস্যদের প্রেমে পরে যায় এবং স্বেচ্ছায় তাদের দেহদান করে। পরবর্তীতে দুষ্কৃতিকারী মুক্তিবাহিনী এবং ভারতীয় দস্যুরা এসে সেই সকল নারীদের ধর্ষন করে এবং হত্যা করে---
রাজাকার বাহিনীও একই কথা বলবে,
৭১ এ দেশপ্রেমিক রাজাকার আলবদর বাহিনী পাকিস্তান এবং ইসলাম রক্ষার মহান দায়িত্ব নিয়ে দুষ্কৃতিকারী কিছু ভারত ও হিন্দুদের দালালদের দমন করে।
কিছু বাঙ্গালী সুন্দরী রমনী রাজাকার এবং আলবদর বাহিনীর শৌর্যবীর্যে মুগ্ধ হয়ে তাদের প্রেমে পরে যায় এবং স্বেচ্ছায় তাদের দেহদান করে। ধর্ষন এবং হত্যার জন্য মুক্তিবাহিনী এবং ভারতীয় বাহিনীই দায়ী।
আপনাদের কি কথা গুলো হজম হচ্ছে?
কথাগুলা কোন বাঙ্গালীর পক্ষে হজম করা সম্ভব না। কি নারকীয় ধর্ষন আর হত্যাই না করেছে পাক বাহিনী আমাদের উপর। কিছু বর্ণনা দিতেই হচ্ছে।
ধরা পরা কোন মেয়ে গর্ভবতী হয়ে পরলে সেই মেয়ে গুলো আর ধর্ষনের উপযোগী থাকবে না। গর্ভবতী হয়ে গেলে তাকে আর ধর্ষণ করা যাবে না, তাই গর্ভবতী হয়ে গেলে তাদের এক রাতে কয়েকজন মিলে ধর্ষণ করে পেট চিড়ে ফেলত।
আবার বয়ষ্ক মেয়ে মানুষও ধর্ষনের উপযোগী নয়। তাদেরকে রাখা হত ক্যাম্পের কাজের মানুষ হিসেবে এবং দেখা হত তাদের ধর্ষন করা সম্ভব কিনা, অথবা মেরে ফেলা হত।
এমনও দেখা গেছে, স্তন ছোট বা গায়ের রঙ কালো হলে সে সব মেয়েদের একবার ধর্ষণ করেই মেরে ফেলা হয়েছে।
আপনারা সকলেই হয়ত মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভালভাবে পড়েছেন, ঘটনাগুলো জেনেছেন, প্রাসঙ্গিকভাবেই বললাম।
এবারে আসা যাক মুল আলোচনায়।
আপনারা জানেন যে মুহাম্মদ ইসলাম ধর্মের ঘোষনা দেয়ার পরে তার দলে বেশ কিছু মানুষ যোগ দেয় এবং বিপুল পরিমানে মানুষ তার প্রচারিত ধর্মের বিরোধীতা করে। বিরোধীতার প্রধান উদ্দেশ্য অবশ্য ছিল রাজনৈতিক। সে সময়ে আরবের মক্কায় দুটো গ্রুপ শক্তিশালী ছিল, একটা গ্রুপের সদস্য মুহাম্মদ নবী হবার দাবী করায় অন্য গ্রুপটি নিজেদের কর্তৃত্ব হারাবার ভয়ে মুহাম্মদের প্রবল বিরোধীতা করে।
সে সময়ে মুহাম্মদের প্রবর্তিত ইসলাম এবং সে সময়ের আরবের প্যাগান, খৃষ্টান এবং ইহুদীদের ভেতরে বেশ কিছু যুদ্ধ হয়। কোন কোন সময়ে মুহাম্মদের দল জয়লাভ করে, কোন কোন সময়ে কুরাইশরা এবং বিধর্মীরা।
নতুন প্রচারিত ধর্মে যোগদানের জন্য মুহাম্মদকে বেশ কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হয়েছে, আল্লাহর নামে(নাস্তিকদের/কুরআনে অবিশ্বাসীদের মতে) তিনি তার গ্রন্থ কুরআনে বলেছেন যে ইসলামের পথে জিহাদ করলে স্বর্গে অসংখ্য(৭২+) হুর গেলমান পাওয়া যাবে, দুধের সমুদ্র থেকে শুরু করে মদের নদী এমন কিছু নাই যে মুহাম্মদ লোভ দেখান নাই। এ সকলই নতুন প্রবর্তিত ধর্মে মানুষকে আকৃষ্ট করার জন্য।
মানুষ সব সময়েই দুটি জিনিষের বাধ্য- লোভ আর ভয়।
মুহাম্মদ দোযখের ভয় জনগনকে এমনভাবেই দেখিয়েছেন যে সেই ভয়েই অনেক দুর্বল হ্নদয়ের মানুষ সাথে সাথে ইসলাম কবুল করে। একই সাথে ছিল ইসলামে যোগ দিলে অশ্লীল লাভের প্রতিশ্রুতি, বেহেশত নামক পতিতাপল্লী এবং সুরীখানার প্রবেশাধিকার। দুইয়ে মিলে ভালভাবেই চলছিল নতুন ধর্মের প্রসার।
কিন্তু কিছু বাস্তবিক সমস্যা দেখা দিল।
কুরাইশ এবং বিধর্মীদের সাথে যুদ্ধে গনিমতের মাল বা যুদ্ধে শত্রু সম্পত্তি ভোগ এবং দখলকে কেন্দ্র করে জিহাদীদের মধ্যে দন্দ দেখা দিল।
কিছু মানুষ মুহাম্মদের কাছে জানতে চাইলো যুদ্ধে মৃত শত্রুর ফেলে যাওয়া সম্পদ, স্ত্রী, শিশু, বাচ্চাকাচ্চা, বৃদ্ধ মা বাবা, উঠ, অর্থ এগুলো ভোগ করা যাবে কিনা...
আসুন দেখি আমাদের মানবতার মহান পুজারী মুহাম্মদ এ সম্পর্কে কি বলেছে!
বেশ কিছু সাহাবী মুহাম্মদের কাছে গিয়ে জানতে চাইলো যুদ্ধে প্রাপ্ত গনমতের মালের মধ্যে নারীদের ধর্ষণ করা জায়েজ কিনা।
পরম করুনাময় আল্লা তালাহ সাথে সাথে ওহী লাজিল করে বসলেন।
“তোমাদের জন্যে অবৈধ করা হয়েছে নারীদের মধ্যে সধবাগণকে (অন্যের বিবাহিত স্ত্রীগণকেও); কিন্তু তোমাদের দক্ষিন হস্ত যাদের অধিকারী- আল্লাহ তোমাদের জন্যে তাদেরকে বৈধ করেছেন”। (সুরা ৪:২৪)
দক্ষিণ হস্ত বলতে কি বুঝায় নিশ্চয়ই বুঝিয়ে বলার প্রয়োজন নাই, ডান হাত বলতে বুঝায় শক্তি প্রয়োগে প্রাপ্ত। ডান হাত শক্তি বা তলোয়ারের প্রতীক এটা নিশ্চয়ই জানা থাকার কথা।
কোরাণের ৪:২৪ নং আয়াত (সুরা নিসা)ঃ “তোমাদের দক্ষিন হস্ত যাদের অধিকারী- আল্লাহ তোমাদের জন্যে তাদেরকে বৈধ করেছেন”।
এই আয়াতের ব্যাখ্যায় জালালান বলেন- “অর্থাৎ, যাদেরকে তারা যুদ্ধের ময়দানে আটক করেছে, তাদের সাথে সহবাস করা তাদের জন্যে বৈধ, যদি তাদের স্বামীগণ দারুল হরবে জীবিতও থাকে” (দারুল হরব অর্থ- অমুসলিম রাষ্ট্র বা দেশ)।
(অর্থাৎ স্বামী জীবিত আছে, এমন যুদ্ধবন্দীও ধর্ষনের উপযোগী)
**দক্ষিন হস্তের অধিকার বা ‘মালাকুল ইয়ামিন’ বলতে বুঝায় ক্রীতদাস বা দাসী (স্লেভস কিংবা মেইডস), যা যুদ্ধবন্দী হিসেবে কিংবা বাজার হতে ক্রয়সুত্রে মুসলমানদের দখলে আসে। ক্রীতদাসী মুসলমানদের দখলে আসলে তাদের সাথে যৌনসম্পর্ক স্থাপন করা বৈধ এবং সঠিক। বর্তমান যুগেও যদি কোন কাফেরদের দেশ মুসলমানদের অধিকারে আসে, এই নিয়ম পালন করা বৈধ এবং সঠিক।
কারণ কোরআন রোজ কেয়ামত পর্যন্ত যেমন আছে তেমনই থাকবে, কোরআনের কোন আয়াত পালটাবার, বা সময়ের প্রয়োজনে তা সংশোধন করার অনুমুতি কাউকেই দেয়া হয় নি।
আসুন আরও কিছু আয়াত লক্ষ্য করি।
8:69 -"But (now) enjoy what ye took in war (booty), lawful and good; but fear God..."Maal-E-Ganimat"
8:67 -"It is not fitting for an Apostle that he should have prisoners of war until He thoroughly subdued the land...." (Allah insisting Prophet to kill all the prisoners, and should not keep any prisoners alive)
Sura-47:4 -"when you meet the unbelievers, strike off their heads; then when you have made wide Slaughter among them, carefully tie up the remaining captives" (মহান করুনাময় আল্লাহ তালাহ মুমিন বান্দাদের উৎসাহ দিচ্ছেন অবিশ্বাসীদের কল্লা ফেলতে, এবং তাদের মধ্য থেকে বন্দীদের দাস বানাতে)
গাজওয়ায় যেসব নারীদের বন্দী হতো, তাদের মধ্য থেকে মুহাম্মদ স্বয়ং বেশ কয়েকজনকে নিজের স্ত্রী কিংবা উপপত্নী হিসেবে নির্বাচিত করেছিলেন। সবচেয়ে সুন্দরী মেয়েটিকেই তিনি নিজের জন্যে রাখতেন।
রেফারেন্সঃ সিরাত ই রাসুলাল্লাহ, ইবনে ইসহাক
স্বভাবতই মুহাম্মদের মত একজন অত্যন্ত সম্মানিত মহামানবের কাছ থেকে আমি আশা করেছিলাম যে তিনি এই ধরণের কোন কাজের সাথে নিজেকে জড়িত করবেন না, বরঞ্চ তার দলের কেউ এই কাজে লিপ্ত হলে তার বিচার করবেন, মানবতাবিরোধী এই কাজগুলো নিষিদ্ধ করবেন।
কিন্তু হতাশ হয়ে লক্ষ্য করলাম, তিনি তার কিছুই করেন নি, বরঞ্চ নিজেই সেই কাজগুলো করে তার উম্মতদের উৎসাহিত করেছেন!
এমনকি তিনি নিজের জামাইদেরকেও তিনি যুদ্ধবন্দিনীদের ভাগ দিতে কসুর করেননি, হযরত আলী এবং হযরত ওসমানকেও তিনি উদারভাবে মালে গনীমৎ বন্টন করেছেন। নীচের হাদিসটিতে দেখা যাবে, কীভাবে হযরত ফাতেমার স্বামী নবী জামাতা শেরে খোদা হযরত আলী বন্দিনীর সাথে সেক্স করছেন, যে বন্দিনীকে তিনি শ্বশুরের কাছ থেকে উপহার হিসেবে পেয়েছেন।
মহান আমাদের দয়াল নবী মুস্তফা। নিজের কন্যার স্বামীর সাথে সেক্স করার জন্য যুদ্ধবন্দিনী দিতে এখনকার আধুনিক পিতারও বুক কেঁপে উঠবে, কিন্তু সেই সময়েই দয়াল নবী তা দেখিয়ে দিয়ে গেছেন।
সহি বুখারিঃ ভলিউম-৫, বুক নং-৫৯, হাদিস নং-৬৩৭:
বুরাইদা কর্তৃক বর্ণিতঃ
নবী আলীকে ‘খুমুস’ আনতে খালিদের নিকট পাঠালেন (যুদ্ধলব্ধ মালের নাম খুমুস)।
আলীর উপর আমার খুব হিংসা হচ্ছিল, সে (খুমুসের ভাগ হিসেবে প্রাপ্ত একজন যুদ্ধবন্দিনীর সাথে যৌনসঙ্গমের পর) গোসল সেরে নিয়েছে। আমি খালিদকে বললাম- “তুমি এসব দেখ না”? নবীর কাছে পৌছলে বিষয়টি আমি তাকে জানালাম। তিনি বললেন- “বুরাইদা, আলীর উপর কি তোমার হিংসা হচ্ছে”? আমি বললাম-“হ্যা, হচ্ছে”। তিনি বললেন-“তুমি অহেতুক ইর্ষা করছ, কারণ খুমুসের যেটুকু ভাগ সে পেয়েছে তার চেয়ে আরও বেশী পাওয়ার যোগ্য সে”।
মহম্মদের (দঃ) সবচেয়ে প্রামান্য এই জীবনচরিত ইবনে ইসহাকের লেখা সিরাত এ রাসুল্লাল্লাহ (যে রচনাকে মুসলিম বিশ্বে সর্বদা রেফারেন্স হিসেবে ব্যাবহার করা হয়) পাঠ করে আমরা জানতে পারি, হুনায়েনের যুদ্ধে এক বৃদ্ধাকে ছেড়ে দেওয়া হলো, কারণ তার মুখমন্ডল ছিল শীতল, বক্ষদেশ সমতল, সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা ছিল না তার এবং বুকে দুধের ধারা শুকিয়ে গেছে।
সুতরাং ছয়টি উটের বিনিময়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হলো (রেফারেন্স-ইবনে ইসহাকের সিরাত রাসুলুল্লাহ, অনুবাদ- এ. গুইলম, ১৫তম সংস্করণ। , পৃ-৫৯৩)।
এবার আসুন যুদ্ধে প্রাপ্ত গনিমতের মাল হিসেবে নারীদের গর্ভধারন বন্ধ করার জন্য মুহাম্মদের অনুসারীরা কি করতেন, গর্ভধারন করলে নারী আর ধর্ষণের উপযোগী থাকে না, সুতরাং জিহাদী সাহাবী এবং মুহাম্মদের গর্ভবতী গনিমতের মালের কোন প্রয়োজন ছিল না।
সহি বুখারিঃ ভলিউম ৭, বুক নং-৬২, হাদিস নং-১৩৭:
আবুসাইদ আল খুদরি থেকে বর্ণিতঃ
মালে গনীমত (War Booty) হিসেবে আমাদের হাতে বন্দিনী আসলে আমরা তাদের সাথে সঙ্গমের সময় যোনিদেশের বাইরে বীর্যপাত ঘটাতাম। অতঃপর এ সম্পর্কে আল্লাহর রাসুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন- “তোমরা কি সত্যিই এরূপ কর”? এই প্রশ্নটি তিনি তিনবার করেন।
(তারপর তিনি বলেন) - “যে সব আত্মা জন্ম নেয়ার জন্যে নির্ধারিত, সেগুলি আসবেই, পুনরুত্থানের দিন পর্যন্ত”।
একজন মহামানবের কাছ থেকে যদি আমি আশা করে থাকি, যে তিনি এই কথা শোনার সাথে সাথে ঐ জেহাদীর বিচারের ব্যাবস্থা করবেন, এবং সেই যুদ্ধবন্দিনীকে তৎক্ষণাত মুক্তি দেবেন, তাহলে কি খুব বেশি আশা করা হয়ে যায়?
জিহাদিদের উন্মত্ত ধর্ষণপ্রক্রিয়ার ফলে যদি বন্দিনীটির গর্ভসঞ্চার হয় তাহলে কী হবে? অনেক জিহাদিই চাইত না যে তাদের সেক্স-মেশিনটি তাড়াতাড়ি গর্ভসঞ্চার করে বসুক, সুতরাং তারা আজল(আজল সম্পর্কে জানতে গুগল করুন) করতো। এই প্রথা সম্পর্কে মহম্মদের (দঃ) মনোভাব ছিল ঘোলাটে, কখনও তাকে এই প্রথার বিরুদ্ধে কথা বলতে দেখা যায়, কখনও বা তাকে নিরপেক্ষ ভুমিকা পালন করতে দেখা যায়। কিন্তু কোথাও সেই যুদ্ধবন্দিনীকে সাথে সাথে মুক্তি দিতে বলতে দেখা যায় না। সেই যুদ্ধবন্দিনীর সাথে আজল পদ্ধতিতে সেক্স করলো না কোন পদ্ধতিতে, সেটা মহামানব মুহাম্মদের কাছে এত গুরুত্ত্বপুর্ণ, অথচ সেই যুদ্ধবন্দিনীটি মোটেও গুরুত্ত্বপুর্ণ নয়?
সহি বুখারিঃ ভলিউম ৯, বুক নং-৯৩, হাদিস নং-৫০৬:
আবুসাইদ আল খুদরি থেকে বর্ণিতঃ
বানুমুস্তালিক গোত্রের সাথে যুদ্ধকালে কিছু বন্দিনী তাদের (মুসলমানদের) দখলে আসে।
তারা বন্দিনীদের সাথে এমনভাবে যৌনসম্পর্ক করতে চাইল যেন মেয়েগুলি গর্ভবতী না হয়ে পড়ে। সুতরাং বাইরে বীর্যপাতের বিষয়ে নবীর নিকট জানতে চাইল তারা। নবী বলেন- “এটা না করাই বরং তোমাদের জন্যে উত্তম। কারণ আল্লাহ যাকে সৃষ্টি করবেন তা লেখা হয়ে আছে, পুনরুত্থানের দিন পর্যন্ত”। ক্কাজা বলেন- “আমি আবু সাইদকে বলতে শুনেছি যে নবী বলেছেন -‘আল্লাহর আদেশে আত্মার সৃষ্টি, আল্লাহর আদেশ ছাড়া কোন আত্মার সৃষ্টি হয় না”।
সহী বুখারী হাদীস #143, page-700 :Sulaiman Ibne Harb...Aannas Ibne Malek (ra) narrated, "in the war of Khaiber after the inhabitants of Banu Qurayza was surrendered, Allah's apostle killed all the able/adult men, and he (prophet) took all women and children as captives (Ghani mateer maal).. Among the captives Safiyya Bint Huyy Akhtab was taken by Allah's Apostle as booty whom He married after freeing her and her freedom was her Mahr."
অর্থাৎ যুদ্ধে জেতার পরে আল্লাহ রাসুল সকল প্রাপ্তবয়ষ্ক মানুষকে হত্যা করলেন এবং তিনি তাদের সকল নারী এবং শিশুকে বন্দী হিসেবে নিলেন।
সহী বুখারী হাদীস (#149, page-704): Ahmed Ibne Saleh...Annas Ibne Malek narrated, "....when we told Apostle of Allah about the paragon beauty of Safiya Bint Huyay (who was newly wed and the husband was killed in the battle), then Allah's Apostle sanctioned her for himself..."
অর্থাৎ সদ্য বিবাহিতা এক নারীকে যুদ্ধবন্দী হিসেবে পাবার পরে(তার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছিল যুদ্ধে) আল্লার রাসুল তাকে নিজের জন্য রাখলেন।
"সীরাত এ রাসুলাল্লাহ বই থেকে" (page 464):
"Then they surrendered, and the apostle confined them in Medina in the quarter of al-Harith, a woman of B. al-Najjar. Then the apostle went out to the market of Medina (which is still its market today) and dug trenches in it. Then he sent for them and struck off their heads in those trenches as they were brought out to him in batches. This went on until the apostle made an end of them. Among them was the enemy of Allah Huyayy b. Akhtab and Ka`b b. Asad their chief, and they were brought with their hands bound to their neck by a rope.
মহম্মদের উপপত্নীদের অধিকাংশই ছিল হয় ইহুদি নয়তো খৃষ্টান। (রায়হান, জওয়াহিরা ও সাফিয়া ছিল ইহুদি, মারিয়া কিবতি ছিল খৃষ্টান)।
মুখ এবং স্বীয় ধর্ম বাঁচাতে ইসলামপন্থীরা এখন সমস্বরে বলে উঠবেন যে মহম্মদ বড়োই দয়ালু ছিলেন, ঐসব অসহায় তরুনীদের দুঃখ দেখে তার কোমল প্রাণ কেঁদে উঠল।
তাই তিনি তাদের গ্রহন করে দাসী হিসেবে বিক্রি হওয়ার হাত থেকে তাদের রক্ষা করেছেন, বা মুসলিম জেহাদীদের হাতে হত্যা হওয়া থেকে রক্ষা করেছেন(কি বিভৎস চিন্তা, মেয়েগুলোকে কেনই বা ধরা হলো, কেনই বা এত মানবতা দেখিয়ে বিছানায় নেয়া হলো?)। তারা আমাদেরকে আরও বিশ্বাস করতে বলবেন যে ঐসব বন্দিনীরা মহম্মদকে বিয়ে করে খুবই সুখী হয়েছিল কারণ মহম্মদকে দেখামাত্র তার প্রেমে মাতোয়ারা হয়ে পড়েছিল তারা। কী অবিশ্বাস্য অপুর্ব যুক্তি, কি অসাধারন মনন! মাত্র ঘন্টাকয়েক আগে যার হাতে তার স্নেহময় পিতা প্রাণ দিয়েছে, বড় আদরের ভাইটি অকালে ঝরে গেছে, প্রেমময় স্বামীর প্রিয় মুখটি অশ্বের খুরাঘাতে দলিতমথিত হয়েছে- সেই হত্যাকারীর প্রেমে সে রাতারাতি পাগল হয়ে গেল !
মুহাম্মদ যা করেছেন, সে যুগে তাই ছিল রীতি। অনেকেই করেছেন, আলেক্সান্ডার থেকে শুরু করে হিটলার-সকলেই। কিন্তু মাথায় রাখতে হবে তারা কি পরম পুজনীয় হবার যোগ্যতা রাখে কিনা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট মহামানব হবার যোগ্যতা রাখেন কিনা! একবিংশ শতাব্দির দোরগোড়ায় এসে কতগুলি খোড়া যুক্তি দিয়ে সেই বন্য রীতিকে জাষ্টিফাই করা অমানবিক।
মানবতার প্রতি চরম অবমাননাকর।
কাফেরদের বিরুদ্ধে মুসলিম বাহিনীর পরিচালিত অভিযানের পেছনে ড্রাইভিং ফোর্স হিসেবে কাজ করেছে কাফের রমনীদের শরীরের প্রতি জিহাদিদের অপরিমিত লোভ। এতই প্রচন্ড ছিল সেই লোভ যে কাংখিত নারীটি করায়ত্ত হওয়ার পর বিন্দুমাত্র বিলম্ব সইতো না জিহাদিদের। বন্দিনীদের ঋতুস্রাবও নিবৃত্ত করতে পারতো না তাদের, তার মাঝেই বন্দিনীদের উপর চড়ে বসতো তারা। এমতবস্থায় স্বয়ং আল্লাহপাককে বাণী নিয়ে এগিয়ে আসতে হলো, ডিক্রি জারী করতে হলো যে পিরিয়ড শেষ হওয়ার পরেই কেবল বন্দিনীদের ধর্ষণ করা যাবে।
এই বিষয়ে মুহাম্মদকে কিছুটা কৃতিত্ত্ব দিতে হচ্ছে, যে তিনি তাড়াতাড়ি আল্লার আয়াত নামিয়েছিলেন, না হলে তার জেহাদীগন পিরিয়ডের সময়ই মেয়েগুলোর উপরে চড়ে বসতো।
ঐসব ইসলামী সৈনিকদের যৌনতাড়না এতটাই বর্বর ও ঘৃন্য ছিল যে তারা এমনকি কোনপ্রকার গোপনীয়তা অবলম্বনেরও ধার ধারত না। এমনও হয়েছে যে স্বামীদের সামনেই বন্দিনীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে জিহাদিরা। স্ত্রীকে এক নরপশু খাবলে খাচ্ছে, বন্দী স্বামী চোখ মেলে তাই দেখছে।
পরাজিত শত্রুটির সামনেই তার স্ত্রীকে ভোগ করতে বেশী পছন্দ করত।
এ এক ধরণের যৌনবিকৃতি, যার কিছু নমুনা আমরা দেখেছি একাত্তরে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়। অথবা ২০০১ এ বিএনপির বিজয়ের সময়। পাঞ্জাবি এবং পাঠান সৈন্যরা একাত্তরে বাঙালি রমনীদের উপর যা করেছে, তার পুর্ণ সমর্থন মেলে এই হাদিসগুলি হতে। ইয়াহিয়ার জল্লাদ বাহিনী একাত্তরে যা কিছুই করে থাকুক, ইসলামী শাস্ত্রের বাইরে কিছু করেনি। ইসলামের প্রাথমিক গাজওয়াগুলিতে নবীর বাহিনী ঠিক এমনটিই করত।
অনেক জিহাদিই পৌত্তলিক স্বামীটির সামনে তার স্ত্রীর উপর বলাৎকার করতে দ্বিধান্বিত ছিল। মুহাম্মদ এখানে বিপদের গন্ধ পেয়েছিলেন, তিনি উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন যে জিহাদিরা যা করতে চায় তা করতে না দিলে বিপদের সম্ভাবনা আছে। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে আল্লাহ যদি এই আনন্দোৎসবের অনুমতি না দেন, জিহাদিরা বেঁকে বসতে পারে, তাদের সমর্থন শূন্যে মিলিয়ে যেতে খুব বেশী দেরী হবে না। সুতরাং নবী মহামহিম আল্লাহর মধ্যস্থতা করলেন, তরিৎগতিতে আসীম করুনাময় আল্লার আরশ থেকে মঞ্জুরি নেমে এলো। মহান আল্লাহ কাফের রমনীদের (বিবাহিতা হলেও) ভোগ করার অনু মতি প্রদান করে ধন্য করলেন জিহাদিদের।
কিছু কিছু জিহাদি স্বামী বর্তমান থাকতেও বন্দিনীদের সাথে সেক্স করে এবং কেউ কেউ তা করতে দ্বিধাগ্রস্থ হয়। (সুনান আবুদাউদঃ ১১:২১৫০)।
সুনান আবু দাউদঃ বুক নং-১১, হাদিস নং-২১৫০:
আবু সাইদ আল খুদরি বলেন- “হুনায়েন যুদ্ধের সময় আল্লাহর রাসুল (দঃ) আওতাসে এক অভিযান পাঠান। তাদের সাথে শত্রুদের মোকাবেলা হলো এবং যুদ্ধ হলো। তারা তাদের পরাজিত করল এবং বন্দী করল।
রাসুলুল্লাহর (দঃ) কয়েকজন অনুচর বন্দিনীদের স্বামীদের সামনে তাদের সাথে যৌনসঙ্গম করতে অপছন্দ করলেন। তারা (স্বামীরা) ছিল অবিশ্বাসী কাফের। সুতরাং মহান আল্লাহ কোরাণের আয়াত নাজেল করলেন- “সমস্ত বিবাহিত স্ত্রীগণ (তোমাদের জন্যে অবৈধ); কিন্তু তোমাদের দক্ষিন হস্ত যাদের অধিকারী (যুদ্ধবন্দিনী)- আল্লাহ তোমাদের জন্যে তাদেরকে বৈধ করেছেন”। অর্থাৎ- পিরিয়ড শেষ হলে তারা তাদের জন্যে বৈধ (৪:২৪)।
যুদ্ধবন্দিনীর সাথে সহবাস বৈধ, তবে শর্ত থাকে যে তার মাসিক স্রাব শেষ গেছে কিংবা গর্ভবতী হলে তার গর্ভ খালাস হয়ে গেছে।
তার যদি স্বামী থেকে থাকে, বন্দী হওয়ার পর সে বিবাহ বাতিল বলে গন্য হবে। (কোরাণ-৪:২৪, সহি মুসলিম-৮:৩৪৩২)।
সহি মুসলিমঃ বুক নং-৮, হাদিস নং-৩৪৩২:
আবু সাইদ আল খুদরি (রাঃ) বলেছেন যে হুনায়েনের যুদ্ধকালে আল্লাহর রাসুল (দঃ) আওতাস গোত্রের বিরুদ্ধে একদল সৈন্য পাঠান। তারা তাদের মুখোমুখি হলো এবং তাদের সাথে যুদ্ধে অবতীর্ণ হলো। যুদ্ধে পরাজিত করার পর কিছু বন্দী তাদের হাতে আসল।
রাসুলুল্লার কিছু সাহাবি ছিলেন যারা বন্দিনীদের সাথে সহবাস করতে বিরত থাকতে চাইলেন, কারণ তাদের স্বামীরা ছিল জীবিত, কিন্তু বহু ঈশ্বরবাদী। তখন মহান আল্লাহ এ সম্পর্কিত আয়াতটি নাজেল করলেন- “এবং বিবাহিত নারীগণ তোমাদের জন্যে অবৈধ, তবে যারা তোমাদের দক্ষিন হস্তের অধিকারে আছে তাদের ছাড়া”।
বানু আল-মুস্তালিক গোত্রের বন্দিনীদের ক্ষেত্রে কয়টাস ইন্টারাপশন পালন করতে মহম্মদ অনুমতি দেননি, তবে বন্দিনীদের ধর্ষণ করার ক্ষেত্রে তার কোন নিষেধ ছিল না (৫:৫৯:৪৫৯)।
আমি জানি না মুমিন মুসলমানেরা কি ধাতু দিয়ে গড়া, কিন্তু তারা হয়তো বলে বসবে, যুদ্ধেপ্রাপ্ত নারীদের মুহাম্মদ এবং তার সাহাবীরা ধর্ষন করেনি, বন্দীনীরা স্বেচ্ছায় জিহাদীদের শক্তি/শৌর্যবীর্যে তে মুগ্ধ হয়ে দেহদান করেছেন।
কি আশ্চর্য আমাদের চিন্তাভাবনা।
তবে কি ৭১ এ যে সকল রাজাকার গনিমতের মাল বলে, শর্ষিনার পীর থেকে শুরু করে যে সকল মোল্লারা আমাদের মা বোনদের উপরে ঝাঁপিয়ে পরেছিল, সে সময়ও কি আমাদের মা বোনেরা পাকি আর রাজাকারদের বীরত্ত্বে মুগ্ধ হয়ে তাদের বিছানায় গিয়ে উঠেছিল?
বিজয়ীরাই ইতিহাস লেখে। ইসলামের ইতিহাসে সেই সকল কাফের নারীর কান্না স্থান পায় নি। তাদের ধর্ষন, তাদের রক্তের ইতিহাস কোথাও নেই, কিন্তু রয়ে গেছে মুহাম্মদের জীবনী এবং হাদিস-কোরআনের আয়াত গুলো। বিজয়ীরা অনেক রাখ ঢাক করেই লেখে, নিজেদের অমানবিক কর্মকান্ড ঢেকে রাখার জন্য, কিন্তু তারপরেও যে সকল বিষয় লেখা রয়েছে, সেটুকুই ভয়াবহ। মুসলিমরা চাইলেও এগুলো পালটে ফেলতে পারবে না।
সেই সকল হাদিস কোরআনের আয়াত সামনে আনলে আমরা কি দেখতে পাই? সেই নারীদের কান্নার দাগ সেখানে দেখা না গেলেও সহজেই বোঝা যায় সে সময় কি নারকীয় ধর্ষন আর হত্যাযজ্ঞ ঘটেছিল।
কিন্তু আমাদের আধুনিক মুসলিম ভাইয়েরা বলতে শুরু করেন, সেই সকল নারীর সম্মতিতেই নাকি ছহবত হয়েছিল, ওটা মোটেও রেপ ছিল না। যেই নারীর স্বামী, সন্তান, পিতা যুদ্ধে মারা গেছে মুহাম্মদের সৈন্যদের হাতে, সেই নারীরা মুহাম্মদের অসীম বীরত্ত্বে মুগ্ধ হয়ে তাদের বিছানায় উঠে গেল, এবং ছহবত করলো, দৃশ্যটা কল্পনা করতেই কেমন যেন গা গুলিয়ে আসছে। মনে পরে যাচ্ছে পাকিদের অপপ্রচারের কথা, যে আমাদের দেশের বীরাঙ্গনারা স্বেচ্ছায় পাকিদের দেহ দান করেছিল।
আজকে যখন ইসলামপন্থীরা গনিমতের নাম দিয়ে যুদ্ধবন্দিনী ধর্ষন করে, সেই প্রেরনা তারা কোথা থেকে পায়, সেটাই আপনাদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন।
সৌদী আরবে আমাদের দেশের নারীদের পাঠানো হচ্ছে, একজন নারীও তার সম্ভ্রম নিয়ে ফিরবেন না বলেই আমি মনে করি, সেই দাসী/মহিলা শ্রমিকদের সম্ভ্রম লূটে নিতে সৌদী আরবের মুসলিমরা কোথা থেকে প্রেরণা পাচ্ছে সেটাই আপনাদের কাছে আমার জিজ্ঞাসা।
ইসলামপন্থীদের মুখে হয়তো আমরা শুনবো, ১৪০০ বছর আগের ব্যাবস্থা আর বর্তমান অবস্থা এক নয়। কিন্তু আমরা তো জানি ইসলামে কুরআন এবং হাদিসে যে সকল নির্দেশ দেয়া হয়েছে, যে সকল পরামর্শ দেয়া হয়েছে তা সকল সময়ের জন্য প্রযোজ্য। ইসলামে নতুন করে কেউ যেমন নারী নেতৃত্ত্ব বৈধ করতে পারবে না, তেমনি এই যুদ্ধবন্দিনী/দাসী ছহবতও কেউ অবৈধ ঘোষনা করতে পারবে না।
সেই সকল কোরআন হাদিস মেনে যদি এখন শর্ষিনার পীরের মত লোকেরা আমাদের দেশের নারীদের ধর্ষন করে, তাহলে সেই দোষ কি ইসলামের উপরেও খানিকটা বর্তায় না? যেহেতু মুহাম্মদের সমস্ত কাজই প্রত্যেক মুসলিমকে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে?
আল্লাহ তা'আলা পবিত্র কুরআনে তাঁর প্রশংসা করে বলেন; নিশ্চয় তুমি মহান চরিত্রের অধিকারী।
(সূরা আল কলম: ৪)
হে নবী! লোকদের বলে দাও। তোমরা যদি প্রকৃতই আল্লাহকে ভালোবাস, তবে আমাকে অনুসরণ কর, তাহলে আল্লাহ তোমাদের ভালোবাসবেন এবং তোমাদের গুণাহসমূহ মাফ করে দেবেন। তিনি বড় ক্ষমাশীল ও দয়ালু। (সূরা আল-ইমরান-৩১)
মহান আল্লাপাক আমাদের নবীর জীবন অনুসরন করতে পরামর্শ দিয়েছেন। নবীর জীবনই হচ্ছে একজন মুমিনের জন্য উত্তম আদর্শ।
কৃতজ্ঞতাঃ লেখাটির অংশবিশেষ অগ্নিসেতু থেকে নেয়া হয়েছে।
পরবর্তী অংশে দাস প্রথা নিয়ে আলোচনা করা হবে। লেখাটির যেকোন যৌক্তিক সমালোচনা আমি স্বাগত জানাবো।
-------------------
-------------------
উপরের অংশটুকু ব্লগের একজনের মন্তব্য থেকে নেওয়া হয়েছে, সম্ভবত কপি পেষ্ট । কিন্তু আমি শুধু কপি পেষ্ট নয় একটু আলোচনা ও সমাধানে আগ্রহী ।
হাদীস পরিবর্তন যোগ্য তবে কোরআন শরীফ সর্বদা ও সর্বকালের জন্য অপরিবর্তনীয় । তাই কোরআনের অর্থকে বিশ্বাস করি বেশী ।
আমার দৃষ্টিতে এই সব দাস দাসী উপপত্নী ব্যতী রেখে মহানবী সা: অবশিষ্ট জীবন গ্রেট স্বীকার করি । কিন্তু দাস দাসী ও যুদ্ধ বন্দীনি নিয়ে যে ... অশ্লীলতা স্পষ্ঠ হচ্ছে ..... ... বলা যায় বিবেকে লাগছে ।
কেউ কি আমাকে এই সব ব্যাপার একটু খন্ডিয়ে দিতে পারবেন ?
গত রাতে একটু চিন্তায় পড়েছিলাম তাই মনে মনে ক্ষুত না রেখে দিলাম একটা জানার জন্য পোষ্ট ।
তবে এটা মহানবী সা: একজন মানুষ বৈ কিছু নন । ভুল করতেই পারেন কিন্তু অনবরত ভুল শোভা পায় না । তাই কোরআন শরীফের দাস প্রথাকে সরাসরি নিষেধ করে নাই । কেন করে নাই তার হাদীসের হাদীসের গোজামিল বুঝতে নারাজ আমি, কারণ বহু ব্লগে পড়েছি .. এমনকি পর্ব ভিত্তিক পোষ্ট করে অনেকে বুঝিয়েছেন দাস প্রথা ইসলামে নিষেধ করেছে !
যদিও এর স্পষ্ঠতা কোরআনে আছে ।
মহানবী সা: যাই করবে তাই আমাকে করতে হবে সেটা আমি মানতে নারাজ, তিনি যা ভাল করেছেন তাই আমি ফলো করার আগ্রহী ।
সে একজন মেসেঞ্জার । আর সাধারন মানুষ এইটা মাথায় রাখি, হোক তিনি লিডার । যদিও আমাদের থেকে শতগুনে গুনান্বিত তিনি ।
জানি আমার চিন্তা অনেকটা নাস্তিকতা টাইপেরই. কিন্তু আমি স্বীকার করি আমি একজন আস্তিক । একজন সুপ্রীম কমান্ড এ বিশ্বাসী সে এলিয়ান আর আল্লাহ হোক ।
আর সব জীবন বিধান থেকে ইসলাম একটু নয় বরং অনেক সু গঠিত ।
এখন প্রশ্ন থাকতে পারে আমি আরও অন্য কোন জীবন বিধান স্টাডি করি কিনা !
লৌল । আমার আশে পাশে বিভিন্ন ধর্মালম্বী আছে তাদের দেখি ও জিজ্ঞাসা করি কৌতুহূলপ্রবন হয়ে , আর কিছুই না ।
বিজ্ঞানের অল্প কিছু শাখা অনেকটা হুবুহু মিলে যায় কোরআনের সাথে .. যেমন গ্রহ নিয়ে, নদীর জল মিশ্রন ইত্যাদি । অনেকে এটাকে মহানবী সা: অভিজ্ঞতা থেকে সৃষ্টি বলে... যাই হোক
কিছু ক্ষেত্রে দ্বিমত থেকে যায় . যেমন ইসলামের ইতিহাসে বা কোরআন বা হাদীসে সব সময় আরব অঞ্চল বা কাছাকাছি জাতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে .. আম্রিকা মহাদেশের জাতি নিয়ে কোন আলোচনাই আসে নাই ।
হতে পারে ইসলামের আবর্তন আরব অঞ্চলের কাছ দিয়ে প্রবাহিত হবে বলে বিধি ঠিক করেছে .. ..
মূল কথা এইটা না এগুলো উটকো সন্দেহ আরকি
কিন্তু সব কিছু বিনাশ করে আসে জ্বীন নিয়ে । এই বিশ্বাসটাও আছে ...
বাস্তবে ১ বার অভিজ্ঞতা হযেছে ...
এখন কথা হল .. দাস প্রথা নিয়ে. মহানবী সা: এর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে । যদিও এটি আমার চিন্তার বিষয় নয় তিনি কিভাবে তার জীবনে চলবেন কি চলবে না.. কিন্তু বাধা হয়ে দাড়ায় যখন তিনি অনুসরনীয় কেউ হয়ে থাকে !
তার একটি বড় অংশ বিরাজমান...
এই খুটির উপর ভর করেই নাস্তিকরা হাদীস ও কোরআন নিয়ে দৌড়ে নামে !
এখন কথা হল আজাইরা মিথ্যা কথা বললে মানতে পারতাম না ঠিকাছে কিন্তু কোরআন ও হাদীসের আলোকে যখন বলে তখনই মনের মধ্যে ক্যাচঁ করে উঠে ।
আল্লাহ সঠিক পথ দেখাবে আশা করি । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।