আমার চিন্তা, আমার চেতনা, আমার অভিজ্ঞতা
এক সময় বাংলাদেশ সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিবাদ জানাত। কিন্তু আজ সে প্রতিবাদের চেতনাটা যেন অনুপস্থিত। কত বিক্ষোভই না হতো এই ঢাকার রাস-ায় ভিয়েতনাম যুদ্ধের বিরুদ্ধে। এখানে ভিয়েতনাম যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করতে গিয়ে ছাত্রও মারা গেছে। আজকে সেই আত্দত্যাগের বিষয়টি যেন সবাই ভুলতে বসেছে।
হতে পারে তখন বিক্ষোভ-প্রতিবাদগুলো বেশি করত তখনকার বামপন্থী এবং কমিউনিস্টরা। কিন্তু আজকে কি প্রেক্ষাপট এমনই বদল হয়ে গেল যে, এখনকার আরও জঘন্য সাম্রাজ্যবাদী হামলার বিরুদ্ধে কোন প্রতিবাদই হবে না? এখন তো কারণটা অনেকটা সার্বজনীন।
আজকে যখন দেখি কয়েকটি কথিত ইসলামী দল লেবাননে ইসরাইলি হামলার প্রতিবাদ জানাচ্ছে, আর অন্য বড় দলগুলো নিশ্চুপ তখন বড় দুঃখ লাগে। বিষয়টি কি শুধু ইসলামী দলগুলোর, না শুধুই মুসলমানদের? বামপন্থীরাও প্রতিবাদ করে তবে সেই প্রতিবাদে যেন জোর নেই। আর বড় দলগুলোর বিদেশীদের তোষণের প্রতিযোগিতা দেখলে তাদের ক্ষোভটা আরও বাড়ে।
এখন তো তারা প্রতিযোগিতায় নেমেছে বিদেশী রাষ্টদূতদের নৈশভোজ দিয়ে আপ্যায়ন করার দৌড়ে। অবস্থা এমনই যে, লেবানন-ফিলিস-িনের সব নারী-পুরুষ-শিশুকে ইসরাইল হত্যা করলেও রাস-ায় নেমে এরা এতটুকু প্রতিবাদ করবে না। সাম্রাজ্যবাদী হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সেই দিনগুলো গেল কোথায়?
ছবিঃ রফিকুর রহমান, রয়টার্স
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।